Monday, February 23, 2009

শালিকা নিরুদ্দেশ, অভিযুক্ত জামাই গনপ্রহারে মৃত.....

ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,২৩শে ফেব্রু’০৯

হান্নান গাজি (২৫) শালিকার সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন শ্বশুর বাড়ির অজান্তে। মেয়েটির বাবা মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগও দায়ের করে থানায়। মেয়েটি ফিরে এলে পুলিশ আইনের পথে জিজ্ঞাসা বাদও করতো হান্নানকে। কিন্তু তার আর সুযোগ হলনা। আইন হাতে তুলে বাসন্তি গ্রামের এক মাতব্বর আমনের নেতৃত্বে গনপ্রহারে মৃত্যু হল হান্নানের। পুলিশের আগেই শাসক দলের ‘আইনরক্ষায়’ বলি হল আরও একটা প্রান। অভিযোগ প্রমান হওয়ার আগেই শাসক শ্রেনির চক্ষুশুল হওয়ায় চলে যেতে হল হান্নান গাজিকে। সভ্য দেশে এই তালিবানি আচরন এই প্রথম নয়। লালপতাকার তলায় এর আগেও আমনের মতো মাতব্বরদের চোখ রাঙানি চমকিয়েছে আইনকে।
হান্নান গ্রামে ফেরার সাথে সাথে তাকে গ্রেফতার হতে হয় গ্রামের এই মাতব্বর দের হাতে। অসম্ভব প্রহারের পর অর্ধমৃত হান্নানকে তুলে দেওয়া হয় বাসন্তি থানায়। পুলিশ গুরুতর আহত হান্নানকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে হান্নান।
হান্নানের আত্মিয়রা প্রধান অভিযুক্ত আমন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এই ঘটনায় অঞ্চলে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। প্রায় সাড়ে চারশোর মত গ্রামবাসি থানা ঘেরাও করলে পুলিশ ডায়রি নিতে বাধ্য হয়।
বাসন্তির এই ঘটনা একদিকে যেমন প্রশ্ন করছে, হান্নান তার শালিকাকে অপহরনের দায় আদৌ অভিযুক্ত কিনা? অন্য দিকে প্রশ্ন করছে এরাজ্যে শাসক দল ও তাদের মাতব্বররা কি আইনের উর্ধে। তাই কি আইনের পুঙ্কানুপুঙ্খ বিচারের আগেই সাজা পেতে হল হান্নান কে। এই তালিবানি শাসন আর কতদিন আচ্ছন্ন করে রাখবে এ রাজ্যের প্রগতি।






No comments:

Post a Comment