Thursday, February 12, 2009

রিজকাণ্ডের নতুন মোড় ; তদন্তকারী অফিসারের ক্ষতবিক্ষত দেহ মিললো রেল লাইনের ধারে

‘অসম্ভব চাপের মধ্যে রয়েছি আমি।এখন কোন কথা নয়।যা বলার ২২ তারিখের পরে বলব’ – গত কয়েকদিন ধরে অরিন্দমকে কিছু বললে,বাড়ির লোকেদের শুনতে হত এই কথাগুলি।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আগামী ২০শে ফেব্রুয়ারী ছিল রিজকান্ডের শুনানি।কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় শেষপর্যন্ত অরিন্দম আর দেখতে পেলেন না ২২শে ফেব্রুয়ারীর সূর্যোদয়।তার আগেই মত্যুর কালো অন্ধকার নেমে এল তার জীবনে।
রিজওয়ানুর রহমানের মামলার তদন্তকারী অফিসার অরিন্দম মান্নার[৩২] ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ মিলল হুগলির মানকুন্ডু রেললাইনের ধারে।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান,ঘটনাটি আত্মহত্যার।
অরিন্দমের বাবার অভিযোগ – ‘আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।খুনের পিছনে রয়েছেন দমদমের এক সিপিআই[এম] নেতা’।
হাওড়ার দাশনগরের ভারতমাতা গলির বাসিন্দা অরিন্দম মান্না গত ৯ই ফেব্রুয়ারী ‘সিক সাটিফিকেট’ জমা দিয়ে অফিস থেকে ছুটি নেন।তার বাড়ির লোকেদের সংগে কথা বলে জানা গেছে, অরিন্দম মানষিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত ছিলেন।বেশিরভাগ সময় একলা,চুপচাপ থাকতেন।ছুটির মধ্যে থাকলেও বাড়ির লোকেদের সাথে বিশেষ কথাবার্তা বলছিলেন না।
১০ই ফেব্রুয়ারী সকাল বেলায় অরিন্দম বাড়িতে থাকলেও হঠাৎ দুপুর দুটো নাগাদ ‘থানায় যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান।
রাত ৯টা নাগাদ বাবাকে ফোন করে অরিন্দম বলেন – ‘বাড়িতে সিবিআই হানা দিতে পারে।যা কাগজপত্র বাড়িতে আছে,তা পুড়িয়ে ফেলো’।অরিন্দমের বাবা জানতে চান – ‘সিবিআইকে তোমার ভয় কেনো?’ এর উওরে অরিন্দম বলেন – ‘আমার পিছনে কিছু লোক লেগেছে।তারাই আমার অনিষ্ট করার চেষ্টা করছে’।
রাত সোয়া ১১টা নাগাদ আবার বাড়িতে ফোন করেন অরিন্দম।মা মালতি মাণ্ণা ফোন ধরলে অরিন্দম বাবু মায়ের কাছে জানতে চান কাগজপত্র সব পোড়ানো হয়েছে কিনা।
শেষ ফোন রাত দেড়টায় – ‘আমি চললাম’ শুধু এটুকু বলে ফোন কেটে দেন অরিন্দম।এরপর তার কোনও হদিশ আর পাওয়া যায়নি।

No comments:

Post a Comment