
এরকম ভয়ঙ্কর অবস্থা এই প্রথম নয়।পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে সদ্যজাত শিশুকে শিয়াল-কুকুর টেনে নেওয়ার ঘটনা এর আগে ঘটেছে বহুবার।অপরেশনের পর সংগাহীন রোগীকে পিপড়ে খুবলে খাওয়ার ঘটনাও এর আগে ঘটেছে।স্বাস্থ্য অব্যবস্থায় আরশোলার নাম উঠে এল এই প্রথম।বিশেষত কিছুদিন আগেই বিদেশমন্ত্রী প্রনব মুখার্জী যেখানে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রশংসা করে বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দ্রুত উন্নতি করছে।
বিদেশমন্ত্রীর এই আশারবানির কিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশ্যে চলে এল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কাল সার চেহারা।
পাচদিনের এই শিশুটি জন্মেছিল একটিমাত্র চোখ নিয়ে।শারিরীকভাবেও তার কিছু অসুবিধা থাকায় নীলরতন সরকারের শল্য চিকি সা বিভাগে তাকে ভর্তি রাখা হয়।আরশোলার তান্ডবের পর তার চোখের বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থ না হওয়ায় তার দৃষ্টিশক্তি বেচে গেছে।
কম টাকায় পেষ্টকন্ট্রোলের বরাত যে কোম্পানী পেয়েছে,লাভের মাত্রা বজায় রাখতে পোকামাকড় তাড়ানোর ওষুধের বদলে তারা কেবল জল স্প্রে করে যায় – জানিয়েছেন বিভাগীয় প্রধান বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়।বিশ্বনাথবাবু এই ঘটনার প্রতিবাদ আগেই করেছিলেন।পেষ্টকন্ট্রোল কোম্পানীর জিনিসপত্র আটক করে রেখেছিলেন তিনি।সদ্যজাত শিশুর উপর এইরকম মমার্ন্তিক ঘটনার জন্য তিনি পেষ্টকন্ট্রোল কোম্পানীকেই দায়ী করছেন।
পেষ্ট কন্ট্রোল কোম্পানীর মুখপাত্র রাজীব ঘোষকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তার বক্তব্য – “হাসপাতাল থেকে মাসে ৫২৭১ টাকা পাই।এর মধ্যে বেশীরভাগটাই বেরিয়ে যায় কর্মচারীদের মাইনে দিতে।এত আথির্ক অনটনের মধ্যে কষ্টে কাজ করতে হচ্ছে।এরপরে আর কোনও ভুল হবে না”।
প্রতিবারই ভুলের পর প্রতিজ্ঞা নেওয়া হয় যে আর ভুল হবে না।কিন্তূ আবার ভুল হয়ে যায় যেন এই কথাগুলি বলারই জন্য।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে বহু আলোচনা সমালোচনার পরে রাজ্য সরকার তথা স্বাস্থ্য দপ্তরের নিদ্রা ভাঙ্গেনি। এই মহাকাল নিদ্রা না ভাঙ্গা পযর্ন্ত এরকম বহু ঘটনার মাসুল দিতে হবে পশ্চিমবংগ বাসীর সে বিষয়ে সন্দেহ নেই............
No comments:
Post a Comment