Thursday, February 19, 2009

ধনতন্ত্রের পিঠস্থান আমেরিকানরা ব্যাঙ্কিং সেক্টরের ন্যাশালাইজেশন চাইছে।

কলকাতা,১৯শে ফেব্রু'০৯
এবার টনক নড়েছে মার্কিন নাগরীকদের। পৃথিবীর সর্বশক্তিমান দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনিতির প্রশ্নে ছুটতে হচ্ছ ভারতের পিছু পিছু। বিশ্ব আর্থিক মন্দার কবলে পড়ে তাবর উন্নত দেশ নাজেহাল তখন ভারতের অর্থনিতিতে এর প্রভাব পড়েছে সামান্যতম। কিন্তু এর রহস্যটা কোথায়?ভারতীয় অর্থনীতিবিদ দের মতামত, ব্যাঙ্কের জাতীয়করন ভারতের অর্থনিতির ভিত মজবুত করেছে। ষাটের দশকে প্রধানমন্ত্রি ইন্দিরা গান্ধি ব্যাঙ্কের জাতিয়করনের উদ্দ্যোগ নেন। বাম দল সহ বিরোধী প্রায় সব দলের সমর্থনে সাংসদে পাস হয়েছিলো ব্যাঙ্কের জাতীয়তা করন বিল। ওই মহেন্দ্রক্ষনেই ভারতের অর্থনিতির কপালে রাজতিলক পড়েছিল সন্দেহ নেই। গরিব এই দেশের গরিব মানুষ এখনো একটা বিষয়ে নিশ্চিন্ত, ব্যাঙ্কে তার নামে এক টাকাও যদি থাকে তবে সেটা তারই,কারও আত্মসাৎ করার ক্ষমতা নেই। ভারতের এই অর্থনিতীর ‘সুপার হিট’ ফরমুলা এবার নিজের দেশে চালান করতে চান মার্কিন নাগোরিকরা। ধনতন্ত্রের পিঠস্থানে দাবি উঠেছে গরিব হিন্দুস্থানের ডাটাবেস কপি করে পেষ্ট করার। এই দাবিটি উঠেছে একটি জনবিতর্ক সভার মাধ্যমে। এই বিতর্ক সভাটিতে মূল বিষয় ছিল মার্কিন অর্থনিতীর ভবিষ্যত। এটা এমন একটা বিষয় যা বিগত দুবছর আগেও মার্কিন নাগরিকদের কাছে আশার বানী বহন করে চলতো। তবে বিশ্ব আর্থিক মন্দা পুরো ব্যাপারটায় যেন একটু চিড় ধরিয়ে ফেলেছে। এখন এই বিষয় বিতর্ক মানেই কপালে ভাজ ফেলা গুরুগম্ভির আলোচনা। একের পর এক মার্কিন ব্যাঙ্কের দেউলিয়া ঘোষনা যে এই উদ্বিগ্নতার মূল কারন সে বিষয় সন্দেহ নেই। নিজস্ব সম্পদ রক্ষার তাগিদে মার্কিনরা যে এরকম দাবি তুলবেন সে বিষয়ে সন্দেহ কি? কিন্তু মার্কিন সরকার কি অর্থনিতির প্রশ্নে এতবড় একটা পদক্ষেপ অতো সহজে নিতে সক্ষম হবেন? প্রশ্নটা সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে ঘোরাফেরা করছে ‘নিউজ উইকের’ মাইকেল হার্স থেকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিকোলাস ক্রিষ্টফার এর মতো অর্থনিতী বিদদের মগজে। তবে দেশের বেশির ভাগ মানুষদের সাথে বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনিতিবিদ ও কলমচিরা এবিষয় একমত যে সাধারণ মার্কিন নাগরীকদের স্বার্থে ওবামা সরকারের উচিৎ ব্যাঙ্কের জাতীয় করন করা।ওয়াশিংটন পোষ্টের সাংবাদিক কলমিষ্ট নোউরিয়াল রবিন এবং ম্যাথিউয়ার রিচার্ডসন ওয়াশিংটন পোষ্টে এক নিবন্ধে লিখেছেন যদি এই বিশ্ব আর্থিক মন্দা থেকে নিস্তার পেতে হয় এবং ভবিষ্যতে এটাকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করতে হয় তাহলে ব্যাঙ্কের জাতিয় করন জরুরি। নবেল জয়ী অর্থনিতিবিদ ও নিউইয়র্ক টাইমসের কলমচি পাউল ক্রাগমান সর্ব প্রথম ব্যাংকের জাতীয় করন বিষয় সোচ্চার হন। তারপর থেকে বিভিন্ন মার্কিন সংবাদ পত্র কলম ধরেছে। এই ইসুতে মার্কিন দেশে এখন ব্যাপক জনমত’ও সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্য টেলিভিশন চ্যানেল যেমন এবিসি, ‘দ্যা উইক’ নামে এক বিশেষ টক শোয়ে গ্রাহাম জোরদার দাবি করেছেন ব্যাঙ্কের জাতিয় করনের। এন,বি,সি টিভির মিট দ্য প্রেস অনুষ্টানের সঞ্চালক ডেভিও অক্সিইলরওড আশা প্রকাশ করেছেন- ‘ওবামা সরকার প্রশাসনটা একটু গুছিয়ে নিয়েই,ব্যাঙ্কের জাতিয় করনের মতো এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন’। গরিবের কথা না কি বাসি হলেও সত্যি শোনায়। গরিব ভারতের ভূখা দুর্দিনে নেওয়া সেই পদক্ষেপ আজ আমাদের দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দিয়েছে। ভারতবর্ষ যে কল্পনার থেকেও দ্রুত গতীতে অগ্রসর হচ্ছে তার পেছনে পঞ্চায়েতি রাজ, ভূমি সংস্কার ও ব্যাঙ্কের জাতীয় করনের মতো প্রকল্প গুলির অবদান অনস্বিকার্য। তাই ধনতন্ত্রের পিঠস্থানে ব্যাঙ্কের জাতীয় করন করার মত অর্থনৈতিক পদক্ষেপ টুকছে মার্কিনরা,ভারতের অর্থনিতির পুরানো খাতা থেকে।

http://nriparentalcare.com/promotions




No comments:

Post a Comment