বিশ্বে এখন জনসংখ্যা ৬.৭ মিলিয়ার্ডেন। ৩৩টি দেশে অদুর ভবিষতে খুদার্ত মানুষদের বিক্ষোভ শুরু হবে।২০১২ সালে জনসংখ্যা হবে ৭ মিলিয়ার্ডেন,২০২৫ সালে ৮ মিলিয়ার্ডেন।তেমনি খাদ্য উৎপাদনের জমির পরিমান কমছে।
খাদ্যমূল্য কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে?
১. খাদ্য উৎপাদনের ব্যয় বেড়েছে,কারণ এনার্জি মূল্য
বেড়েছে,জমিতে কৃত্রিম সার ব্যবহারে প্রচুর এনার্জি লাগে।
২. পরিবহন খরচ বেড়েছে, খ্যাদ্যের যে মুল্য তার ২৫% পরিবহন খাতে ব্যয় হয়।
৩. শষ্য উৎপাদন বারলেও,সব শষ্য সরাসরি মানুষের খাবারের জন্য ব্যবহার হয় না।
৪.আম,দুধ ও দুগ্ধ্যজাত দ্রব্যের চাহিদা অনেক বেড়েছে,এক কিলোগ্রাম গরুর মাংসের জন্য (বানিজ্জিক উৎপাদন) সাত কেজি গম বা পনের কেজি সোয়া লাগে,তেমনি লাগে হাজার লিটার জল।
৫. ইউরোপে যে শষ্য উৎপাদন হয় তার ৮০ শতাংশ পশুদের কে খাওয়ান হয়।
৬. মার্কিন দেশে যত ভূট্টা উৎপাদন হয়, তার ৩৩ শতাংশ ব্যবহার হয় বায়ো স্পিরিট তৈরি হতে।
৭.বিশ্বের ২%কৃষির ফসল দ্বারা এই মুহূর্তে সরাসরি বায়ো স্প্রিট বানানো হয়,যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৮.খাদ্য নিয়ে স্পেকুলেসন চলছে।
৯.২০ বছর আগে যে খরা বা বণ্যা হত, তা এখন ২০০% বেড়েছে।
ইউরোপের জন্য উন্নত দেশের চাষিরা চাষ বাস করা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। ইউ এবং ইউ প্রতিবছর ৩৬০মিলিডির্য়ান ডলার ভর্তুকি দেয় শষ্য উৎপাদনের জন্য। বিশ্বের সকল শিশুকে (৫-১৮বছর) দুপুর বেলা স্কুলে পেট ভরে খাওয়াতে লাগে মাত্র ৩০মার্ড ডলার।
ইউ চাষিরা যদি ১ কিলো শুয়োরের মাংস কেমেরুনে রপ্তানি করে, তার জন্য প্রতি ৩১সেন্ট ভর্তুকি পায় । ইউরোপের শুয়োরের মাংস সেখানে ১ ইউরো/কেজি , আর লোকাল শুয়োরের মাংস ২.৫ইউরো/কেজি। মূল্য বেশি বলে লোকাল জিনিস বিক্রি হয় না, চাষিরা পষুপালন বন্ধ করেদিতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে লোক বেকার হচ্ছে। ইউ বছরে ৩ লক্ষ্য টন শুয়োরের মাংস ক্যামেরুনে রপ্তানি করে। ওই পরিমান মাংস উৎপাদন করতে ২ লক্ষ্ ১০ হাজার জন মানুষ লিপ্ত থাকে আর দিনে ৮ ঘন্টার শ্রম লাগে। তার অর্থ ৫*২১০০০০=১,০৫মাইল লোক শুয়োরের মাংস রপ্তানির জন্য না খেয়ে থাকে।
সমাধান বলতে হল্যান্ডে এখন খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলছে। সেখানে সম পরিমান জমিতে ৪০ গুন সষ্য উৎপাদন করা যায়, সাংহাইতে বন্দরের কাছে বিশাল অঞ্চল নিয়ে সেইমত এক মেট্রপলিটন এগ্রিকালচার পার্ক হয়েছে।(কেওয়ার্ড, মেট্রোপলিটন এগ্রিকালচার)
বায়ো স্প্রিট দ্বারা দূষন যে কমান যাচ্ছে তা সত্য নয়, কারণ জঙ্গল কার্বন ডাই অক্সাইড শোষন করে, সেই জঙ্গল কেটেই বায়ো স্প্রিটের জন্য সষ্য চাষ করা হচ্ছে। তা ছারা যে পরিমান কৃত্রিম সার ব্যবহার করা হয়,ওই বায়ো স্প্রিটের সষ্য উৎপাদন করতে, সেই সার বানাতেও প্রচুর পরিমান CO2 উৎপাদন হয়। ইউ তে গাড়ির জ্বালানিতে এখন ২%বায়ো স্প্রিট মিশ্রন করান হয়,কয়েক বছরের মধ্যে সেটা ১০% করান হবে,যাতে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কম হয়। তখন খাবারের দাম আরও বেড়ে যাবে। আজকাল গাড়িতে এয়ার কুলার বেশি ব্যবহার হচ্ছে।কয়েকজন জানে যে,একটা মিডিয়াম গাড়িতে যদি এয়ার কুলার চালিয়ে তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২২ ডিগ্রিতে নামান হয় গাড়িটা ১০০কিমি. চলে তাহলে ১.৫ লিটার জ্বালানি বেশি খরচ হয়!
ইলেক্ট্রো অটো একমাত্র এর সমাধান,যদি বিদ্যুৎ আরনিউয়ার এনার্জি হয়। তেমনি যদি সিটি পাবলিক ট্রান্সপোর্টের গতি বারানো যায়, যদি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট গন্তব্য স্থলে পৌছতে দেরি না করে,তা হলে অনেক মানুষ এই সব গাড়ি কিনবেনা। টাটার ১ লাখ টাকা দামের অটো কে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া উচিৎ, সেই ১ লাখ টাকা খরচ হবে স্কুল বাচ্চাদের খাওয়া পড়ানোর জন্য। গাড়ির উপর ট্যাক্স আরো বাড়ানো উচিৎ। আমজনতার গাড়ির প্রয়োজন নেই। তাছাড়া গাড়ি চলার জন্য রাস্তা বানাতে হবে, নতুবা পরিবহনের গড় গতি কমে যাবে। গাড়ির সংখ্যা বাড়ার অর্থ হল,জ্বালানির আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া। আমাদের রপ্তানি এমনিতেই কমে যাবে,তা হলে অতিরিক্ত জ্বালানি আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা কোথায় পাব ? তাছাড়া ভারতের বেশিরভাগ গাড়িতে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেশি, সেই জন্য আবার আমাদের দূষন রোধে টাকা খরচ করতে হবে।
ফসলের মূল্য বারলেও,গ্রামের চাষিরা ধনি হয় নি। গ্রামে যারা থাকে তাদের ৩৪%দিনে ২১৫০ কিলো ক্যালোরি খাবার পায় না। জমিতে কৃত্রিম সার ব্যবহারের জন্য জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে, বাস্তুতন্ত্রের সমস্যা বাড়ছে,তেমনি মিষ্টি জলের পরিমানও কমছে।
আমাদের মত গরিব দেশে দ্রুত জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রন করা উচিৎ(এক পরিবার এক সন্তান),তেমনি মাংস কেবল ৫-২০ বছর বয়সের স্কুল বা কলেজের ছেলে-মেয়েদের জন্য স্বস্তায় খাওয়ান উচিৎ। খোলা বাজারে মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয়া উচিৎ।(যা নর্মাল দাম ততটা ট্যাক্স নেওয়া উচিৎ)।
বেশি ক্যালোরি খাবার খাওয়ার ফলে ভুঁড়িওয়ালা যুবক যুবতি ও সাধারন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে ডায়াবেটিস এর সংখ্যাও। তার ফলে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে ইনসুলিন আমদানি করতে হচ্ছে এদের জন্য। আর স্বামি বা স্ত্রির ভুঁড়ি বারলেই- তারা পয়সা এবং সুযোগ থাকলেই একটু পরকিয়া প্রেম করার চেষ্টা করে,তাই বিবাহ বিচ্ছেদের সংখাও বাড়ছে।
নিরামিষ খাও, সাইকেল চালাও। অবাক লাগে সরকার কেন প্রাইভেট কারের জন্য ব্যবহিত পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়ায় না।
নতুন স্লোগান হোকঃ
"প্রাইভেট গাড়ি ঘোরা চরে যে,মাংস খায় যে-দেশকে গরিব করে সে"। ভারত যা আমদানি করে ,তার বেশিরভাগ খরচ হয় জ্বালানির জন্য।
আমরা যদি শষ্য চাহিদা কমাতে পারি, তা হলে ট্র্যাডিশনাল মেথডে ট্র্যাডিশনাল বিজ কে উন্নত করে, জৈব সার দিয়ে চাষ করতে পারি,জমির উর্বরতা কমবে না ,বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যও বজায় থাকবে। আমাদের ছেলে-মেয়ে,নাতি-নাতনিরা না খেয়ে থাকবেনা।
সময় পেলে এই ফ্লিম টা দেখুনঃ “We feed the World”
আর কি করে বিশ্ব রক্ষা করা যেতে পারে-জানতে “PLAN B 3.0” বই টা পড়ুন।
সৌজন্যেঃ World Food Programm.

No comments:
Post a Comment