বারো বছর আগে যে বি পি এল তালিকা প্রস্তুত হয়েছিলো গরিব মানুষ বলতে তারাই। নতুন তালিকা প্রস্তুতির কাজ চললেও কোনও জেলাই তা প্রস্তুত করে উঠতে পারে নি। ফলে প্রচুর গরমিলে ভরা গরিবের হিসেব।
এরই মধ্যে রাজ্য সরকার চালু করতে চলেছে দু'টাকা কিলো চাল। গত সোমবার অর্থমন্ত্রী অসিম দাসগুপ্ত ঘোষনা করেছিলেন দু'টাকা কিলো চালের প্রকল্প। মঙ্গলবার এক সরকারি নির্দেশ জারি করে বলা হয়, আগামী শুক্রবার থেকে রেশন দোকানে বি পি এল কার্ড দেখিয়ে গরিব মানুষ সংগ্রহ করতে পারবেন এই চাল।
কিন্তু প্রশ্ন; গরিব কারা? রাজ্য সরকার যে তালিকায় দু'টাকা কিলো দরে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি বারো বছর আগের তালিকা। বারো বছরে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে বি পি এল তালিকায় ব্যাপক পরিবর্তন-ই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই পরিবর্তন অনুযায়ী কোনও তালিকা রাজ্য সরকার এখনো প্রস্তুত করে ঊঠতে পারেনি। আসন্ন ভোটকে মাথায় রেখে ভোটের চমক হিসেবে তড়িঘড়ি পেশ ও কার্যকর করে দিলো এই উদ্যোগ।
অন্যদিকে রেশন মালিকরাও বেঁকে বসেছে সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে।সরকারের নির্দেশে আগামী ২৭ ফ্রেব্রুয়ারী থেকে বি পি এল কার্ড অনুযায়ী ২টাকা কিলো চাল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, তারা বর্তমানে মজুত চাল কিনেছে অনেক বেশি দামে। সরকারি তরফে তাদের ভর্তুকির দাম দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষনা করা হলেও তারা দ্বিধাগ্রস্থ। তাদের বক্তব্য টাকা আগাম হাতে না পেয়ে এই কাজে নামতে তাদের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে’।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ভাঁওতা বাজি বলে উল্ল্যেখ করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মতে এটা ভোটের রাজনিতি ছাড়া কিছুনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রির জবাব-যতদিন এই সরকার থাকবে ততদিন দু'টাকা কিলোয় চাল দেবে সরকার।

No comments:
Post a Comment