Saturday, February 28, 2009

গ্রাম দখলের লড়াইঃ রণক্ষেত্র চন্দ্রকোনা,সিপিএমের গুলিতে জখম ৮ গ্রাম বাসি

প্রিয়াংকা রায়,ঘাটাল,পঃবঃ,২৮শে ফেব্রু’০৯
গ্রাম দখলের লড়াই গুলি বোমা নিয়ে আক্রমন করলো সি পি এমের স্বসস্ত্র বাহিনী। তাদের ছোঁড়া গুলিতে আহত গ্রাম বাসি।
ঘটনাটি নতুন নয় সিপিএমের এ রকম তান্ডব চলে এ রাজ্যে মাঝে মধ্যেই। শুধু পালটে যায় স্থান কাল।
এলাকা দখলের উদ্দেশ্যে একদল স্বসশ্ত্র যুবক শুক্রবার ভোরে চন্দ্রকোনা টাউন থানার কৃষ্ণপুরে আক্রমন চালায়। সি পি এমের এই বাহিনীর আক্রমনে জখম হন ৮ জন গ্রামবাসি।
জখম গ্রাম বাসিদের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে আসে। পুলিশের গুলিতে দু’জন আক্রমন কারী আক্রান্ত হলে তারা পালিয়ে যায়।
লোকসভা ভোটের আগে কৃষ্ণপুরে দল ছুটদের বাগে আনতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সি পি এম এই আক্রমন করেছে। দলীয় সমর্থকদের আগেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল । সি পি এম এর এই পরিকল্পনা পরে ফাঁস হয়ে যায়।যদিও সিপিএমের চন্দ্রকোনা -১ নং জোনাল কমিটির সম্পাদক তথা স্থানিয় বিধায়ক এই পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছেন।
http://vinnobasar.blogspot.com/2009/03/new-ad-to-be-continued.html

Wednesday, February 25, 2009

বিশ্ব খাদ্য সংকট নিয়ে বিশ্লেষন করছেন বাংলার বাঘ (মৃনাল মজুমদার)...।

যে সব মানুষ দিনে ২১৫০কিলো ক্যালোরির কম খাবার গ্রহন করে, তারা অনাহারে অথবা অর্ধাহারে থাকে এই মুহুর্তে বিশ্বে প্রতি ৭ জনের ১জন মানুষ দিনে ২১৫০ কিলো ক্যালোরি খাবার খেতে পায়না ভারতে এই সংখ্যা সব থেকে বেশী ইউ এস এ তে যে সমপরিমান জমিতে যে ফসল হয়, আফ্রিকাতে তার ১০% ফসল হয় ১৯৫০সালে একজন চাষি যে পরিমান জমি দিয়ে দশ জন মানুষকে খাইয়ে রাখতো, ১৯৯০ সালে সেই পরিমান জমি দিয়ে ৭৩ জন মানুষকে খাইয়ে রাখত, ২০০৮ সালে ১৪৩ জনকে সেই জমি দিয়ে খাইয়ে রাখছে (উন্নত দেশে)
বিশ্বে এখন জনসংখ্যা ৬.৭ মিলিয়ার্ডেন ৩৩টি দেশে অদুর ভবিষতে খুদার্ত মানুষদের বিক্ষোভ শুরু হবে২০১২ সালে জনসংখ্যা হবে ৭ মিলিয়ার্ডেন,২০২৫ সালে ৮ মিলিয়ার্ডেনতেমনি খাদ্য উৎপাদনের জমির পরিমান কমছে
খাদ্যমূল্য কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে?
১. খাদ্য উৎপাদনের ব্যয় বেড়েছে,কারণ এনার্জি মূল্য
বেড়েছে,জমিতে কৃত্রিম সার ব্যবহারে প্রচুর এনার্জি লাগে
২. পরিবহন খরচ বেড়েছে, খ্যাদ্যের যে মুল্য তার ২৫% পরিবহন খাতে ব্যয় হয়
৩. শষ্য উৎপাদন বারলেও,সব শষ্য সরাসরি মানুষের খাবারের জন্য ব্যবহার হয় না
৪.আম,দুধ ও দুগ্ধ্যজাত দ্রব্যের চাহিদা অনেক বেড়েছে,এক কিলোগ্রাম গরুর মাংসের জন্য (বানিজ্জিক উৎপাদন) সাত কেজি গম বা পনের কেজি সোয়া লাগে,তেমনি লাগে হাজার লিটার জল
৫. ইউরোপে যে শষ্য উৎপাদন হয় তার ৮০ শতাংশ পশুদের কে খাওয়ান হয়
৬. মার্কিন দেশে যত ভূট্টা উৎপাদন হয়, তার ৩৩ শতাংশ ব্যবহার হয় বায়ো স্পিরিট তৈরি হতে
৭.বিশ্বের ২%কৃষির ফসল দ্বারা এই মুহূর্তে সরাসরি বায়ো স্প্রিট বানানো হয়,যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে
৮.খাদ্য নিয়ে স্পেকুলেসন চলছে
৯.২০ বছর আগে যে খরা বা বণ্যা হত, তা এখন ২০০% বেড়েছে
ইউরোপের জন্য উন্নত দেশের চাষিরা চাষ বাস করা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে ইউ এবং ইউ প্রতিবছর ৩৬০মিলিডির্য়ান ডলার ভর্তুকি দেয় শষ্য উৎপাদনের জন্য বিশ্বের সকল শিশুকে (৫-১৮বছর) দুপুর বেলা স্কুলে পেট ভরে খাওয়াতে লাগে মাত্র ৩০মার্ড ডলার
ইউ চাষিরা যদি ১ কিলো শুয়োরের মাংস কেমেরুনে রপ্তানি করে, তার জন্য প্রতি ৩১সেন্ট ভর্তুকি পায় ইউরোপের শুয়োরের মাংস সেখানে ১ ইউরো/কেজি , আর লোকাল শুয়োরের মাংস ২.৫ইউরো/কেজি মূল্য বেশি বলে লোকাল জিনিস বিক্রি হয় না, চাষিরা পষুপালন বন্ধ করেদিতে বাধ্য হচ্ছে সেখানে লোক বেকার হচ্ছে ইউ বছরে ৩ লক্ষ্য টন শুয়োরের মাংস ক্যামেরুনে রপ্তানি করে ওই পরিমান মাংস উৎপাদন করতে ২ লক্ষ্ ১০ হাজার জন মানুষ লিপ্ত থাকে আর দিনে ৮ ঘন্টার শ্রম লাগে তার অর্থ ৫*২১০০০০=১,০৫মাইল লোক শুয়োরের মাংস রপ্তানির জন্য না খেয়ে থাকে
সমাধান বলতে হল্যান্ডে এখন খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলছে সেখানে সম পরিমান জমিতে ৪০ গুন সষ্য উৎপাদন করা যায়, সাংহাইতে বন্দরের কাছে বিশাল অঞ্চল নিয়ে সেইমত এক মেট্রপলিটন এগ্রিকালচার পার্ক হয়েছে(কেওয়ার্ড, মেট্রোপলিটন এগ্রিকালচার)
বায়ো স্প্রিট দ্বারা দূষন যে কমান যাচ্ছে তা সত্য নয়, কারণ জঙ্গল কার্বন ডাই অক্সাইড শোষন করে, সেই জঙ্গল কেটেই বায়ো স্প্রিটের জন্য সষ্য চাষ করা হচ্ছে তা ছারা যে পরিমান কৃত্রিম সার ব্যবহার করা হয়,ওই বায়ো স্প্রিটের সষ্য উৎপাদন করতে, সেই সার বানাতেও প্রচুর পরিমান CO2 উৎপাদন হয় ইউ তে গাড়ির জ্বালানিতে এখন ২%বায়ো স্প্রিট মিশ্রন করান হয়,কয়েক বছরের মধ্যে সেটা ১০% করান হবে,যাতে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কম হয় তখন খাবারের দাম আরও বেড়ে যাবে আজকাল গাড়িতে এয়ার কুলার বেশি ব্যবহার হচ্ছেকয়েকজন জানে যে,একটা মিডিয়াম গাড়িতে যদি এয়ার কুলার চালিয়ে তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২২ ডিগ্রিতে নামান হয় গাড়িটা ১০০কিমি. চলে তাহলে ১.৫ লিটার জ্বালানি বেশি খরচ হয়!
ইলেক্ট্রো অটো একমাত্র এর সমাধান,যদি বিদ্যুৎ আরনিউয়ার এনার্জি হয় তেমনি যদি সিটি পাবলিক ট্রান্সপোর্টের গতি বারানো যায়, যদি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট গন্তব্য স্থলে পৌছতে দেরি না করে,তা হলে অনেক মানুষ এই সব গাড়ি কিনবেনা টাটার ১ লাখ টাকা দামের অটো কে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া উচিৎ, সেই ১ লাখ টাকা খরচ হবে স্কুল বাচ্চাদের খাওয়া পড়ানোর জন্য গাড়ির উপর ট্যাক্স আরো বাড়ানো উচিৎ আমজনতার গাড়ির প্রয়োজন নেই তাছাড়া গাড়ি চলার জন্য রাস্তা বানাতে হবে, নতুবা পরিবহনের গড় গতি কমে যাবে গাড়ির সংখ্যা বাড়ার অর্থ হল,জ্বালানির আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া আমাদের রপ্তানি এমনিতেই কমে যাবে,তা হলে অতিরিক্ত জ্বালানি আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা কোথায় পাব ? তাছাড়া ভারতের বেশিরভাগ গাড়িতে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেশি, সেই জন্য আবার আমাদের দূষন রোধে টাকা খরচ করতে হবে
ফসলের মূল্য বারলেও,গ্রামের চাষিরা ধনি হয় নি গ্রামে যারা থাকে তাদের ৩৪%দিনে ২১৫০ কিলো ক্যালোরি খাবার পায় না জমিতে কৃত্রিম সার ব্যবহারের জন্য জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে, বাস্তুতন্ত্রের সমস্যা বাড়ছে,তেমনি মিষ্টি জলের পরিমানও কমছে
আমাদের মত গরিব দেশে দ্রুত জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রন করা উচিৎ(এক পরিবার এক সন্তান),তেমনি মাংস কেবল ৫-২০ বছর বয়সের স্কুল বা কলেজের ছেলে-মেয়েদের জন্য স্বস্তায় খাওয়ান উচিৎ খোলা বাজারে মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয়া উচিৎ(যা নর্মাল দাম ততটা ট্যাক্স নেওয়া উচিৎ)
বেশি ক্যালোরি খাবার খাওয়ার ফলে ভুঁড়িওয়ালা যুবক যুবতি ও সাধারন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে সেই সাথে ডায়াবেটিস এর সংখ্যাও তার ফলে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে ইনসুলিন আমদানি করতে হচ্ছে এদের জন্য আর স্বামি বা স্ত্রির ভুঁড়ি বারলেই- তারা পয়সা এবং সুযোগ থাকলেই একটু পরকিয়া প্রেম করার চেষ্টা করে,তাই বিবাহ বিচ্ছেদের সংখাও বাড়ছে
নিরামিষ খাও, সাইকেল চালাও অবাক লাগে সরকার কেন প্রাইভেট কারের জন্য ব্যবহিত পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়ায় না
নতুন স্লোগান হোকঃ
"প্রাইভেট গাড়ি ঘোরা চরে যে,মাংস খায় যে-দেশকে গরিব করে সে" ভারত যা আমদানি করে ,তার বেশিরভাগ খরচ হয় জ্বালানির জন্য
আমরা যদি শষ্য চাহিদা কমাতে পারি, তা হলে ট্র্যাডিশনাল মেথডে ট্র্যাডিশনাল বিজ কে উন্নত করে, জৈব সার দিয়ে চাষ করতে পারি,জমির উর্বরতা কমবে না ,বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যও বজায় থাকবে আমাদের ছেলে-মেয়ে,নাতি-নাতনিরা না খেয়ে থাকবেনা
সময় পেলে এই ফ্লিম টা দেখুনঃ “We feed the World”
আর কি করে বিশ্ব রক্ষা করা যেতে পারে-জানতে “PLAN B 3.0” বই টা পড়ুন
সৌজন্যেঃ World Food Programm.





বিশ্বে প্রতি বছর ২% করে খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে

জাদু সম্রাটের জন্মদিনঃ ৯৭ বছরে পড়লেন জাদু সম্রাট পিসি সরকার। আত্মবিস্মৃত বাঙালি বোধহয় ভুলে গেছে।

২৫শে ফেব্রু'০৯,কলকাতা
তাচ্ছিল্য এবং অবহেলার বিরুদ্ধে লড়াই করে ভারতের পথে ধুলোয় পরে থাকা মাদারির খেলাকে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বের দরবারে। ভন্ড সাধুদের ভোজ বাজি মানুষ ঠকানোর কল মঞ্চে উপস্থাপন করে প্রমান করেছিলেন বিজ্ঞানই অলৌকিতার পিতা। ডাইনি বিদ্যার নামে অন্ধকারে পড়ে থাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সংমিশ্রন ভারতীয় জাদুকে তিনি তুলে ধরে ছিলেন বিশ্বের দরবারে। আত্মবিস্মৃত জাতি তাকে ভুলে গেলেও ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাক্ষরে উজ্জল হয়ে রয়েছে তার নাম । তিনি জাদুকর পিসি সরকার। সাতানব্বই তম জন্মদিনে, আজ তাকে স্মরণ করার দিন।
১৯১৩ সালে পিতা ভগবান চন্দ্র সরকার এবং মাতা কুসুম কামিনী দেবীর পুত্র প্রতুল চন্দ্র ২৩শে ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহন করেন টাঙ্গাইলের অশোক পুর নামে ছোট্ট একটা গ্রামের কুঁড়ে ঘরে। প্রচন্ড দারিদ্রের মধ্যে কাটে তার শৈশব।
সামাজিক ভাবে ম্যাজিক তখন ডাইনি বিদ্যার দুর্নামে দুষ্ট থাকায় প্রতুল চন্দ্রের পিতা বংশানুক্রমে ম্যাজিক শিক্ষা গ্রহন করলেও সামাজিক অপবাদের ভয় কখনো প্রকাশ্যে ম্যাজিক খেলা দেখাননি।প্রতুল চন্দ্র ম্যাজিক সম্পর্কে আগ্রহি হয়েছিলেন রক্তের টানে। কিন্তু এই অনিন্দ সুন্দর ভারতীয় বিদ্যাকে কুসংস্কারের আস্তরনে আচ্ছন্ন রাখার সামাজিক প্রতিবন্ধকতা তিনি মেনে নিতে পারেননি। ম্যাজিক বিষয়টিকে ভুতবাজি, ঠক, মাদারি,ভন্ড তান্ত্রিকদের হাত থেকে মুক্ত করে ,নিয়ে এলেন বিশ্ব সভ্যতার আঙিনায়।
বিশ্বের তাঁবর বড় বড় যাদু শিল্পীদের সাথে একই মঞ্চে প্রদর্শন করলেন ভারতীয় জাদু, যা মূলত বৌদ্ধ তন্ত্র ও হিন্দু তন্ত্রের দশ মহাবিদ্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অনাদরে পরে ছিলো। পথে পথে ঘুরে বেড়াত মাদারির ঝোলাতে।
অন্ধকার কুসংস্কারে আচ্ছন্ন সেই যাদুবিজ্ঞানকে ঘোষে মেজে প্রতুল চন্দ্র নিয়ে এলেন বিশ্বের জনমঞ্চে। আমেরিকা,ইংল্যান্ড,জার্মানির দর্শক অপলক ও অবলোকন করলো ভারতীয় যাদুকরের ইন্দ্রজাল।
দর্শকের ভালোবাসায় প্রতুল চন্দ্র সরকার পেলেন জাদু সম্রাট উপাধি। মৃত্যুর এতো বছর পরেও যিনি সমান জনপ্রিয়। যারা তার ম্যাজিক দেখেছেন বা যারা দেখেননি সবার কাছে আজও সমান আগ্রহের।
তার সাতানব্বই তম জন্মদিবসে আমাদের ভিন্নবাসরের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান।




দু’টাকা কিলো চাল, চালু হচ্ছে ২৭ তারিখ। বারো বছর আগের তালিকা মেনে গরিব চয়ন

দিলীপ সাউ, ২৫ফ্রেব্রুয়ারী;কলকাতাঃ

বারো বছর আগে যে বি পি এল তালিকা প্রস্তুত হয়েছিলো গরিব মানুষ বলতে তারাই। নতুন তালিকা প্রস্তুতির কাজ চললেও কোনও জেলাই তা প্রস্তুত করে উঠতে পারে নি। ফলে প্রচুর গরমিলে ভরা গরিবের হিসেব।
এরই মধ্যে রাজ্য সরকার চালু করতে চলেছে দু'টাকা কিলো চাল। গত সোমবার অর্থমন্ত্রী অসিম দাসগুপ্ত ঘোষনা করেছিলেন দু'টাকা কিলো চালের প্রকল্প। মঙ্গলবার এক সরকারি নির্দেশ জারি করে বলা হয়, আগামী শুক্রবার থেকে রেশন দোকানে বি পি এল কার্ড দেখিয়ে গরিব মানুষ সংগ্রহ করতে পারবেন এই চাল।
কিন্তু প্রশ্ন; গরিব কারা? রাজ্য সরকার যে তালিকায় দু'টাকা কিলো দরে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি বারো বছর আগের তালিকা। বারো বছরে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে বি পি এল তালিকায় ব্যাপক পরিবর্তন-ই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই পরিবর্তন অনুযায়ী কোনও তালিকা রাজ্য সরকার এখনো প্রস্তুত করে ঊঠতে পারেনি। আসন্ন ভোটকে মাথায় রেখে ভোটের চমক হিসেবে তড়িঘড়ি পেশ ও কার্যকর করে দিলো এই উদ্যোগ।
অন্যদিকে রেশন মালিকরাও বেঁকে বসেছে সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে।সরকারের নির্দেশে আগামী ২৭ ফ্রেব্রুয়ারী থেকে বি পি এল কার্ড অনুযায়ী ২টাকা কিলো চাল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, তারা বর্তমানে মজুত চাল কিনেছে অনেক বেশি দামে। সরকারি তরফে তাদের ভর্তুকির দাম দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষনা করা হলেও তারা দ্বিধাগ্রস্থ। তাদের বক্তব্য টাকা আগাম হাতে না পেয়ে এই কাজে নামতে তাদের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে’।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ভাঁওতা বাজি বলে উল্ল্যেখ করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মতে এটা ভোটের রাজনিতি ছাড়া কিছুনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রির জবাব-যতদিন এই সরকার থাকবে ততদিন দু'টাকা কিলোয় চাল দেবে সরকার।







Monday, February 23, 2009

শালিকা নিরুদ্দেশ, অভিযুক্ত জামাই গনপ্রহারে মৃত.....

ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,২৩শে ফেব্রু’০৯

হান্নান গাজি (২৫) শালিকার সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন শ্বশুর বাড়ির অজান্তে। মেয়েটির বাবা মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগও দায়ের করে থানায়। মেয়েটি ফিরে এলে পুলিশ আইনের পথে জিজ্ঞাসা বাদও করতো হান্নানকে। কিন্তু তার আর সুযোগ হলনা। আইন হাতে তুলে বাসন্তি গ্রামের এক মাতব্বর আমনের নেতৃত্বে গনপ্রহারে মৃত্যু হল হান্নানের। পুলিশের আগেই শাসক দলের ‘আইনরক্ষায়’ বলি হল আরও একটা প্রান। অভিযোগ প্রমান হওয়ার আগেই শাসক শ্রেনির চক্ষুশুল হওয়ায় চলে যেতে হল হান্নান গাজিকে। সভ্য দেশে এই তালিবানি আচরন এই প্রথম নয়। লালপতাকার তলায় এর আগেও আমনের মতো মাতব্বরদের চোখ রাঙানি চমকিয়েছে আইনকে।
হান্নান গ্রামে ফেরার সাথে সাথে তাকে গ্রেফতার হতে হয় গ্রামের এই মাতব্বর দের হাতে। অসম্ভব প্রহারের পর অর্ধমৃত হান্নানকে তুলে দেওয়া হয় বাসন্তি থানায়। পুলিশ গুরুতর আহত হান্নানকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে হান্নান।
হান্নানের আত্মিয়রা প্রধান অভিযুক্ত আমন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এই ঘটনায় অঞ্চলে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। প্রায় সাড়ে চারশোর মত গ্রামবাসি থানা ঘেরাও করলে পুলিশ ডায়রি নিতে বাধ্য হয়।
বাসন্তির এই ঘটনা একদিকে যেমন প্রশ্ন করছে, হান্নান তার শালিকাকে অপহরনের দায় আদৌ অভিযুক্ত কিনা? অন্য দিকে প্রশ্ন করছে এরাজ্যে শাসক দল ও তাদের মাতব্বররা কি আইনের উর্ধে। তাই কি আইনের পুঙ্কানুপুঙ্খ বিচারের আগেই সাজা পেতে হল হান্নান কে। এই তালিবানি শাসন আর কতদিন আচ্ছন্ন করে রাখবে এ রাজ্যের প্রগতি।






Sunday, February 22, 2009

মোহন বাগানের জয়ের ধারাকে থমকে দিল ইষ্টবেঙ্গল

দিলীপ সাউ,কলকাতা,২২শে ফেব্রু’০৯
ইষ্টবেঙ্গলের কাছে ৩-০ গোলে হেরে লীগ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেল মোহনবাগান। লিগ জয়ের সম্ভাবনা তাদের অনেকটা ক্ষীণ হয়ে গেল।লিগের অপর খেলায় স্পোর্টিং দ্য গোয়া ২-১ গোলে মুম্বাই এফসি কে হারিয়ে সমসংখ্যক খেলায় ৩৪ পয়েন্ট পেয়ে পুনরায় লিগ তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গেল। আজকের খেলায় ইষ্টবেঙ্গলের হয়ে দুটি গোল করেন রহিম নবি।খেলার ২২মিঃ ও ৪০মিনিটের মাথায়। অপর গোলটি করেন সুনিল ছেত্রি, খেলার শেষ মুহুর্তে ৪৭মিনিটের মাথায়।





http://nriparentalcare.com/promotions

Friday, February 20, 2009

আবার সেক্সি সেনসেক্স, মুদ্রাস্ফিতি ১৪মাসে নিম্নতম...

কলকাতা,২০শে ফেব্রুঃ০৯

টানা তিন দিন শেয়ার বাজার নিম্নগামি থাকার পর, মুদ্রাস্ফিতির ৩.৯২ শতাংশে নামায় সুখবরে উঠলো শেয়ার বাজার। ফের চাঙ্গা হল দালাল ষ্ট্রিট। শেয়ার কেনার দিকে ঝুঁকছে লগ্নিকারিরা। বিশ্ব মন্দার প্রভাবে এতদিন সোনা কেনার মত স্থায়ি লগ্নির দিকে ঝুঁকছিলেন লগ্নিকারিরা। মুদ্রাস্ফীতির হার কমার সুখবরে কেনাকাটি বেড়েছে শেয়ার বাজারে। মূল্যবৃদ্ধির হার কমেছে চার শতাংশ। যা গত চোদ্দ মাসে নিম্নতম। মুল্যবৃদ্ধির হার কমার এই প্রেক্ষিতে শেয়ার বাজার যেমন চাঙ্গা তেমনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পুনরায় সুদের হার কমানোর কথা চিন্তা করছে।ব্যাঙ্কিং শিল্প মহলের আশা চলতি অর্থ বর্ষে মুদ্রাস্ফিতি আরও দুই শতাংশ কমবে। ফলে ব্যাঙ্কে সুদের হার কমার সম্ভাবনাও প্রবল। আই,সি,আই,সি,আই ব্যাঙ্কের কর্তা কে ভি কামাথ থেকে এইচ ডি এফ সি ব্যাঙ্কের অর্থনিতিবিদ জ্যোতিন্দর কাউর সকলের মতে এবার সুদের হার আরও কমবে বলে জানিয়েছেন। মুদ্রাস্ফিতি কমার কারনে সোনার দামও কমছে বলে খবর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোরি(১০গ্রাম) পিছু সোনার দাম ১৫,৮৮৫ টাকা।






ক্যান্সার আক্রান্ত জেড গুডি, বিয়ে করছেন রবিবার। বিয়ে থেকে মৃত্যুর স্বত্ত কিনেছে মিডিয়া।

কলকাতা,২০শে ফেব্রু'০৯
২০০৭সালে ভারতীয় চ্যানেলের জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো বিগ বসে যোগ দিতে এসে ক্যানসার ধরা পড়ার খবরটা পান গুডি। ‘বিগবস’ ছেড়ে চলে যেতে হয় মাঝপথে। ডাক্টার দের তত্বাবধানে চিকিৎসাধিন রয়েছেন এতদিন। হাঁটার শক্তিও চলে গেছে। চলাফেরা করেন হুইল চেয়ারে। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিয়ে করার। বর জ্যাক টুইডে । সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত জেডগুডিকে জবাব দিয়ে দিয়েছেন ডাক্টাররা। অন্তিম শয্যার আগে রবিবার বিয়ের দিনটি প্রানভরে উপভোগ করতে চান গুডি। এসেক্সের চার্চের ক্রিম আইভরি রঙের পোশাকে স্বামির পাশে দাঁড়িয়ে বিয়ে করতে চান গুডি। সম্পুর্ন বিবাহ বাসর
সম্প্রচার করার স্বত্ব কিনেছে লিভিং টিভি। বিয়ের দিনের সাথেসাথে লিভিং টিভি স্বত্ব কিনেছে গুডির অন্তিম শয্যার। এই বাবদ গুডি পাবেন ১৫লক্ষ পাউন্ড। রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে উত্থান গুডির। জীবনে অন্তিম রিয়েলিটি দৃশ্যটিও তাই বোধহয় বিক্রি করে দিলেন গুডি। নীতিগত ভাবে এরকম এক বেদনাদায়ক ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল তা নিয়ে প্রশ্নও উঠাও স্বাভাবিক। গুডির কথায়- ‘সন্তানদের স্বার্থে টাকার প্রয়োজন ছিল’। নীতিবিদরা এটাকে কি ভাবে দেখেন সেটাই এখন সবথেকে বড়
প্রশ্ন।
http://nriparentalcare.com/





আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গান একুশে ফেব্রুয়ারী

আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গান একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভূলতে পারি।।

ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,২০শে ফেব্রুঃ০৯

আগামী কাল ২১শে ফেব্রুঃ০৯ মাতৃভাষা দিবস। ভিন্নবাসরে কথা বলবেন প্রখ্যাত নাট্যকার ও পরিচালক বিভাষ চক্রবর্ত্তী,নগর বাউল গায়ক পল্লব কীর্ত্তনিয়া ও বাংলার বিনোদন জগতে সুপরিচিত নাম ও ইমপার সম্পাদক অরিজিৎ দত্ত। আমাদের সম্পাদক ও প্রকাশক বিপ্লব পাল ওয়াশিংটন,রাহুল গুহ হায়দ্রাবাদ থেকে কথা বলবেন ভারতীয় সময় সকাল ৮টায়। আমাদের কলকাতা বুইয়রো চিফ স্বরূপ বোস কথা বলছেন আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে.

Thursday, February 19, 2009

মোহনবাগান-ইষ্টবেঙ্গল,রবিবার আবার মুখোমুখি........

দিলীপ সাউ,কলকাতা,১৯শে ফেব্রুঃ০৯
আগামী রবিবার ২২ শে ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দি ইষ্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। আই লিগের খেলার উত্তাপের পারদ যেমন তুঙ্গে ,তেমন ব্যস্ততা টিকিট সংগ্রহের। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লম্বা লাইন। লম্বা লাইন ই টিকিটের স্টলেও।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল ২৪ ঘন্টা সরাসরি এই খেলা সম্প্রচার করলেও; মাঠে গিয়ে সরাসরি খেলা দেখার মজাই আলাদা। তাই টিকিটের সন্ধানে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে।
কলকাতার পাড়ায় পাড়ায় ঝুলছে সমর্থকদের টাঙানো ক্লাবের পতাকা। কর্মকর্তা ব্যস্ত টিকিট জোগাড় করতে। ম্যাটাডোর বুকিং-এর বাজারও বেশ চড়া। ইতিমধ্যেই রবিবারের জন্য বুকিং হয়ে গেছে বেশিরভাগ ম্যাটাডোর-লরি।
মোহনবাগান সমর্থকদের গলা একটু চড়া। ৩৩ পয়েন্ট পেয়ে আই লিগের সর্বোচ্চ স্তরে অবস্থান করছে সবুজ-মেরুন।
ইষ্টবেঙ্গল কি পারবে মোহন বাগানের এই দম্ভে চিড় ধরাতে? সেটা দেখার জন্য এখনো অপেক্ষা করতে তিন-তিনটি রজনী।
http://nriparentalcare.com/promotions




কর্মসংস্কৃতি পশ্চিম বঙ্গে ছুটি হিসেবে সত্যি পালিত হয় বারো মাসে তেরো পার্ব্বন।

ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,১৯শে ফেব্রুঃ০৯

কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্ববন। আর পার্ববন মানেই কর্মহিন আনন্দের দিন। কর্মসংস্কৃতির স্লোগানে ভরা বাংলার দেওয়ালে ছুটির হিসেবের ফর্দটা কিন্তু এরকমই। আর এই ছুটির ভয়াবহ রুপদেখা যায় অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। গত অক্টোবরে- গান্ধী জয়ন্তি, মহালয়া,দূর্গাপুজো, ইদ, লক্ষী পুজো সব মিলিয়ে এক সাথে হাতে এসেছিল ষোলটি ছুটির দিন। কাজের দিনের পরিমান ছিল মাত্র পনেরোটি। একটা ছুটির জন্য রাজ্যকে ক্ষতি করতে হয় প্রায় দুশো কোটি টাকার মত। শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সাথে সাথে, রাজ্য সরকারি কর্মিদের দিতে হয় ‘কর্মহিন বেতন’। একটা কর্মহীন দিনে শুধু মাত্র কলকাতা জেলাতেই ক্ষতি হয় একশো কোটি টাকার বেশি সরকারি অর্থ। এতো ছুটির মেলা তারমধ্যে, বন্ধ। বিরোধি রাজনৈতিক দলের সাথে সাথে ক্ষমতাশিন দলের গনতান্ত্রিক প্রতিবাদের নামে প্রগতি স্তব্ধ করার এক পদ্ধতি।
এছাড়া ঘেরাও, ধর্না,পথ অবরোধ তো আছেই। আছে রাজনৈতিক সমাবেশের নামে ইউনিয়নের ফতোয়া ‘হোক ছুটি’। ডান-বাম, কোনও দলই গনতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে গনতন্ত্রের প্রগতি কন্ঠ রোধ করতে পেছপা নন।

http://nriparentalcare.com/promotions




ধনতন্ত্রের পিঠস্থান আমেরিকানরা ব্যাঙ্কিং সেক্টরের ন্যাশালাইজেশন চাইছে।

কলকাতা,১৯শে ফেব্রু'০৯
এবার টনক নড়েছে মার্কিন নাগরীকদের। পৃথিবীর সর্বশক্তিমান দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনিতির প্রশ্নে ছুটতে হচ্ছ ভারতের পিছু পিছু। বিশ্ব আর্থিক মন্দার কবলে পড়ে তাবর উন্নত দেশ নাজেহাল তখন ভারতের অর্থনিতিতে এর প্রভাব পড়েছে সামান্যতম। কিন্তু এর রহস্যটা কোথায়?ভারতীয় অর্থনীতিবিদ দের মতামত, ব্যাঙ্কের জাতীয়করন ভারতের অর্থনিতির ভিত মজবুত করেছে। ষাটের দশকে প্রধানমন্ত্রি ইন্দিরা গান্ধি ব্যাঙ্কের জাতিয়করনের উদ্দ্যোগ নেন। বাম দল সহ বিরোধী প্রায় সব দলের সমর্থনে সাংসদে পাস হয়েছিলো ব্যাঙ্কের জাতীয়তা করন বিল। ওই মহেন্দ্রক্ষনেই ভারতের অর্থনিতির কপালে রাজতিলক পড়েছিল সন্দেহ নেই। গরিব এই দেশের গরিব মানুষ এখনো একটা বিষয়ে নিশ্চিন্ত, ব্যাঙ্কে তার নামে এক টাকাও যদি থাকে তবে সেটা তারই,কারও আত্মসাৎ করার ক্ষমতা নেই। ভারতের এই অর্থনিতীর ‘সুপার হিট’ ফরমুলা এবার নিজের দেশে চালান করতে চান মার্কিন নাগোরিকরা। ধনতন্ত্রের পিঠস্থানে দাবি উঠেছে গরিব হিন্দুস্থানের ডাটাবেস কপি করে পেষ্ট করার। এই দাবিটি উঠেছে একটি জনবিতর্ক সভার মাধ্যমে। এই বিতর্ক সভাটিতে মূল বিষয় ছিল মার্কিন অর্থনিতীর ভবিষ্যত। এটা এমন একটা বিষয় যা বিগত দুবছর আগেও মার্কিন নাগরিকদের কাছে আশার বানী বহন করে চলতো। তবে বিশ্ব আর্থিক মন্দা পুরো ব্যাপারটায় যেন একটু চিড় ধরিয়ে ফেলেছে। এখন এই বিষয় বিতর্ক মানেই কপালে ভাজ ফেলা গুরুগম্ভির আলোচনা। একের পর এক মার্কিন ব্যাঙ্কের দেউলিয়া ঘোষনা যে এই উদ্বিগ্নতার মূল কারন সে বিষয় সন্দেহ নেই। নিজস্ব সম্পদ রক্ষার তাগিদে মার্কিনরা যে এরকম দাবি তুলবেন সে বিষয়ে সন্দেহ কি? কিন্তু মার্কিন সরকার কি অর্থনিতির প্রশ্নে এতবড় একটা পদক্ষেপ অতো সহজে নিতে সক্ষম হবেন? প্রশ্নটা সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে ঘোরাফেরা করছে ‘নিউজ উইকের’ মাইকেল হার্স থেকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিকোলাস ক্রিষ্টফার এর মতো অর্থনিতী বিদদের মগজে। তবে দেশের বেশির ভাগ মানুষদের সাথে বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনিতিবিদ ও কলমচিরা এবিষয় একমত যে সাধারণ মার্কিন নাগরীকদের স্বার্থে ওবামা সরকারের উচিৎ ব্যাঙ্কের জাতীয় করন করা।ওয়াশিংটন পোষ্টের সাংবাদিক কলমিষ্ট নোউরিয়াল রবিন এবং ম্যাথিউয়ার রিচার্ডসন ওয়াশিংটন পোষ্টে এক নিবন্ধে লিখেছেন যদি এই বিশ্ব আর্থিক মন্দা থেকে নিস্তার পেতে হয় এবং ভবিষ্যতে এটাকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করতে হয় তাহলে ব্যাঙ্কের জাতিয় করন জরুরি। নবেল জয়ী অর্থনিতিবিদ ও নিউইয়র্ক টাইমসের কলমচি পাউল ক্রাগমান সর্ব প্রথম ব্যাংকের জাতীয় করন বিষয় সোচ্চার হন। তারপর থেকে বিভিন্ন মার্কিন সংবাদ পত্র কলম ধরেছে। এই ইসুতে মার্কিন দেশে এখন ব্যাপক জনমত’ও সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্য টেলিভিশন চ্যানেল যেমন এবিসি, ‘দ্যা উইক’ নামে এক বিশেষ টক শোয়ে গ্রাহাম জোরদার দাবি করেছেন ব্যাঙ্কের জাতিয় করনের। এন,বি,সি টিভির মিট দ্য প্রেস অনুষ্টানের সঞ্চালক ডেভিও অক্সিইলরওড আশা প্রকাশ করেছেন- ‘ওবামা সরকার প্রশাসনটা একটু গুছিয়ে নিয়েই,ব্যাঙ্কের জাতিয় করনের মতো এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন’। গরিবের কথা না কি বাসি হলেও সত্যি শোনায়। গরিব ভারতের ভূখা দুর্দিনে নেওয়া সেই পদক্ষেপ আজ আমাদের দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দিয়েছে। ভারতবর্ষ যে কল্পনার থেকেও দ্রুত গতীতে অগ্রসর হচ্ছে তার পেছনে পঞ্চায়েতি রাজ, ভূমি সংস্কার ও ব্যাঙ্কের জাতীয় করনের মতো প্রকল্প গুলির অবদান অনস্বিকার্য। তাই ধনতন্ত্রের পিঠস্থানে ব্যাঙ্কের জাতীয় করন করার মত অর্থনৈতিক পদক্ষেপ টুকছে মার্কিনরা,ভারতের অর্থনিতির পুরানো খাতা থেকে।

http://nriparentalcare.com/promotions




Wednesday, February 18, 2009

অর্কুট, ফেসবুকে যেসব বিবাহিতরা, পরিচয় লুকিয়ে প্রেম করছে-তারা সাবধান হৌন-ধরা পড়লেই ডিভোর্স

কলকাতা,১৮ইফেব্রু০৯
“আমি কোনও দিন কল্পনাও করতে পারিনি , আমার স্বামি আমাকে ডিভোর্স দিতে চলেছে। ওর ব্যবহারে কোনও সন্দেহও হয়নি। ব্যাপারটা আমি জানতে পারি এক সোসাল নেটওয়ার্ক সাইটের মাধ্যমে”।
বক্তব্যটি ব্রিটিশ নাগরিক ইমমা ব্রাডির। ৩৫ বছর বয়স্ক ইমমা তার স্বামীর এই অদ্ভুত আচরনে হতবাক। তার স্বামি ছয় বছর ধরে “ফেসবুক” নামে এক সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন এক অবিবাহিত মহিলার সাথে।
সেই ফেসবুক বান্ধবীর প্রেমে ইমমার স্বামি এতই মসগুল যে ভরা সংসার ফেলে ছুটছেন ফেসবুক বান্ধবীর পিছু পিছু।
ফেসবুকে ইমমা নিজেও যোগ দিয়েছেন সম্প্রতী। আগ্রহ বসত স্বামির প্রোফাইলে আড়ি পাততে গিয়েই বিপত্তি.।
স্বামির স্ক্রাপ বুকের একটা ম্যাসেজ় যে তার জীবন এতটা বিপন্ন্ করে তুলবে,জীবন এতটা উথাল-পাথাল করে তুলবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি ইমমা। তার স্বামি নেইট ফেসবুকে একটা ম্যাসেজের মাধ্যমে ঘোষনা করেছেন- ‘নেইট ব্রেডি তার স্ত্রী ইমমা ব্রাডির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে’।
আর পাঁচটা দম্পতীর মতন আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক যাকে বলে অম্ল-মধুর ছিলো কিন্তু ওর এই মতিভ্রম আমাকে অবাক করেছে জানালেন ইমমা।
ফেসবুক কেবল মাত্র মজার জন্য আমি জয়েন করে ছিলাম। আমার অফিসের এক বান্ধবী আমাকে এই ওয়েব সাইটের সাথে পরিচয় করায়। এই ফেসবুক যে আমার জীবন এমন উথাল পাথাল করে দেবে তা আমি ভাবতেও পারিনি। ওর লাম্পট্যও আমার কাছে পরিস্কার হয়ে গেলো এই সাইটেরই দৌলতে।
আক্ষেপের সুরে কথাগুলি বলছিলেন ইমমা।
সোসাল নেটওয়ার্ক সাইটের মাধ্যমে অনেকেই নিজের আসল পরিচয় গোপন করে অনেক কুকর্ম করেন। বিবাহিত হয়েও অবিবাহিত সেজে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। জীবনটাকে খেলার ছকে নেন। এই খেলা যে বাস্তব জীবনকে তছনছ করে দিতেপারে তার উদাহরন ব্রিটিশ যুক্ত্রাজ্যের ব্রেডি দম্পতী।
সংসার ভাঙার আবেদনে এখন তারা আদালতের কাঠগোড়ায়।
এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার সেইসব মানুষদের যারা ছেলেখেলা মনে করে ব্যবহার করে চলেছে সোসাল নেটওয়ার্ক সাইট গুলিকে।
http://nriparentalcare.com/promotions




Tuesday, February 17, 2009

যৌন আবেদনে ভরা রসায়ন সিলভিয়ায় মিলেছে যৌনতার সুগন্ধের সন্ধান......

ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,১৭ইফেব্রু'০৯

বিজ্ঞানের গবেষনা চলছে ‘চুমু রসায়নের’ লক্ষ্যে। যৌন অনুভূতি কি ভাবে জীবনের বিভিন্ন মূহুর্ত গুলিকে আরো রঙিন করে তুলতে পারে সে নিয়ে ক্রমাগত গবেষনা করছেন একদল বিজ্ঞানী। ফলস্বরুপ আবিস্কার হয়েছে সিলভিয়া যা যৌন আবেদনে ভরা এক রসায়ন। প্রস্তুত কারক সংস্থার দাবি, এই সিলভিয়া এমন এক বিশেষ সুগদ্ধে ভরা যাতে শরীরে ইষ্ট্রজেন হরমন এক বিশেষ মাত্রায় ক্ষরিত হয়। ফলে যৌন আবেদনের সুখ উপভোগ করবেন গ্রাহক। এটা উড়ো দাবি নয় বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে সিলভিয়া যৌন আবেদনে ভরা এক অভূতপূর্ব রসায়ন-জানালেন রুটগিয়ার ইউনিভার্সিটির আনথোপলজিষ্ট হেলেন ফিসার। তিনি জানিয়েছেন এই যৌন অনুভুতী হওয়ার মুল কারন এই বায়কেমিক রসায়ন শরীরে ইষ্ট্রজেন হরমনের ক্ষরণ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানুষের শরীরে যৌন আবেদন বেড়ে যায়। মানুষ চুম্বনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। সঙ্গি বা সঙ্গিনী কে চুম্বন করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
মানব প্রজাতির ৯০ শতাংশ মানুষ চুম্বন খেতে পছন্দ করে। মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতির পশু প্রাণী চুম্বন নামক এই যৌন ক্রীড়া যৌনতার অঙ্গ স্বরুপ ব্যবহার করে। মানব জাতীর আদি পুরুষ প্রজাতির প্রানী শিম্পাঞ্জী, বেবুনের মধ্যেও চুম্বনের পরম্পরা লক্ষ্য করা যায়। হাতি তার সঙ্গিনীর শুড় জড়িয়ে ধরে বিকল্প চুম্বন ক্রীড়া করে। পাখির চুম্বন তো সবার জানা। চুম্বন ক্রীড়ারত কপোত-কপোতীকে কে না দেখেছে। বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডারউইন’ও তার থিসিসে লিখেছিলেন যে চুম্বন প্রানির স্বতস্ফুর্ত যৌন ক্রিয়া।
এক সমিক্ষায় প্রকাশ হয়েছে এক চাঞ্চল্য কর তথ্য; ৬৬শতাংশ পুরুষ ও ৫৯ শতাংশ মহিলা মনে করেন যে প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতার উপরেই সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
সিলভিয়া যে যৌনতার মাত্রা ও শরীরে টেষ্ট ষ্টেরনের ভারসাম্য বৃদ্ধি করে তার একটি বিশেষ পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশগ্রহন কারী সব পর্যবেক্ষকই বলেছেন সিলভিয়া ব্যবহার করার সময় তারা এক বিশেষ যৌন সুখানুভূতি লাভ করেছেন। সিলভিয়া চুম্বনের ইচ্ছা বাড়িয়ে মানুষের মধ্যে প্রেমের বন্ধন দৃড় করে সে বিষয় সন্দেহ নেই।
এই বিশেষ রাসায়নিক সিলভিয়া পুরুষ নারীর মধ্যে যৌন অনুভূতি শতগুন বাড়িয়ে দেয়।

http://nriparentalcare.com/promotions





ভিন্নবাসরের প্রসংশায় পঞ্চমুখ হিন্দুস্তান টাইমস(HT)....


হিন্দুস্তান টাইমস,কলকাতা লাইভে প্রকাশিত ১৭।০২।০৯
Hindustan Times,Kolkata Live 17.02.09



http://nriparentalcare.com/promotions


দিলীপ সাউ,কলকাতা,১৭ই ফেব্রু'০৯
ভারতীয় জনপ্রিয় ইংরেজী দৈনিক সংবাদ পত্র হিন্দুস্তান টাইমস ভিন্নবাসরের সম্পর্কে এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। উক্ত নিবন্ধ ভিন্নবাসরের ভূয়সি প্রশংসা করে বলা হয়েছে, মাত্র অল্প কিছু দিন আত্মপ্রকাশ করে ভিন্নবাসর ডট ওয়ারজি(www.vinnobasar.org), জন মানসে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। প্রকাশক সম্পাদক বিপ্লব পাল ও কলকাতা ব্যুরো চিফ স্বরূপ বোস কে সাধুবাদ জানানো হয়েছে এই প্রকল্প রুপায়নের জন্যে। নতুনত্ব ওয়েব পেজ লে-আউট ও অভুতপূ প্রোগ্রামিং এর জন্যে ভুয়সি প্রশংসা করা হয়েছে ভিন্নবাসরের প্রোগ্রামিং চিফ রাহুল গুহ-র। ওয়াশিংটন,কলকাতা ও হায়দ্রাবাদ থেকে এক যোগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কর্মকান্ড চলে এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে। যা ভারতবর্ষে এই প্রথম বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নিবন্ধে। সাংবাদিক দেবদত্ত ঘোষের এই নিবন্ধের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ভিন্নবাসরের স্বরূপ।



Monday, February 16, 2009

বরানগরে সি.পি.আই(এম) কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি

দিলীপ সাউঃ ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০০৯,কলকাতাঃ
গত কাল রবিবার,সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ নাগাদ বরানগর উত্তর প্রান্তের ১নং এল,সির সি.পি.আই(এম) কর্মী রঞ্জন মজুমদার কে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু সৌভাগ্য ক্রমে রঞ্জনের গায়ে গুলি লাগেনি। গুলির আওয়াজে ও রঞ্জনের চিৎকারে আশপাশের মানুষ বেড়িয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর সিপিএম কর্মী সমর্থকরা তদন্তের দাবিতে বরানগর থানা ওবরোধ করে।
এই সময়ে দক্ষিন বরানগর শহরের বঙ্গলক্ষী বাজারে যুব কংগ্রেসের এক পথ সভা চলছিল। এই ঘটনা তাদের গোচরে আসার পর ওই মঞ্চ থেকেই এই সমাজ বিরোধী কর্মের তিব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
ছাত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক স্বরূপ বোস জানান ‘এলাকায় এই সমাজ বিরোধী কর্মকান্ড আবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিৎ। সিপি এম এর আভ্যন্তরীন গোষ্ঠি দ্বন্দ, প্রোমোটারী ও জমি দখলের লড়াই এই অশান্তির মূল কারণ। আমিতাভ নন্দি ও মানষ মুখার্জীর মাত্রাতিরিক্ত কুকর্মের ফলে অশান্ত হয়ে উঠেছে অঞ্চল। রাজ্য ছাত্রপরিষদের সম্পাদক নিতাই মন্ডল ও দক্ষিন বরানগর যুব কংগ্রেসের সভাপতি তপন কুমার রায় জানালেন, উক্ত ঘটনা যে সম্পূর্ন সিপিএমের গোষ্টিদ্বন্দের ফসল এই বিষয়ে অঞ্চলের মানুষের কোন সন্দেহ নেই। নিতাই বাবুরা এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও অবিলম্বে অপরাধিদের গ্রেপ্তার করতে বরানগর থানার ওসির নিকট দরবার করেন। বরানগর থানার ওসি সুদিপ রায় জানান আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি,দোষীদের অবিলম্বে ধরা হবে এবং তদন্তের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



ছাত্রী কে ধর্ষণঃ যাদবপুরে গ্রেপ্তার তিন ছাত্র...।

ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,১৬ই ফেব্রু'০৯
কথা ছিলো গেটটুগেদার পার্টী করবে বন্ধু-বান্ধবরা মিলে। ফোন করে ছাত্রীটি কে ডাকে তার বন্ধুরা। পার্টীটা হচ্ছিলো এক বন্ধুর মেস রুমে। ছাত্রীটি ছাড়াও উপস্থিত ছিলো আরো চার জন বন্ধু। কিন্তু শেষ কালে ওই গেটটুগেদার পার্টীই ছাত্রীটির জীবনে চরম বিপদ নিয়ে এলো।
মেসবাড়িতে, ঠান্ডা পানিয়ের সাথে নেশার ওষুধ মিশিয়ে; ছাত্রীটিকে অচৈতন্য করে চার বন্ধুর সামনে তাকে ধর্ষন করলো তারই এক বন্ধু।
রবিবার পূঃ যাদবপুর থানায় অভিয়োগ দায়ের করেছে ওই ছাত্রীটি। প্রধান অভিযুক্ত ঋষিণ সেনগুপ্ত কে গ্রপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গ্রেপ্তার ওই সময়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত চার জনের মধ্যে দুজন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি, রবিবার লেক ইষ্টরোডের এক মেসবাড়িতে তন্ময় ময়ুখ বড়াট নামে সোনার পুরের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক ছাত্র তার বন্ধু ওই কলেজেরই তৃতীয় বর্ষের পাঠ্যরত তার সহপাঠিনী ওই ছাত্রীটি কে ডেকে আনে গেট টুগেদার পার্টীর নাম করে। সে ছাড়াও ওই পার্টীতে উপস্থিত ছিলো আরো চার জন কলেজ ছাত্র। যাদের মধ্যে ছিলো প্রধান অভিযুক্ত ঋষিণ সেনগুপ্তও। তরুনীর আভিযোগ, ওই পার্টিতে তাকে ঠান্ডা পানিয় দেওয়া হয় যা খাওয়ার পরে সে অচৈতন্য হযে পরে। সেই সুযগে ঋষিণ সেনগুপ্ত তাকে ধর্ষন করে।
ওই ছাত্রীর বাড়ি মালদহে। ঘটনার পরে সে বাড়ি চলে যায়। বাড়িতে আভিভাবকদের সাথে আলোচনার পর সে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাগুইহাটির বাসিন্দা প্রধান অভিযুক্ত ঋষিণ সেনগুপ্ত কে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার সময় ওই স্থানে উপস্থিত সব ছাত্রকে জ়িজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে আরো দুজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।




বাবা-মায়ের ভরনপোষন কোনও দায় নয়; ভারতীয় নাগরীক বাধ্য আদালতের আদেশে....










ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,১৬ই ফেব্রু০৯
বাবা-মায়ের ভরনপোষন কোনও দায় নয়; ভারতীয় নাগরিক বাধ্য আদালতের আদেশে। কিন্তু সবই খাতায় কলমে। লাল ফিতের বাঁধনে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।

বহু ছেলে মেয়ে বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিতে অস্বিকার করে। আইন করে, এই অমানবিক দ্বায়িত্ব জ্ঞানহিনতাকে রোধ করতে উদ্যোগী আদালত।
আদালতের নির্দেশ- ৬০ বছরের বা তার বেশি বয়সের রক্ত সম্পর্কীয় পিতা-মাতা, দত্তক গ্রহিত পিতা-মাতা, বা কোনও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা যার সম্পত্তি কোনও ব্যক্তি তার বিষয়কে ভোগ করছে তিনি ওই বয়স্ক মানুষটির আর্থিক ও শারিরিক দেখশুনা করতে তথা ভরন-পোষনে বাধ্য। ভারত বর্ষএ বসবাসকারি ও ভারতের বাইরে বসবাসকারি সমস্ত ভারতীয় নাগরিক এই আদেশ মানতে বাধ্য।
গত ৫ই ডিসেম্বার পশ্চিমবঙ্গে এই আইন বলবত করা হয়। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা তাদের উপর অবিচারের অভিযোগ জানাতে পারবেন ট্রাইবুনালের মাধ্যমে। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইবুনাল তাদের সন্তান সন্ততিদের উপর ব্যবস্থা নেবে।
খাতায় কলমে পাকাপাকি ব্যবস্থা হলেও, পদ্ধতী গত ভাবে এখনো শুরু করা যায়নি এই অনন্য সুন্দর ব্যবস্থা। লাল ফিতের বাধনে আটকে আছে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের স্বস্তিপ্রদানকারি এই আইন।
কেনো আটকে আছে ট্রাইবুনালের গঠনের কাজ?
স্পষ্ট কোনও উত্তর ট্রাইবুনাল গঠনের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ সমাজ কল্যান দপ্তরের কাছে। আছে আস্বাস বানী; খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
সমাজ কল্যান দপ্তরের অফিসারদের ‘ভরন পোষন’ আধিকারিক হিসেবে কাজ করার কথা। প্রতিটি জেলায় এই রকম ট্রাইবুনাল অফিসার নিয়গ করা হবে। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের অভিয়োগ এরা শুনবেন ও দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। এদের বিচারে যদি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা সন্তুষ্ট না হন, তাহলে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন জেলা শাসকের অ্যাফিলেটেড ট্রাইবুনালে। সরাসরি অভিয়োগ দায়ের করতে পারবেন জেলা শাসকের দপ্তরেও। কলকাতার ক্ষেত্রে থাকবেন ডিজএবিলিট কমিশনার।
কিন্তু বাস্তবত, কর্ম সংস্কৃতী গত ত্রুটির কারণে আটকে আছে এই অনিন্দ সুন্দর নিখুত ব্যবস্থা। ট্রাইবুনাল শুরুর আগে জেলা শাসকদের নিয়ে যে বৈঠক করার কথা ছিলো, সমাজ কল্যান দপ্তরের সরকারি বাবুরা এখনও সেটাই করে উঠতে পারেননি।
আইনের মাধ্যমে বার্ধ্যক্যের লাঠি স্বরুপ এই আইনি অধিকার পেলেও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা এখনো অসহায়। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় ভোগ করে চলেছেন স্বজনের নির্মম ব্যবহার।

Sunday, February 15, 2009

আজকে জেতার পর মোহন বাগান লীগ তালিকায় ৩৩ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে রইল


দিলীপ সাউ,কলকাতা,১৫ইফেব্রু;
কলকাতার সল্টলেক ষ্টেডিয়ামে জাতীয় লীগের ম্যাচে মোহন বাগান হারাল কলকাতার অন্য একটি দল মহঃমেডান স্পোটিংকে
আজকে খেলার প্রথম থেকেই করিমের ছেলেরা আক্রমন করতে থাকে।বাইচুং ভূটিয়ার বাড়ানো পাশ থেকেই মোহন বাগানের হয়ে জয় সূচক গোলটি করেন জেমস সিং।
এক শূন্য গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সেভাবে মোহন বাগান খেলোয়াড়রা খেলতে পারে নি।একের প্র এক গোল নষ্ট করে। তাই চোটের ভয়ে করিম খেলার শেষের দিকে জেমস সিং ও বাইচুং ভূটিয়াকে তুলে নেয়।ব্যরেটো একের পর এক গোল মিস করে।
আজকে জেতার পর মোহন বাগান লীগ তালিকায় ৩৩ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে রইল।

অন্যদিকে মারগাওতে জাতীয় লীগের খেলায় স্পোটিং দ্য গোয়া ১-০গোলে হারাল চার্চিলকে।এক মাত্র জয় সূচক গোলটি হয় খেলার প্রথম অর্ধে ৭ মিনিটের মাথায় স্পোটিং এর চন্দ্রশেখর রাও। স্পোটিং দ্য গোয়া আজকের খেলায় জেতার ফলে ৩১ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে রইল।

আজ জাতীয় লিগের খেলায় মোহন বাগান ১-০ গোলে এগিয়ে ।

আজ জাতীয় লিগের খেলায় মোহন বাগান ১-০ গোলে এগিয়ে ।
খেলার ১৪ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেন জেমস সিং।

Saturday, February 14, 2009

কলকাতা থেকে কিডনি পাচার...

দিলীপ সাউ,কলকাতা,১৪ ই ফেব্রু,২০০৯

কলকাতা থেকে কিডনি পাচার, গ্রেপ্তার নয় জন টাকার লোভ দেখিয়ে নেপাল থেকে কিশোর-তরুনদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে কলকাতা শহরে নিয়ে এসে, তাদের কিডনি কেটে পাচার করে এই চক্র। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এরকমই এক গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নয় জনকে। কিন্তু চক্রের চাই মানিক চৌধুরি ওরফে পার্থ ফেরার। জেরার মুখে ধৃতরা স্বীকার করেছে কলকাতার পার্শবর্তী জেলাগুলি থেকে গরিব মানুষদের টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি দ্বাতা হিসেবে রাজি করিয়ে ভিনরাজ্যে পাচার করা হত। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের নজরে এসে যাওয়ার ভয়ে ইদানিং নেপাল থেকে টাকার লোভ দেখিয়ে কিশোর-তরুনদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিয়ে এসে কিডনি পাচারের ব্যাবসা ফাদে তারা।

ভিন রাজ্যের পুলিশের নজরে এসে যাওয়ার ভয়ে ভিন রাজ্য থেকে রোগী নিয়ে এসে অনেক সময় এই ই.এম.বাইপাসের ধারের এই বেসরকারি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা চলতো।
তদন্তের স্বার্থে সম্পুর্ন তথ্য পুলিশ প্রকাশ করতে না চাইলেও পুলিশ এর এক বিশেস সুত্র থেকে জানা গেছে কিডনি পাচারের এই চক্রের সাথে একজন বিশিষ্ট মেডিক্যাল কনসালটেন্ট ও জড়িত।

ভ্যালেন্টাইন্স ডে - গোলাপ হয়ে উঠেছে স্বর্নকমলের মত দুর্লভ

ভাস্কর ব্যানার্জীঃ কলকাতা,১৪ই ফেব্রুঃ২০০৯
তুমি চাইলে অক্সিজেনের সাথে করে দিতে পারি আড়ি; কিন্তু প্লিস! গোলাপ চেয়ো না।
রোমিও, জুলিয়েটকে কি দিয়ে প্রেম নিবেদন করেছিলেন? নিশ্চই লাল গোলাপ। ল্যায়লা কে মজনু? তাও নিশ্চই লাল গোলাপই হবে। হির-রঞ্জা, দেবদাস-পাবর্তী, এই সব মহান প্রেমিক থেকে আমাদের বান্টি-বাবলি; প্রেম আছে অথচ লাল গোলাপ নেই।নৈব নৈব চ। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দির নবম বর্ষ সব হিসেবই ওলট পালট করে চলেছে। ভ্যালেন্টাইন ডের বসন্তে গোলাপ হয়ে উঠেছে স্বর্নকমলের মত দুর্লভ। শুধুমাত্র প্রেমিক- প্রেমিকার কাছে নয়, ফুল ব্যাবসাইদের কাছেও গোলাপের সন্ধান নেই। রাজ্যের ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষ্যে প্রায় পঁচিশ লক্ষ্য গোলপ বিক্রির বাজার প্রস্তুত থাকলেও যোগান নেই। অগত্যা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাল গোলাপ। অনেক সময় চড়া দাম দিয়েও নাগালে আসছেনা ‘প্রেমের অমুল্য’ এই বস্তুটি।
বিশেষত লাল গোলাপের আকাল মারাত্মক। অন্যান্ন রঙের গোলাপ আছে, দামেও সস্তা, কিন্তু কি লাভ; এসকিমোর কাছে ফ্রিজ বিক্রি করা কি চারটি খানি কথা। কলকাতার বড় বড় পাইকারি বাজার থেকে খুচরো বাজার, চিত্রটা মোটের উপর একই।
কিছু কুরিয়ার কম্পানি বানিজ্জিক ভাবে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলো ‘ভ্যালেন্টাইনস প্যাকেজের- অর্ডার দিলে, গ্রাহকের প্রেমিক বা প্রেমিকার ঠিকানায় গোলাপের গুচ্ছ পাঠিয়ে দিয়ে চমকে দেবে। গোলাপের দাম ও আকাল দেখে, এখন তারাই চমকেছে সব থেকে বেশি।
লাল গোলাপ বলতে ম্যাটগোট ও মিনিপল প্রজাতির গোলাপকেই বোঝায়। এই গোলাপ গুলি মূলত চাষ হয় মেদিনিপুরের গোসাইবের, কেশাবার, জানাবার, হাওড়ার বাগনান প্রভৃতি অঞ্চলে। রাজ্যের হর্টিকালচার দপ্তরের সাহায্যে চাষিরা এই গোলাপ ফুল রপ্তানি করেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাজারে। এছাড়াও অন্যান্ন প্রজাতির অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের গোলাপ পূঃমেদিনিপুরের পাশকুড়া, নদীয়ার হরিণঘাটার বিভিন্ন গ্রাম থেকে। কিন্তু এই গোলাপের বেশির ভাগটাই রপ্তানি হয়ে যায় বিদেশে।
ফলে এদেশে লেগেছে গোলাপের আকাল।
তাই টেমস নদির ধারে বিল, রোজিকে লাল গোলাপ দিয়ে ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে’ বলতে পারলেও; গঙ্গার পাড়ে বিকেলের সোনালি রোদকে সাক্ষি করে বান্টি-বাবলির হাতে তুলে দিতে পারবেনা লাল গোলাপ।

জাতীয় লিগের খেলায় ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব ৪-১ গোলে হারাল ভাস্কো,এস,সি কে।


আজ জাতীয় লিগের খেলায় ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব ৪-১ গোলে হারাল ভাস্কো,এস,সি কে। গোয়ার পানাজি ষ্টেডিয়ামে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইষ্টবেঙ্গল জয়লাভ করে। ২৯মিনিটের মাথায় ইষ্ট বেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন সুনীল ছেত্রী।কিছুক্ষন পরেই ইয়াকুবু খেলার ৪৬ মিনিটের মাথায় ২-০ গোলে এগিয়ে দেন দলকে । খেলার ৫২ মিনিটের মাথায় উজবেকিস্থানের প্লেয়ার শেরজড নাজারভ গোল করে পার্থক্য কমালেও এবং খেলার ৫৬ মিনিটের মাথায় ৩-১ গোলে ইষ্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ইয়াকুবু ।খেলার ৯০ মিনিটের মাথায় সুনীল ছেত্রী অন্তিম গোল করে দলকে ৪-১ গোলে জ়য়ী করেন।

আজকের খেলায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন ইউসুফ ইয়াকুবু।

Thursday, February 12, 2009

রিজকাণ্ডের নতুন মোড় ; তদন্তকারী অফিসারের ক্ষতবিক্ষত দেহ মিললো রেল লাইনের ধারে

‘অসম্ভব চাপের মধ্যে রয়েছি আমি।এখন কোন কথা নয়।যা বলার ২২ তারিখের পরে বলব’ – গত কয়েকদিন ধরে অরিন্দমকে কিছু বললে,বাড়ির লোকেদের শুনতে হত এই কথাগুলি।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আগামী ২০শে ফেব্রুয়ারী ছিল রিজকান্ডের শুনানি।কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় শেষপর্যন্ত অরিন্দম আর দেখতে পেলেন না ২২শে ফেব্রুয়ারীর সূর্যোদয়।তার আগেই মত্যুর কালো অন্ধকার নেমে এল তার জীবনে।
রিজওয়ানুর রহমানের মামলার তদন্তকারী অফিসার অরিন্দম মান্নার[৩২] ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ মিলল হুগলির মানকুন্ডু রেললাইনের ধারে।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান,ঘটনাটি আত্মহত্যার।
অরিন্দমের বাবার অভিযোগ – ‘আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।খুনের পিছনে রয়েছেন দমদমের এক সিপিআই[এম] নেতা’।
হাওড়ার দাশনগরের ভারতমাতা গলির বাসিন্দা অরিন্দম মান্না গত ৯ই ফেব্রুয়ারী ‘সিক সাটিফিকেট’ জমা দিয়ে অফিস থেকে ছুটি নেন।তার বাড়ির লোকেদের সংগে কথা বলে জানা গেছে, অরিন্দম মানষিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত ছিলেন।বেশিরভাগ সময় একলা,চুপচাপ থাকতেন।ছুটির মধ্যে থাকলেও বাড়ির লোকেদের সাথে বিশেষ কথাবার্তা বলছিলেন না।
১০ই ফেব্রুয়ারী সকাল বেলায় অরিন্দম বাড়িতে থাকলেও হঠাৎ দুপুর দুটো নাগাদ ‘থানায় যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান।
রাত ৯টা নাগাদ বাবাকে ফোন করে অরিন্দম বলেন – ‘বাড়িতে সিবিআই হানা দিতে পারে।যা কাগজপত্র বাড়িতে আছে,তা পুড়িয়ে ফেলো’।অরিন্দমের বাবা জানতে চান – ‘সিবিআইকে তোমার ভয় কেনো?’ এর উওরে অরিন্দম বলেন – ‘আমার পিছনে কিছু লোক লেগেছে।তারাই আমার অনিষ্ট করার চেষ্টা করছে’।
রাত সোয়া ১১টা নাগাদ আবার বাড়িতে ফোন করেন অরিন্দম।মা মালতি মাণ্ণা ফোন ধরলে অরিন্দম বাবু মায়ের কাছে জানতে চান কাগজপত্র সব পোড়ানো হয়েছে কিনা।
শেষ ফোন রাত দেড়টায় – ‘আমি চললাম’ শুধু এটুকু বলে ফোন কেটে দেন অরিন্দম।এরপর তার কোনও হদিশ আর পাওয়া যায়নি।

প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রিকে সমন জারি

কেরল এর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রি এ কে নারায়নের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কেরল এর স্থানীয় এক আদালত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত ৫ বছর আগেই প্রয়াত হয়েছেন এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রি।
প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রির মৃত্যুর খবরটা গোপন ছিল না।তাহলে এ রকম হাস্যকর কান্ড ঘটল কি ভাবে?
বাস্তবত এ কে নায়নার যে মৃত তা আদালত কে জানানই হয়নি আর তাতে এই বিপত্তি।অতিরিক্ত ম্যাজিস্ত্রেট এস বালাকৃশ্নান এই নিয়ে দু বার সমন জারি করলেন নায়নার নামে।
২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসে প্রথম নায়নার এর নামে গ্রেপ্তারি পরয়ানা জারি করার পরেও আজ পর্যন্ত পুলিশ নায়নার ডেথ সার্টিফিকেট এর রিপোর্ট পেশ করতে পারেনি।
আইন অনুসারে কোনও ব্যক্তির নামে মামলা তুলতে গেলে তার ডেথ সার্টিফিকেট আদালতে পেশ করা জরুরি।
২০০২ সালে সিপিএম এর কালেকটারকে অবরোধ করার এক মামলায় নায়ানার অভিযুক্ত।আইনের জাঁতাকলে চিরশান্তির পরেও জারি হচ্ছে গ্রেপ্তারির ভাগ্য বিড়ম্বনা।

কলকাতা পুরসভায় বিকাশ স্তব্ধ, মুখ খুললেন প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখার্জি-

কলকাতা পুরসভায় বিকাশ স্তব্ধ, মুখ খুললেন প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখার্জি-
পুরসভার কাজের প্রতি বিকাশ বাবুর কোনও মন নেই। কোন’ও প্রতিষ্ঠানের মাথা ঠিক না থাকলে যা হয় কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে’ও তাই ঘটছে। বিকাশ বাবুর কবিত্ব মনে যাই হোক পুরসভা চালনো দায় হয়ে পড়েছে।–সুব্রত মুখার্জী।
বর্তমান পুরবোর্ডের কর্মকান্ড নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখার্জী। কোন’ও রাখঢাক না করে সুব্রতর স্পষ্ট বক্তব্য- বর্তমান পুরবোর্ড পরিচালনা করছে দালাল রাজ্য। স্বাস্থ্য থেকে লাইসেন্স সর্বত্রই দালালদের রমরমা।
বস্তুত গত পাঁচ বছরে মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধিন পুরবোর্ড তার সুনাম খুইয়েছে অনেকটাই। নিজের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে সুব্রত বাবু বলেন-পুরসভার মেয়র থাকার সময় ওয়েডার থেকে শুরু করে সব মিলিয়ে ৬০০ কোটি টাকা সঞ্চয় করে গিয়েছিলাম। তখন সঞ্চয় দুরের কথা বিভিন্ন্ সংস্থা থেকে ক্রমাগত ধর্ণায় চলেছে পুরসভা।এই ঋণ শোধ করতে গিয়ে ভবিষ্যতে বাড়বে করের বোঝা।
বাস্তবত কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বেহাল দশা এবং মেয়রের শিথিল,গাছাড়া এবং কর্মসংস্কৃতি হীন কার্যকলাপে শহরবাসী বিরক্ত। লোক সভা এবং তারপরই পুরসভা ভোট এর প্রাক মুহুর্তে সিপিএম এর গলার কাঁটা ও বিরোধীদের তুরুপের তাস বিকাশ ভট্টাচার্য প্রসঙ্গতা তুললেন কুটনৈতিক সুব্রত।

Wednesday, February 11, 2009

জেলে জায়েগার অভাবে ৫৮০০০ অপরাধীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে ক্যালিফোর্ণিয়া রাজ্য’...


কলকাতা ১১ই ফেব্রুঃ,২০০৯ ,স্বরূপ বোস
সাংবিধানিক সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে দুষ্টের দমন সৃষ্টের পালনের, রাজধর্ম। অন্যদিকে মানব অধিকার রক্ষার দ্বায়।

জেলের তুলনায় অপরাধীর সংখ্যা বেশী। প্রচন্ড কষ্টকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে জেল বন্দিদের। অগত্যা তাদের প্রানে বাঁচাতে, বেকসুর খালাস করে দিতে হবে। এরকমি অদ্ভুত পরিস্থিতি ঘটেছে মার্কিন মুলুকের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে। জেল বন্দিদের দুরবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আদালত আদেশ দিয়েছেন,অবিলম্বে ক্যালিফোর্নিয়ার সংশোধনাগার গুলিকে স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে নির্মান করতে হবে। জেল বন্দিদের ৪০ শতাংশকে মুক্ত করতে হবে।
ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন এবং গভর্নর আর্নল্ড সোয়াজনেকার কোর্টের এই নজির বিহিন আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সরকার এবং আর্মী কোর্টের এই রায়ের সাথে সহমত হতে পারছি না’ জানিয়েছেন ক্যালিফোর্ণিয়া সংশোধনাগারের সেক্রেটারি ম্যাথিউ কেটস। কোর্টের এই রায় মেনে নিতে গেলে অবিলম্বে মুক্ত করতে হবে প্রায় ৫৮ হাজার বন্দিকে।
এই অপরাধিদের মুক্ত করলে ক্যালিফোর্ণিয়া জনজিবন প্রভাবিত হবে।নাগরিকদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারে।
২০০৬ সালে নির্বাচনী প্রচারে ক্যালিফোর্ণিয়া জেলের দুরাবস্থা প্রচার করে বলেছিলেন জেলের ভীতরে দুরাবস্থা ভয়ঙ্কার পুরুশ্ মহিলা জেলের ভিতরে কর্মরত তাদের প্রতিমুহুর্তে অপরাধিদের ক্ষোভের সন্মুখিন হতে হচ্ছে। এদের নিরাপত্তা চিন্তাজনক।
কোর্ট এর এই নির্দেশ অনুসারে ক্যালিফোর্ণিয়া জেলের নিরদিস্ত সঙ্খ্যার প্রায় ২০০ শতাংশ বেশি বন্দি রাখা হয়েছে।
এই মাত্রাত্রিরিক্ত বন্দিদের গাদাগাদি ভাবে রাখার ফলে তাদের স্বাস্থ্য যেমন খতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমন এদের খাদ্য অ চিকিতশা পরিসেবাও সঠিকভাবে পরিবেশিত হচ্ছে না।
তাই বন্দিরা মাঝেমাঝে অসম্ভব ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করছে।
কোর্টের এই নির্দেশ একদিকে যেমন চ্যালেণজ করার কথা ভাবা হচ্ছে অন্যদিকে এই আদেশ পালন করার জন্য প্রয়োজনিও ব্যবস্থা নেওয়া চলছে।
ক্যালিফোর্ণিয়া জেলে যেসব বন্দির ৩ থেকে ৪ মাস মুক্তি পাওয়া বাকি তাদের তালিকা বানানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সৈয়াদ মুস্তাফা সিরাজ এর রম্য রচনা ‘পথে প্রবাসে’তে আফগান জেলের দুর্দশা বর্ননার বহু কাহিনি বাঙ্গালি পড়েছে। এবার শিরোনামে উঠে এল প্রথম বিশ্বের শির্ষে থাকা দেশ ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’।
আসলে গোটা পৃথিবি জেল কে সংশোধনাগারের পোশাকি নামে বিশেষিত করলেও জেল এখন জেলই রয়েছে যার দুয়ারে এসে থমকে দাঁড়ায় ‘মানব অধিকার’।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ক্যান্সার বাড়ছে

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মরণব্যাধী ক্যান্সারের প্রকোপ বেড়েই চলেছে৷ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এইডস কিংবা ম্যালেরিয়ার মত রোগের চেয়েও বেশী মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে ক্যান্সারের মরণ আঘাতে৷

‘বিশ্ব ক্যান্সার দিবস' উপলক্ষে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বিগত ২০০৮ সালে গোটা বিশ্বে ১২ মিলিয়ন বা এক কোটি ২০ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে বলে তারা খবর পেয়েছেন৷ এসব লোকের মধ্যে ৭৬ লাখ মানুষ আর বেঁচে থাকতে পারেনি৷ যত লোক আক্রান্ত হয়েছে তাদের প্রায় অর্ধেকই উন্নয়শীল বিশ্বের নাগরিক এবং মৃত্যুর মুখে পড়া ক্যান্সার রোগীদের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ লোকও উন্নয়নশীল দেশের৷ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না থাকায় এসব দেশগুলোতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া মানে মৃত্যুদন্ডের মতই৷
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডেভিড কের এ ব্যাপারে বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ক্যান্সার এখন একটি সংকটে পরিণত হতে যাচ্ছে – কিন্তু এ বিষয়ে তেমন কোন উচ্চবাচ্য নেই৷ বিষয়টিকে তেমন ভাবে আমলও দেয়া হচ্ছে না৷ তিনি আরো জানান, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর বেঁচে থাকার হার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অত্যন্ত কম৷ সচেতনতার অভাব ও ভুল ধারণার কারণে দেখা যায় অনেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রচলিত চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করেন৷ এর ফলে ক্যান্সার আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে যায়৷ এক পর্যায়ে ক্যান্সার সারানোর আর কোন সুযোগ থাকে না৷
এক্সিয়স ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অত্যন্ত ভয়াবহ একটি আশংকার কথা বলা হয়েছে৷ সেটি হচ্ছে – আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে প্রতি বছর দুই কোটি করে মানুষের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেক্ষেত্রে প্রতি বছর মারা যাবে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ৷
বড়লোকের অসুখ এখন গরীবদের মধ্যে
এক সময় ক্যান্সার ছিলো বড়লোকের অসুখ, কিন্ত এখন সেটি গরিবদের মধ্যেও খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে৷ এর কারণ কি? তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এর একটি কারণ হচ্ছে মানুষ আগের চেয়ে বেশী দিন বেঁচে থাকছে৷ ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে৷ অন্যটি হচ্ছে আধুনিক জীবনযাত্রা৷ ধুমপান, মদ্যপান ছাড়াও যান্ত্রিকতা বেড়ে চলায় এখন মানুষ দৈহিক পরিশ্রম কম করে৷ একদিকে উচ্চ মাত্রার চর্বি ও চিনি যুক্ত খাবার বেশী খাচ্ছে অপরদিকে আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে৷ এছাড়া এইডস এর ভাইরাস এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারাও সহজে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়৷
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে নারী ও পুরুষদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যান্সার দেখা যায়৷ এছাড়া পুরুষরা ফুসফুস ও কিডনীতে এবং নারীরা স্তন এবং গর্ভাশয়ে ক্যন্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে৷ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নিয়মিত মেডিকেল পরীক্ষা সহ প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা না থাকায় ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা প্রাথমিকভাবে তাদের রোগ ধরতে পারেন না৷

Please visit vinnobasar sponsorer:

Taking care of your parents in Kolkata




ব্রেকিং নিউজঃ প্রেসিডেন্সি কলেজ বিরধীদের হাত ছাড়া। ছাত্রসংসদ দখল করল এস,এফ,আই




ব্রেকিং নিউজঃ
প্রেসিডেন্সি কলেজ বিরধীদের হাত ছাড়া। ছাত্রসংসদ দখল করল এস,এফ,আই

Tuesday, February 10, 2009

রাজনৈতিক দল গুলির পরিবেশ সম্পর্কে কি দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত?কলম ধরলেন প্রদেশ কং নেতা শুভঙ্কর সরকার...।(আগামী কাল পড়ুন)

রাজনৈতিক দল গুলির পরিবেশ সম্পর্কে কি দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত?কলম ধরলেন প্রদেশ কং নেতা শুভঙ্কর সরকার...। (১১.০২.০৯, কলকাতা)।
মহামান্য আদালত যে ভার্ডিক্ট দেন সে ভার্ডিক্টকে প্রত্যেক নাগরিকই মানতে বাধ্য। আমি দেশের এক নাগরিক হিসেবে আদালতের রায়কে সম্মান জানাই। বিষয়টি হল যেকোনো, সচেতন রাজনৈতিক দল হিসেবে এমনকিছু করা উচিত নয় যেখানে বিচার ব্যাবস্থার হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের এক ঐতিহাসিক একটি দিক আছে।জাতির বিভিন্ন প্রয়োজনে এই ঐতিহাসিক মাঠ থেকে শত শত কন্ঠের আওয়াজে সমাজের বিভিন্ন অন্যায়ের প্রতিবাদ হয়েছে। একদিকে দুষন আর একদিকে নাগরিক অধিকার এই দুয়ের সমন্যয় রক্ষা করার স্বায়িত্বইতো সচেতন রাজনৈতিক দল গুলির। সমাজ যখন বিভিন্ন দুষণে আক্রান্ত তখন সবুজায়নের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতির উপর কিছুটা ভরসা রেখে অন্যন্ন দুষণ গলিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। প্রকিতির দুষণের বাইরে যে দুষণ গুলি মানুষের দ্বারাই সৃষ্টি হচ্ছে, তা থেকে যদি আমরা কিছুটা সংযত না হই তখন মানুষই সবথে বেশি বিকলাঙ্গে পরিনত হবে।অর্থাৎ নাগরীকেরাই তখন অসহায় হবে বিপন্ন বোধ করবে। তখন অন্যায়ে প্রতিবাদ করার জন্যে নাগরিকদের অধিকার এই ব্রিগেডে মানুষ কোথা থেকে আসবে। রাজনৈতীক দল সভাসমিতি করবেই। কিন্তু পরিবেশ রক্ষা করার যে নিয়ম কানুন তাকে যদি শ্রদ্ধার সঙ্গে বুঝতে হবে এবং বোঝাতে হবে।আমি জাতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র হিসেবে দলের সঙ্গে সঙ্গে এই দর্শনেই বিশ্বাসি।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলি নতুন ভাবে গবেষনা করার প্রয়োজন এসে দাড়িয়েছে।মুক্ত ব্যাবস্থা,বিশ্বায়ন,গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে বিশ্বের দরবার;এই গুলোর কথা আমরা বলব আবার আন্দোলনের নামে মিছিল, মিটিং, সভা এবং বন্ধ এগুলোকেই একমাত্র প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করব; আমার মনে হয় কোথায় যেন স্ববিরোধ এসে যাচ্ছে। আমি মনে করি বিচার ব্যাবস্থা প্রশাসনের সংঘাত নয়, একে অপরের পরিপুরক, সেখানেই গনতন্ত্র বাঁচবে। অন্যায় অত্যাচারের জন্যে মিছিল মিটিংও চাই আবার বুকভরে নিশ্বাসও নেওয়া চাই। আর এই দুই চাহিদা থেকে কোনও রাজনৈতীক দলই তাদের দ্বায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। মহামান্য আদালতের রায় যা হবে তাকে আমরা মানব। নাগরিক হিসেবে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে এটাই আমাদের কাম্য হওয়া উচিৎ। আগামী দিনে যেকোনও ঐতিহাসিক কারনে ঐতিহাসিক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যদি শত শত কণ্ঠের স্বমস্বরে একত্রিত হয়ে কোনো এক বিশেষ মুহুর্তে অন্যায়ের প্রতিবাদে প্রতিধ্বনিত হয় তাও কিন্তু আগামি দিনে আরেক ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
আদালতের নিষেধ অমান্য । রাজনৈতিক দল গুলির কি দায়িত্ব তা নিয়ে জানান যে,রাজনৈতিক দল গুলির এমন কিছু করা উচিত নয় যেখানে বিচার ব্যবস্থাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়..................
Please visit vinnobasar sponsorer:
Taking care of your parents in Kolkata




সি,পি,এম কে বিতর্কে ডাকলো মাওবাদীরা......


ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,১০ই ফেব্রু'০৯
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাদের শিক্ষা বিরোধী বলেছেন বারবার।বামফ্রন্ট, মুখ্যত সি পি আই(এম)এর তরফ থেকে বার বার বলা হয়েছে তারা নীতিহীন,আদর্শহীন।
এবার মাওবাদীরা পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন সি পি এম এর বিরুদ্ধে,তারা জবাব দিতে চান সি পি এম এর সব প্রশ্নের। বসতে চান সি পি এম এর সাথে বিতর্কে।
সিপিআই(মাওবাদি)-র রাজ্য সম্পাদক কাঞ্চনের দাবি সি পি এম মুখে মাওবাদীদের রাজনৈতিক মোকাবিলা ছাড়া ওরা আর কিছুই জানে না।
সি পি এম এর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগের সাথে মার্ক্সবাদী আদর্শ থেকে সি পি এম যে বিচ্যুত সে কথা বার বার প্রকাশ করেছেন এই মাওবাদী নেতা।
কাঞ্চনের অভিযোগ, কোয়েম্বাটুরে পার্টি কংগ্রেসে সি,পি,এম আদিবাসি উন্নয়নের গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দিলেও, ৩২ বছরে পশ্চিম বঙ্গে বাম শাসনে তারা আদিবাসি উন্নয়নের কিছুই করেনি। বরং নিরিহ আদিবাসিদের নানা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে উন্নয়নের অজুহাতে তাদের বস্তু জমি থেকে উৎখাত করেছে।মিত্তল,জিন্দল,টাটাদের হাতে জমি তুলে দিয়ে কেড়ে নিয়েছে কৃষি জমি।
এই মাত্রাহীন শোষণে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আদিবাসি সমাজ লালগড়ে আন্দোলনে নেমেছে বলে মনে করেন কাঞ্চন। এ রাজ্যে জঙ্গল মহলের স্থায়ী সমস্যা গুলি চিহ্ণিত করে তার আসু সমাধানও দাবি করেছেন এই মাওবাদী নেতা।
**(ছবিতে মাওবাদী নেতা সোমেন, বর্তমানে জেলে)

Please visit vinnobasar sponsorer:
Taking care of your parents in Kolkata
www.nriparentalcare.com


ব্রেকিং নিউজ......ব্রেকিং নিউজ...... ব্রেকিং নিউজ.........

বাম বিরোধী জোট..............................

বিষ্ণুপুরে কংগ্রেস প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিল কংগ্রেস।

হাসপাতালে শিশুর চোখ খেলো আরশোলা

অন্তরা পাল, ১০ই ফেব্রু ০৯ কলকাতা- পাঁচদিনের সদ্যজাত শিশুর চোখ খুবলে নিল আরশোলা।ঘটনাটি ঘটেছে নীলরতন সরকার হাসপাতালে।শুধু তাই নয়,শিশুর মলদ্বার মূত্রদ্বার দিয়ে আরশোলা প্রবেশ করে খুবলে নিয়েছে শরীরের অভ্যন্তর অংশ।স্যালাইনের বোতলের ভিতরেও প্রবেশ করেছে আরশোলা।
এরকম ভয়ঙ্কর অবস্থা এই প্রথম নয়।পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে সদ্যজাত শিশুকে শিয়াল-কুকুর টেনে নেওয়ার ঘটনা এর আগে ঘটেছে বহুবার।অপরেশনের পর সংগাহীন রোগীকে পিপড়ে খুবলে খাওয়ার ঘটনাও এর আগে ঘটেছে।স্বাস্থ্য অব্যবস্থায় আরশোলার নাম উঠে এল এই প্রথম।বিশেষত কিছুদিন আগেই বিদেশমন্ত্রী প্রনব মুখার্জী যেখানে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রশংসা করে বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দ্রুত উন্নতি করছে।
বিদেশমন্ত্রীর এই আশারবানির কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশ্যে চলে এল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কাল সার চেহারা।
পাচদিনের এই শিশুটি জন্মেছিল একটিমাত্র চোখ নিয়ে।শারিরীকভাবেও তার কিছু অসুবিধা থাকায় নীলরতন সরকারের শল্য চিকি সা বিভাগে তাকে ভর্তি রাখা হয়।আরশোলার তান্ডবের পর তার চোখের বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থ না হওয়ায় তার দৃষ্টিশক্তি বেচে গেছে।
কম টাকায় পেষ্টকন্ট্রোলের বরাত যে কোম্পানী পেয়েছে,লাভের মাত্রা বজায় রাখতে পোকামাকড় তাড়ানোর ওষুধের বদলে তারা কেবল জল স্প্রে করে যায় – জানিয়েছেন বিভাগীয় প্রধান বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়।বিশ্বনাথবাবু এই ঘটনার প্রতিবাদ আগেই করেছিলেন।পেষ্টকন্ট্রোল কোম্পানীর জিনিসপত্র আটক করে রেখেছিলেন তিনি।সদ্যজাত শিশুর উপর এইরকম মমার্ন্তিক ঘটনার জন্য তিনি পেষ্টকন্ট্রোল কোম্পানীকেই দায়ী করছেন।
পেষ্ট কন্ট্রোল কোম্পানীর মুখপাত্র রাজীব ঘোষকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তার বক্তব্য – “হাসপাতাল থেকে মাসে ৫২৭১ টাকা পাই।এর মধ্যে বেশীরভাগটাই বেরিয়ে যায় কর্মচারীদের মাইনে দিতে।এত আথির্ক অনটনের মধ্যে কষ্টে কাজ করতে হচ্ছে।এরপরে আর কোনও ভুল হবে না”।
প্রতিবারই ভুলের পর প্রতিজ্ঞা নেওয়া হয় যে আর ভুল হবে না।কিন্তূ আবার ভুল হয়ে যায় যেন এই কথাগুলি বলারই জন্য।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে বহু আলোচনা সমালোচনার পরে রাজ্য সরকার তথা স্বাস্থ্য দপ্তরের নিদ্রা ভাঙ্গেনি। এই মহাকাল নিদ্রা না ভাঙ্গা পযর্ন্ত এরকম বহু ঘটনার মাসুল দিতে হবে পশ্চিমবংগ বাসীর সে বিষয়ে সন্দেহ নেই............


Please visit vinnobasar sponsorer:


Taking care of your parents in Kolkata







Monday, February 9, 2009

বামঐক্যঃ বসুর সুর এবার বুদ্ধের কন্ঠে......।।






নিজস্ব সংবাদ দাতা,৯ই ফেব্রুঃ আমরাও ভুল করেছি। পঞ্চায়েত ভোটে একহতে পারিনি,মানুষ আমাদের শাস্তি দিয়েছেন। সেই শিক্ষা নিয়ে এবার ভূল শুধরে নিতে চাই।–বুদ্বদেব ভট্টাচার্য়

বসু অনুপস্থিত,এতদিন বাম ঐক্যের কথা মূলত শোনা যেতো বসুর কন্ঠে।মোট ২৫ মিনিটের ভাষনে প্রায় ১০মিনিট বুদ্ধ খরচ করলেন বাম ঐক্যের কথা বলে।

কূটনৈতিক ভাবে এদিন প্রচেষ্টা করেন বাম ঐক্য মজবুত করতে।বুদ্ধের শাসনে আর,এস,পি নেতা ও পূর্ত মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীর সাথে সংঘাত বেঁধেছে নানা প্রসঙ্গে।সমাবেশে ক্ষিতি গোস্বামীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার প্রসংগ উত্থাপন করলেও সেটা যে সহজ কাজ নয় তা স্বীকার করে নেন বুদ্ধদেব।ভোটের পর যে কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গড়তে হতে পারে এমন সম্ভাবনাও খারিজ করেন নি বুদ্ধ।নইলে বিজেপির মতো ফ্যাসিষ্ট ধর্মীয় শক্তি ক্ষমতায় আসতো।

বক্তব্যে বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী তৃনমূলের রাজনীতিকে শিল্প বিরোধী বলে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন-নন্দিগ্রামে শিল্প হবে না বলার পরও ওরা আন্দোলন করলো।আমরা চলে এলাম নয়াচরে।এখন কাগজে দেখছি নয়াচরের পরিবেশ নিয়ে ওরা খুব চিন্তিত। যেন নয়াচরে হিরোসিমা নাগাসিকা হয়ে যাবে। কেন্দ্রের পরিবেশ মন্ত্রক আমাদের অনুমতি দিয়েছে।ওরা কি মূর্খ?? আমরা নয়াচরে এগবোই।

এই প্রসংগে পরে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে। তিনি জানান-কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এখনো নয়াচরে প্রকল্পের অনুমতি দেয়নি।জিয়লজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তাদের রিপোর্ট দিক।এই প্রকল্পে কি কি ক্ষতি হবে তা বিশদ ভাবে জানাতে হবে।তৃনমূল কংগ্রেস যে কোনও তুফানের বিরুদ্ধে লড়বে অনুমতি দেয়নি।

ব্রিগেডের সমাবেশে বুদ্ধের সঙ্গে তালে তালে মেলালেন শরিক নেতৃবৃন্দও।শিল্প প্রসঙ্গে বিরোধীদের তুলোধনার সাথে কর্মি সমর্থকদের আবেদন জানালেন বাম ঐক্য অটুট রাখার। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু,সি,পি,আই রাজ্য সম্পাদক মঞ্জু কুমার মজুমদার ছাড়াও দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন প্রবীন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অশোক ঘোষ।


Please visit vinnobasar sponsorer:
Taking care of your parents in Kolkata
www.nriparentalcare.com


বাম শাসনের পরিবেশ বলে কিছুই রইল না: সুভাষ দত্ত

ভাস্কর ব্যানার্জী ৯ফেব্রু ২০০৯,কলকাতাঃ ৩২ বছরে বাম শাসনের পরিবেশ বলে কিছুই রইল না। রাজনৈতিক জনসভার নামে সি,পি,আই,এম ক্যাডাররা ময়দানে দাপিয়ে বেড়াল।যত্রতত্র আগুন জ্বালিয়ে পিকনিকে মত্ত হল।বাম শাসনের নানা অপকর্ম নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলাম”।
রবিবার বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশের প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এক নিশ্বাসে বলে ফেললেন কথা গুলি।
বস্তুত কাল সারা দিন শহর অবরুদ্ধ হয়ে যায় বাম সমর্থকদের দাপটে উচ্চ আদালতের যাবতীয় নির্দেশ মানে সভা হবে এমন কথা বাম নেতৃবৃন্দের তরফ থেকে পূর্ব ঘোষিত থাকলেও আদপে তার কোন তোয়াক্কায় করা হয়নি।
ময়দানে সবুজ ঘাসের উপর রীতিমতো হাঁড়ি কুড়ি চড়িয়ে উনুন জ্বেলে পার্টি সমর্থকদের চড়ুই ভাতি ক্ষতি গ্রস্থ করেছে ময়দানের পরিবেশ।সৃষ্টি হয়েছে দুর্ঘটনার।
সি,পি,আই,এম সমর্থকদের নিয়ে ব্রিগেডে আসা একটি বাসে হঠাৎই আগুন জ্বলে যায়।প্রাথমিক তদন্তের পর দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে যে, বাসের সামনে ষ্টোভ জ্বালিয়ে রান্না করার সময় ষ্টোভ ফেটে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।অমরেশ মাইতি (৪০)নামে এক ব্যাক্তি এই দুর্ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে এস এস কে এম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।অমরেশ বাবুর শরিরের অর্ধেক অংশই অগ্নিদগ্ধ।
এছাড়া ব্রিগেডে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করার দায়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ।

Please visit vinnobasar sponsorer:

Taking care of your parents in Kolkata




বসু সুস্থ। গুজবের ঝড় শহর জুড়ে

দিলীপ সাউ,কলকাতা,৯ই ফেব্রুঃশনিবার সকাল থেকে ঘনঘন ফোন আসছে দপ্তরে।উদ্বিগ্ন কন্ঠ গুলি জানতে চাইছে কেমন আছেন জোতি বসু? বসুর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে নেতিবাচক একটা প্রচার ঝড়ের রূপ নিয়েছে।শহর জুড়ে গুজব,মানুষ চোখ রাখছেন টিভির পর্দায়। উদ্বিগ্ন মানুষ ফোন করে খবর নিচ্ছেন দল,মত,নির্বিশেষে সকলে।আসলে সিপিআই(এম),দলের উর্দ্বে কেউ নয়’এমন মতবাদে বিশ্বাসি হলে’ও বর্ষিয়ান এই নেতা এখন দল-মত নির্বিশেষে আপামর বাঙালির সম্পদ। সিপিআই(এম)সুত্রে জানানো হয়েছে বার্ধ্যক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতার কারনে গতকাল ব্রিগেডে বসু উপস্থিত না থাকতে পারলেও তিনি সম্পুর্ন সুস্থ্য ও স্বাভাবিক। বসুর স্বাস্থ্য নিয়ে এই প্রচার বিরোধী রাজনীতির নোংরা অপপ্রচার,বলে বর্ণনা করেছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ব্রিগেডে লাখো মানুষের ভিড়, অথচ জ্যোতি বসু অনুপস্থিত। এমন ঘটনা নজির বিহিন। এর আগে কখনো এরকম ঘটেছে? মনে করতে পারলেন না বসুর আপ্তসহায়ক জয় কৃষ্ণ ঘোষ। জয়কৃষ্ণর কথায়-শুধু ব্রিগেড কেনো, দেশ ভাগ হওয়ার পরে অবিভক্ত কমিউনিষ্ট পার্টির বা পরে সিপিআই(এম)এবং বামফ্রন্টের কোন’ও কেন্দ্রীয় জনসভায় এই প্রথম অনুপস্থিত রইলেন বসু। কাল ব্রিগেড অনুপস্থিতি থাকলেও টিভির পর্দায় ব্রিগেড সমাবেশ দেখেছেন বসু।শুনলেন বিমানের কন্ঠে তার বিবৃতি। শনিবার রাত্রে একটি বেসরকারি চ্যানেলে জ্যোতি বসুর একটি বিশেষ সাক্ষাতকার প্রকাশ করা হয়। বার্ধক্য জনিত কারনে, শারিরিক ভাবে দূর্বল বসু, কাঁপা কন্ঠে মানুষের কাছে লোকসভা ভোটে বাম প্রার্থীদের জয় যুক্ত করার আবেদন জানাছেন। গতকাল ব্রিগেডে সমাবেশেও দলিয় কর্মি সমর্থকদের কাছে একই কথা বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করেন বসু। স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও বসু এখনো রাজনীতি নিয়েই সদাব্যাস্ত। কাল জনসভা টিভির পর্দায় দেখার পর-ছায়া সঙ্গি জয়কৃষ্ণকে জানিয়েছেন-খুব ভালো সভা হয়েছে,টিভিতে দেখলাম সব।


Please visit vinnobasar sponsorer:
Taking care of your parents in Kolkata

Saturday, February 7, 2009

জাতীয় লিগে জয়ের মুখ দেখলো ইস্টবেঙ্গল........



স্বরূপ বোস , কলকাতা ৭ ই ফেব্রু,২০০৯

আবার জয়ের মুখ দেখলো ইস্টবেঙ্গল এয়ার ইন্ডিয়া র সাথে ম্যাচ এ ৩-১ গোল এ জয়লাভ করে। দুপুর তিনটে নাগাদ যুব ভারতীতে শুরু হয় খেলা । প্রথম অর্দ্ধ গোলহীন ভাবে কাটার পর ৪৯ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল টি করেন ইস্টবেঙ্গল এর ইয়াকুব। সাত মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোল টি করেন সুনিল ছেত্রী ও শেষে ৮১ মিনিটের মাথায় ত্তৃতীয় গোল টি করেন সঞ্জু প্রধান ।৮৯ মিনিটের মাথায় সুভাস সিং এর গোলে এয়ার ইন্ডিয়া মুখ রক্ষা করার সু্যোগ পায়।
ম্যান অফ দ ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল এর সঞ্জু প্রধান। এই ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গল এর ঝুলিতে সংগ্রহ হল ১৬ পয়েন্ট।

Please visit vinnobasar sponsorer:
Taking care of your parents in Kolkata
www.nriparentalcare.com

শ্রীলংকাঃ প্রান বাঁচাতে ভিটে ছাড়া প্রায় বাইশশো নিরিহ মানুষ.........

৭ই ফেব্রুয়ারি ২০০৯ শ্রীলংকায় যুদ্ধাঞ্চল থেকে গত দুদিনে বাইশশোরও বেশি মানুষ নিরাপদ এলাকায় পালিয়ে এসেছে। সেনাবাহিনী ২৫ বছর ধরে চলা যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তি ঘটানোর ঘোষণা করেছে শুক্রবার। শ্রীলংকার উত্তর-পূর্বের জঙ্গলের ৬৭ বর্গমাইল এলাকায় দু'পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ এখন কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে। সেনাবাহিনী বলছে, তামিল টাইগাররা সেখানে ঘেরাও হয়ে আছে। হাজার হাজার বেসামরিক লোকও আটকে পড়ে আছে সেখানে। শ্রীলংকার সরকারের পাশাপাশি অনেক দেশও বলছে, তামিল টাইগাররা তাদের চলে যেতে না দেওয়ার তাদের জীবনের ওপর ভয়ানক হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। তবে গত তিন সপ্তাহে এদের অনেকে যুদ্ধাঞ্চল থেকে বের হয়ে এসেছে। সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার উদয় নানায়ক্কারা শুক্রবার বলেন, "আজ এখন পর্যন্ত ৬০০ লোক এসেছে। আগেরদিন এসেছিল ১ হাজার ৬৩৭ জন। যুদ্ধ শেষ করতে কত দিন লাগবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ শেষ করব। আগে সব বেসামরিক লোককে বের হয়ে আসতে দিন, তারপর দেখাবো আমরা কত দ্রুত তা শেষ করতে পারি।" সাহায্য সংস্থাগুলোর মতে, যুদ্ধাঞ্চলে আটকা পড়ে আছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। তবে শ্রীলংকা সরকারের দাবি আটকে পড়াদের সংখ্যা এর অর্ধেক। বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকশে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনকে বলেছেন, বেসামারিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই সেনা অভিযান চলবে।


Please visit vinnobasar sponsorer:


Taking care of your parents in Kolkata


আমেরিকাতে ছাঁটাই হওয়া লোকেদের এবার ভারতে চাকরী দিচ্ছে আই,বি,এম


ভাস্কর ব্যানার্জী, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০০৯- দ্রুত তার সাথে এগিয়ে চলেছে ভারত।পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই বাজারে যেমন চাহিদা বাড়ছে পন্যের তেমন চাহিদা কর্মীর।অন্য দিকে,বিশ্ব আর্থিক মন্দার কবলে পড়ে আমেরিকার টালমাটাল অবস্থা।প্রতিদিন কর্মহীন হচ্ছে প্রচুর মানুষ।
মার্কিন মুলুকের বিশ্ব বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আই বি এমও মন্দার বাজারে আর্থিক ঘাটতির স্বীকার।সামাল দিতে ছাঁটাই করতে হয়েছিল প্রচুর কর্মীকে। এবার তাদের জন্য একটি সুখবর।আমেরিকাতে ছাঁটাই হওয়া আই বি এম কর্মীদের ভারতে নিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে এই সংস্থা।এই কর্মীদের ভারতে আসার টাকা ও ভিসার জন্য সাহায্য করবে সংস্থা।ভারতের সঙ্গে রাশিয়া ও নাইজেরিয়ার মতো বিকাশশীল দেশেও কিছু কর্মীকে পাঠানো হবে বলে সংস্থা সূত্রে গণ মাধ্যমকে জানান হয়েছে।এই কর্মীদের তালিকা ও ভিসা তৈরির প্রস্তুতির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।এই সিদ্ধান্তে কর্মহীন হওয়া আই,বি,এম কর্মীদের মধ্যে সঞ্চার হয়েছে নতুন আশার আলো।
কিন্তু এরপরেও একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি আই বি এমের এই সিদ্ধান্ত কে কি চোখে দেখবে।মার্কিন মুলুকে মন্দার কারনে সে দেশ থেকে “কর্মী উড়িয়ে” এদেশে নিয়োগ করার এই সিদ্ধান্ত কি আঁচ ফেলবে আমাদের কর্মী নিয়োগের সংখ্যায়?
প্রশ্নটা কিন্ত থেকেই যাচ্ছে হয়ত জন্ম দিতে চলেছে নতুন বিতর্কের।

Please visit vinnobasar sponsorer:

Taking care of your parents in Kolkata




Friday, February 6, 2009

আই পি এলে কোন ক্রীকেটার কত দাম পাচ্ছেন-নিলাম তালিকা........


ভারতীয় ক্রিকেটে প্রিমিয়ার লীগ শুরু হতে চলেছে আগামী ১০ই এপ্রিল থেকে ২৯শে মে'০৯,গোয়া।সেখানে কোন খেলোয়াড় ক ত দাম পাচ্ছেন তার নিলাম তালিকা [Images] .
দামের তালিকা হ 'ল
লিষ্ট 'এ'
Player Franchise Price (US $) Price (INR)
Kevin Pietersen [Images] Bangalore Royal Challengers [Images] 1.55 million 7.5 crore
Andrew Flintoff [Images]Chennai Super Kings [Images] 1.55 million 7.5 crore
JP Duminy [
Images]Mumbai Indians [Images] 950,০০০, 4.65 crore
Shaun Tait [
Images]Rajasthan Royals [Images] 375, 000 1.83 crore
লিষ্ট 'বি'
Fidel Edwards Deccan Chargers 150, ০০০ 75.3 lakh
Owais Shah [
Images]Delhi Daredevils [Images] 275, 000 1.34 crore
Paul Collingwood [
Images]Delhi Daredevils 275,000 1.34 crore
Stuart Clark Unsold
Brad Haddin Unsold
Chamara Kapugedera [
Images] Unsold
লিষ্ট 'সি'
Tyron Henderson Rajasthan Royals 650, 000 3.18 crore
Ravi Bopara [
Images] King's XI Punjab 450, 000 2.20 crore
Thilan Thushara Chennai Super Kings 140, 000 68.6 lakh
Jesse Ryder [
Images] Bangalore Royal Challengers 160, 000 78.4 lakh
Kyle Mills [
Images] Mumbai Indians 150, 000 73.5 lakh
Nuwan Kulasekara [
Images] Unsold
Luke Wright Unsold
Phil Jaques Unsold
Ashwell Prince [
Images] Unsold
Andre Nel [Images] Unsold
লিষ্ট 'ডি'
Jerome Taylor [
Images] King's XI Punjab 150,000 73.5 lakh
Dwayne Smith Deccan Chargers 100, 000 49 lakh
Mohammad Ashraful [
Images] 75,000
Shakib Al Hasan Unsold
Morne van Wyk Unsold
Steven Smith Unsold
Ashley Noffke Unsold
Gulam Bodi Unsold
Samit Patel Unsold
Darren Powell Unsold
লিষ্ট 'ই'
Tamim Iqbal Unsold
Jonathan Moss Unsold
Bryce McGain Unsold
James Franklin Unsold
Aiden Blizzard Unsold

R Sarwan Unsold
Michael Klinger Unsold
K Weeraratne Unsold
Dominic Thornely Unsold
P Jayawardene Unsold
লিষ্ট 'এফ'

M Mortaza Kolkata Knight Riders [
Images] 600, 000 2.94 crore
George Bailey Chennai Super Kings 50, 000 24.5 lakh
Yusuf Abdullah Unsold
Daniel Harris Unsold
Kemar Roach Unsold
Aaron Bird Unsold
Michael Dighton Unsold
Michael Hill Unsold
Brett Geeves Unsold

মোহনবাগান-স্পোটিং ক্লাব ডা গোয়ার ফুটবল ম্যাচ


৫ই ফেব্রুয়ারি ২০০৯বিকেল ৫ টাআর কিছুক্ষনের আপেক্ষা শুরু হতে চলেছে মোহনবাগান-স্পোটিং ক্লাব ডা গোয়ার ফুটবল ম্যাচ। কলকাতার ফুটবল পাগল মানুষ এখন সল্টলেক স্টেডিয়াম মুখি।দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হওয়ার কিছুখনের মধ্যে বাইচুং এর একটি বাতিল করে দেয়।
এই মাত্র বাইচুং গোল করে মোহন বাগান কে এগিয়ে দেয়......।


এই মাত্র খেলা শেষ হ্ল । আজকের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ বাইচুং ভূটিয়া

মোহনবাগান-স্পোটিং ক্লাব ডা গোয়ার ফুটবল ম্যাচ

৫ই ফেব্রুয়ারি ২০০৯
বিকেল ৫ টা
আর কিছুক্ষনের আপেক্ষা শুরু হতে চলেছে মহনবাগান-স্পটিং ক্লাব ডা গোয়ার ফুটবল ম্যাচ। কলকাতার ফুটবল পাগোল মানুষ এখন সল্টলেক স্টেডিয়াম মুখি।
৬ টা ৩০ শে শুরু হবে খেলা। এই ম্যাচে জয় লাভ করলে মহনবাগান গরবে নতুন রেকর্ড । পর পর ন’ টা ম্যাচ জেতার নতুন রেকর্ড । সমর্থকদের মধ্যে তাই উত্তেজনা চরমে। ব্যান্ড- তাসা-পতাকা নিয়ে স্ব ঊল্লাশে তারা স্টেডিয়াম মুখি।

মুম্বাই এর সন্ত্রাসে সরাসরি পাকিস্তানের আই এস আই এর হাত প্রমানিত………।


৫ই ফেব্র"য়ারি২০০৯ মুম্বাই হামলার পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই'র যোগসাজশ ছিল। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শিবশঙ্কর মেনন একথা বলেছেন। তার এ কথার মধ্য দিয়ে ভারত সরকার এই প্রথম মুম্বাই হামলায় সরাসরি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাটির নাম উল্লেখ করল। "অপরাধীরা পাকিস্তান থেকেই পরিকল্পনা করেছে, প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং হামলা পরিচালনা করেছে। আর হামলার সংগঠকরা আইএসআই'র গ্রাহক ছিল এবং আছে। আইএসআই তাদের সৃষ্টি করেছে।" প্যারিসে ফরেন অ্যাফেয়ার্স সংক্রান্ত এক সম্মেলনে বুধবার শিবশঙ্কর একথা বলেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় শিবশঙ্করের এই বক্তব্য বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রকাশ করে। নভেম্বরে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে এবং ভারত শান্তি আলোচনা স্থগিত করেছে। এ পরিস্থিতিতে মেনন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও তীব্র অভিযোগ আনলেন। মুম্বাই হামলা তদন্ত এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার বিষয়টিও পাকিস্তান কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ।
Please visit vinnobasar sponsorer:
Taking care of your parents in Kolkata
www.nriparentalcare.com

চতুর্থ ওয়ানডেতেও শ্রীলঙ্কা কে নাস্তানাবুদ করল টিম-ইন্ডিয়া।


৬ই ফেব্রয়ারি ২০০৯ - বৃহস্পতিবার গৌতম গম্ভীরের ১৫০ রানের দারুণ চতুর্থ ওয়ানডেতেও সহজে জিতে গেলো ভারত। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করা 'টিম ইন্ডিয়া'র ৫ উইকেটে ৩৩২ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়ে গেলো ২৬৫ রানে।এর সুবাদে ৬৭ রানে জ্য লাভ ক্রল ভারত। অন্যদিকে, ওয়াসিম আকরামকে পেছনে ফেলে ওয়ানডের সর্বোচ্চ উইকেটের (৫০৩) মালিক এখন মুত্তিয়া মুরালিধরন। কিন্তু 'মুরালি'র আরেকটি অসাধারণ অর্জনের দিনে যথারীতি শ্রীলঙ্কার বোলাররা ভারতের ব্যাটসম্যানদের হাতে 'প্রহৃত'!টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়া ভারত তৃতীয় ওভারেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বীরেন্দর শেবাগকে (৫) হারালেও দলকে ধাক্কাটা বুঝতেই দেননি গম্ভীর ও ধোনি। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ১৮৮ রানের জুটি বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছে ভারতের। গম্ভীর ১১৩ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে পৌঁছালেও মাত্র ৬ রানের জন্য 'ম্যাজিক ফিগার' স্পর্শ করতে পারেননি ধোনি। ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৯৬ বলে ৯৪ রান করা ভারত অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন সনাৎ জয়াসুরিয়া। ভারতের স্কোর তখন ২ উইকেটে ২০২ রান। ধোনি আউট হওয়ার পরের ওভারেই ভারতকে জোড়া ধাক্কা দিয়েছেন নুয়ান কুলাসেকারা। পরপর দুই ওভারে তিনি বোল্ড করেছেন আগের ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে ম্যাচ-সেরা নির্বাচিত যুবরাজ সিং (৫) এবং আক্রমণাত্মক ফিফটি করা ইউসুফ পাঠানকে (০)। কিন্তু গম্ভীর তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। সুরেশ রায়নাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়েছেন ১০৩ রানের আরেকটা কার্যকর জুটি। শেষ পর্যন্ত গম্ভীরের ১৪ বাউন্ডারি ও একটি ছক্কাসমৃদ্ধ ১৪৭ বলের অসাধারণ ইনিংসটার সমাপ্তি ঘটেছে মুরালিধরনের হাতে, কটবিহাইন্ড হয়ে। এই উইকেটই 'মুরালি'কে বসিয়ে দিয়েছে ওয়ানডে বোলারদের শীর্ষাসনে। ততক্ষণে অবশ্য তিন শ' পেরিয়ে গেছে ভারত। সংগ্রহটাকে ৩৩২ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব সুরেশ রায়নার। ৩৭ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকা রায়নার ব্যাট থেকে এসেছে ৪টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। জবাব দিতে নেমে জয়াসুরিয়া (২৭) ও তিলকরতেœ দিলশান (৩৮) ঝড়ো সূচনা এনে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কাকে। ১২ ওভারে ৭৯ রান পাওয়ায় শ্রীলঙ্কানরা জয়ের স্বপ্নও দেখতে পারছিল। কিন্তু এই দুজনের বিদায়ের পর কুমার সাঙ্গাকারা ৫৬ রান করলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাওয়া আস্কিং রেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা। শেষ দিকে নুয়ান কুলাসেকারা ২২ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করলেও তা শ্রীলঙ্কার পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে। আরেকটি অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হওয়ার কারণে মাহেলা জয়াবর্ধনের দল এখন হোয়াইট ওয়াশের আশঙ্কার সামনে দাঁড়িয়ে! রোববার অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ। সংক্ষিপ্ত স্কোর : ভারত : ৫০ ওভারে ৩৩২/৫ (শেবাগ ৫, গম্ভীর ১৫০, ধোনি ৯৪, যুবরাজ ৫, ইউসুফ ০, রায়না ৪৯*, রোহিত ৪*, অতিরিক্ত ২৫; কুলাসেকারা ৩/৬৩, মাহারুফ ০/৬০, ফার্নান্দো ০/৬৪, ম্যাথুস ০/২৪, মুরালিধরন ১/৬৬, জয়াসুরিয়া ১/৪৬) শ্রীলঙ্কা : ৪৮ ওভারে ২৬৫ (দিলশান ৩৮, জয়াসুরিয়া ২৭, সাঙ্গাকারা ৫৬, জয়াবর্ধনে ২৮, কানদাম্বি ১০, কাপুগেদারা ১৬, ম্যাথুস ৬, মাহারুফ ২৮, কুলাসেকারা ৩৯*, মুরালিধরন ০, ফার্নান্দো ৯, অতিরিক্ত ৮; প্রাভীন ২/৩৮, ইরফান ৩/৫৮, ইশান্ত ০/৩৯, ওঝা ১/৩৪, শেবাগ ২/৪৩, ইউসুফ ১/১৩, যুবরাজ ১/৩৭)। ফল : ভারত ৬৭ রানে জয়ী ম্যান অব দ্য ম্যাচ : গৌতম গম্ভীর।

Please visit vinnobasar sponsorer:


Taking care of your parents in Kolkata