Monday, February 2, 2009

মিডিয়ার মাধ্যমে নয় কুটনৈতীক সুসম্পর্কের স্বার্থে সরাসরি কথা বলুক পাকিস্তানঃ প্রনব












“কুটনৈতিক ভাবে ভারত পাকিস্থানের সম্পর্ক এখনও এতটা অবনত হয়নি, যে মিডিয়ার মাধ্যমে কথা চালাচালি করতে হবে” মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী প্রনব মুখার্জী। সম্প্রতী ‘মুম্বাই হামলার রিপোর্ট’ পাকিস্থান প্রকাশ করেছে এমন দাবি মিডিয়াতে করলেও ভারত সরকার কে সরাসরি কিছু না জানানও প্রনব মুখার্জীর এই মন্তব্য। প্রনব চান রাষ্ট্রদুতের মাধ্যমে রিপোর্ট্ টি ভারতের হাতে তুলেদিক পাকিস্তান। পাক জঙ্গী ঘাঁটি সম্পর্কে নতুন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে ভারতের হাতে।
এতদিন পাকিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী উপজাতি এলাকাই তালিবান দের ঘাঁটি এবং আল-কায়দার নিরাপদ আস্তানা বলে পরিচিত ছিল৷ এখন মনোরম সোয়াত উপত্যকাও বস্তুত জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে৷

সোয়াত ভ্যালিকে কিন্তু উজরিস্তানের মতো প্রত্যন্ত প্রদেশ বলার কোনো উপায় নেই।
রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে তার দূরত্ব আকাশপথে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার৷ এবং সেই সোয়াত ভ্যালির নতুন একচ্ছত্র অধিপতি হল মৌলানা ফজলুল্লা৷ ফজলুল্লা ও তার যোদ্ধারা পাকিস্তানী তালিবানেরই অঙ্গ৷ সোয়াতে তার নিজস্ব বেতারকেন্দ্র থেকে ইসলামের এক মৌলবাদী সংস্করণ প্রচারণার জন্য তার ডাকনাম ‘রেডিও মোল্লা’৷ আবার তালিবানও এই বেতার অনুষ্ঠানটি ব্যবহার করছে তাদের নিজের কাজে৷ যেমন গত সপ্তাহান্তে ঐ বেতার অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এবং সাংসদ সহ জনা চল্লিশেক ব্যক্তির নাম পাঠ করা হয়েছে, তালিবান যাদের আদালতে বিচার করার অভিপ্রায় রাখে৷
সোয়াত ভ্যালিতে তালিবান বিরোধীদের হত্যা এবং গুমখুন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার, যেখানে সেনাবাহিনীও রাত্রে তাদের ছাউনি থেকে বেরনোরই সাহস করে না৷
পাকিস্তানের সাংবাদিক আহমেদ রশিদ এক আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত তালিবান বিশেষজ্ঞ৷ তিনি বলেন, ‘সমগ্র সোয়াত ভ্যালি জঙ্গিদের হাতে বলেই মনে হচ্ছে - এক সেনাবাহিনীর শিবিরগুলো ছাড়া, যেমন সোয়াতের বৃহত্তম শহর মিঙ্গোরা৷ কিন্তু গ্রামাঞ্চলে জঙ্গিদের কথাই চলে দেখা যাচ্ছে৷ তারা চরমপত্র দিয়েছিল, ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে সব মেয়েদের স্কুল বন্ধ করতে হবে৷ এবং দৃশ্যত তাই ঘটেছে৷ পাক সেনাবাহিনী তা রোখার জন্য কিছুই করেনি৷
সোয়াত ভ্যালিতে আনুমানিক ৪,০০০ তা্লিবান যোদ্ধাকে সামাল দিতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর চারটি ব্রিগেড, অর্থাৎ ১২ থেকে ১৪ হাজার সৈন্য নিযুক্ত৷ সোয়াত ভ্যালি যে আজ বস্তুত তালেবানের নিয়ন্ত্রণে, মাসের পর মাস যুদ্ধ চালিয়েও এই সৈন্যরা সেটা রুখতে পারেনি৷
আহমেদ রশিদের মতে সমস্যা হল এই যে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই-এর জন্য প্রশিক্ষণ পায়নি, বরং ভারতের বিরুদ্ধে প্রথাগত লড়াই-এর জন্যই তালিম পেয়েছে৷ মার্কিনীরা বিগত ছ'মাসে সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ দমনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বারংবার৷ কিন্তু পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বক্তব্য: আসল শত্রু তো ভারত৷
তালিবানের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে হাল না ধরতে পারার আরেকটা কারণ হল, যে পাকিস্তানের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলি অতীতে বিদেশনীতিগত কারণে এই তালিবানকেই সমর্থন করেছে৷
তৃতীয়তঃ, সোয়াতে কি অন্যত্র, বোমা ফেলে এবং অনর্থক বহু অসামরিক ব্যক্তির প্রাণনাশ করে কিছুটা এলাকা দখল করার ক্ষমতা হয়তো সেনাবাহিনীর আছে, কিন্তু বিজিত এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা নেই৷ কাজেই তালেবানের শুধু ফেরার মওকা খোঁজা৷


Please visit vinnobasar ponsorer:Taking care of your parents in Kolkata


http://www.nriparentalcare.com/

No comments:

Post a Comment