
সূক্ষ্ম ও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ডলফিনরা তাদের শিকার করা কাটলফিশের আঁশ এবং কাঁটা ছাড়িয়ে যেভাবে খাবার উপযোগী নরম উপাদানে (জলজ ড্রাই ফুড) পরিণত করে তাতে এদেরকে সমুদ্রের রাধুনী বলা যেতে পারে৷ অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই কথা৷
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণের রাজ্য স্পেন্সার গাল্ফে একটি নারী প্রজাতির ডলফিনকে তার শিকার করা সামুদ্রিক মাছকে খাবার উপযোগী করে তুলতে, ধাপে ধাপে ঠিক এই জটিল প্রক্রিয়াটি অনুসরন করে রান্না করতে দেখা গিয়েছে।
গবেষক দলের সদস্য এবং ভিক্টোরিয়া জাদুঘরের পরিচালক মার্ক নরম্যান ক্যানবেরা টাইমস পত্রিকাকে বলেন,-“ ডলফিনদের বুদ্ধিমত্তা কী পরিমাণে উন্নত হচ্ছে এটা তারই মাপকাঠি”৷
গবেষক দল বলেছেন, তাঁরা একাধিকবার দেখেছেন যে, একটি মেয়ে ডলফিন সামুদ্রিক মাছ ধরে বালুকাময় সমুদ্র তলদেশে নিয়ে শৈবাল থেকে আলাদা করে৷
এরপর ডলফিনটি তার সুঁচালো অগ্রভাগ দিয়ে সামুদ্রিক মাছটিকে ফুঁড়ে এমনভাবে আছাড় দেয় যে, একটা শব্দ করে মাছটির মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায়৷ মেরুদন্ড ভাঙ্গার এই শব্দ ডুবুরিরা পর্যন্ত শুনতে পায়৷ তারপর ডলফিনটি, মাছটিকে উপরে তুলে তার নাক দিয়ে আঘাত করে কাটলফিশের আত্নরক্ষার জন্য থাকা বিষাক্ত কালো তরল পদার্থ বের করে দেয়৷
পরে শিকারটিকে সমুদ্র তলদেশে নিয়ে যায় এবং সেখানে বালি দিয়ে ঘঁষে আঁশ ছাড়িয়ে এটাকে নরম খাদ্যে পরিণত করে৷
জুরিখ ইউনিভার্সিটির গবেষক মাইকেল ক্রুটজেন নিউ সায়েন্টিস্ট ম্যাগাজিনকে বলেছেন, স্তন্যপায়ী প্রাণীরা সাধারণত খাবার খোঁজার সময় স্পঞ্জ জাতীয় এক ধরণের গ্লাভস ব্যবহার করে থাকে৷
অন্যান্য গবেষকগণ দেখেছেন, ডলফিনরা চাঁদামাছ জাতীয় শিকারের কাঁটা এবং মেরুদন্ড বাদ দিতে এবং মিটার খানেক দীর্ঘ গোল্ডেন ট্রাভেলি মাছকে খাওয়ার উপযোগী করতে ছোট ছোট টুকরায় পরিণত করে থাকে৷
Taking care of your parents in Kolkata
No comments:
Post a Comment