
কলকাতা ১১ই ফেব্রুঃ,২০০৯ ,স্বরূপ বোস
সাংবিধানিক সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে দুষ্টের দমন সৃষ্টের পালনের, রাজধর্ম। অন্যদিকে মানব অধিকার রক্ষার দ্বায়।
জেলের তুলনায় অপরাধীর সংখ্যা বেশী। প্রচন্ড কষ্টকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে জেল বন্দিদের। অগত্যা তাদের প্রানে বাঁচাতে, বেকসুর খালাস করে দিতে হবে। এরকমি অদ্ভুত পরিস্থিতি ঘটেছে মার্কিন মুলুকের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে। জেল বন্দিদের দুরবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আদালত আদেশ দিয়েছেন,অবিলম্বে ক্যালিফোর্নিয়ার সংশোধনাগার গুলিকে স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে নির্মান করতে হবে। জেল বন্দিদের ৪০ শতাংশকে মুক্ত করতে হবে।
ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন এবং গভর্নর আর্নল্ড সোয়াজনেকার কোর্টের এই নজির বিহিন আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সরকার এবং আর্মী কোর্টের এই রায়ের সাথে সহমত হতে পারছি না’ জানিয়েছেন ক্যালিফোর্ণিয়া সংশোধনাগারের সেক্রেটারি ম্যাথিউ কেটস। কোর্টের এই রায় মেনে নিতে গেলে অবিলম্বে মুক্ত করতে হবে প্রায় ৫৮ হাজার বন্দিকে।
এই অপরাধিদের মুক্ত করলে ক্যালিফোর্ণিয়া জনজিবন প্রভাবিত হবে।নাগরিকদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারে।
২০০৬ সালে নির্বাচনী প্রচারে ক্যালিফোর্ণিয়া জেলের দুরাবস্থা প্রচার করে বলেছিলেন জেলের ভীতরে দুরাবস্থা ভয়ঙ্কার পুরুশ্ মহিলা জেলের ভিতরে কর্মরত তাদের প্রতিমুহুর্তে অপরাধিদের ক্ষোভের সন্মুখিন হতে হচ্ছে। এদের নিরাপত্তা চিন্তাজনক।
কোর্ট এর এই নির্দেশ অনুসারে ক্যালিফোর্ণিয়া জেলের নিরদিস্ত সঙ্খ্যার প্রায় ২০০ শতাংশ বেশি বন্দি রাখা হয়েছে।
এই মাত্রাত্রিরিক্ত বন্দিদের গাদাগাদি ভাবে রাখার ফলে তাদের স্বাস্থ্য যেমন খতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমন এদের খাদ্য অ চিকিতশা পরিসেবাও সঠিকভাবে পরিবেশিত হচ্ছে না।
তাই বন্দিরা মাঝেমাঝে অসম্ভব ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করছে।
কোর্টের এই নির্দেশ একদিকে যেমন চ্যালেণজ করার কথা ভাবা হচ্ছে অন্যদিকে এই আদেশ পালন করার জন্য প্রয়োজনিও ব্যবস্থা নেওয়া চলছে।
ক্যালিফোর্ণিয়া জেলে যেসব বন্দির ৩ থেকে ৪ মাস মুক্তি পাওয়া বাকি তাদের তালিকা বানানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সৈয়াদ মুস্তাফা সিরাজ এর রম্য রচনা ‘পথে প্রবাসে’তে আফগান জেলের দুর্দশা বর্ননার বহু কাহিনি বাঙ্গালি পড়েছে। এবার শিরোনামে উঠে এল প্রথম বিশ্বের শির্ষে থাকা দেশ ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’।
আসলে গোটা পৃথিবি জেল কে সংশোধনাগারের পোশাকি নামে বিশেষিত করলেও জেল এখন জেলই রয়েছে যার দুয়ারে এসে থমকে দাঁড়ায় ‘মানব অধিকার’।
No comments:
Post a Comment