সামনে লোকসভা ভোট।আগের বারের ফলাফল ভালই ছিল।এবারে কি হবে জানেন না মুখ্যমন্ত্রী।তবে আঁচ নিশ্চয় করতে পেরেছেন ।‘অর্ধেকের বেশী সাংসদ কোটার টাকাই খরচ করতে পারেন না’।
ভোটের প্রচারে মানুষকে যে বলবেন ‘চিন্তা ভাবনা করে ভোট দিন সে কথা বলার উপায় ও নেই’।পুরোটা সম্প্রচার হওয়া লোকসভা টিভিতে কতদিন মুখ দেখা গেছে বামম্ফ্রন্ট সাংসদ দের।স্পিকার সোমনাথ,সিপিআইএ র গুরুদাস দাসগুপ্ত ,সি পি এমের সেলিম আর হাতে গোনা দু একটা মুখ।
তাহলে ভোট চাইবেন কি বলে? অগত্যা ভরসা প্রতিশ্রুতি।দক্ষিনী রাজনীতির ঢঙ্গে প্রতিশ্রুতির বন্যা ছড়াতে শুরু করলেন বুদ্ধবাবু।
বিরাটী উড়াল পুলের উদ্বোধনে এসে এক গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তালিকা লম্বা
v সল্টলেক হাওড়া মেট্রোরেল
v বৃহত্তর কলকাতাকে বের করে দেওয়া রিং রোড
v স্কাই রেল বা এলিভেটেড ট্রেন
v কলকাতা পুরসভা সহ ৪২টি পুর সভার উন্নয়নে এক গুচ্ছ প্যাকেজ
v গঙ্গার তলা দিয়ে রেল
v দ্রুতগতির যান দিয়ে হাওড়া শিয়ালদহর সংযুক্তিকরন
রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বুদ্ধবাবু অনেকটা পিছিয়ে ছিলেন।চলতি পরিস্থিতিতে তাকেও নামতে হলো ফুলঝুড়ি ছোঁড়ার প্রতিযোগিতায়।
পরিস্থিতির বিচারে লোকসভা ভোটের আগে বেকায়দায় সিপিএম।একদিকে সাংসদদের ‘সাংসদীয় কর্মে’ গাফিলতির রিপোর্ট। অন্যদিকে কেরলে গোষ্ঠিদ্বন্দ।ভি এস,অচুদানন্দ ও বিজ ইয়নের দ্বন্দ এখ ন চরম সীমায়।গত কাল বিজয়নের এক র্যালিতে বিজয়নকে লখ্য করে জুতো ছুড়ে মেরেছে টি এ সাজি না মে অচ্যুদানন্দ পন্থী এক যুবক।সি,পি,আই,এমের গোষ্ঠী দ্বন্দ প্রকাশ্য জনপথে চলে আসার এই ঘটনা অস্বস্থির সৃষ্টি করেছে ।
অন্যদিকে কংগ্রেস ও তৃনমূল জোট হও য়ার সম্ভাবনা ভাজ ফেলেছে বাম ফ্রণ্টের কপালে।প্রকাশ্যে বাম নেতারা এই বিষয় টি হালকা ভাবে নিচ্ছেন দেখালেও জোট যাতে না হয় তার জন্য চেষ্টার ক শুরু করছেন না।কয়েক দিন আগেও মুখ্যমন্ত্রীর প্রণব বন্দনাটিও যে এই রাজনৈতিক কৌশলের অর্ন্তযভূক্ত তা সামান্য পরজালছনাতেই ধ রা প রে।
সব দিক বেসামাল পরিস্থিতিতে এখন ভরসা ‘প্রতিশ্রুতির টোপ’ সেটি শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রি। তবে শুরুতেই একটু বারাবারি হয়ে গেল।নাকি পুরন হবে স্বপ্ন সেটা দেখতে এখন সময়ের অপেক্ষা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment