Monday, February 16, 2009

বাবা-মায়ের ভরনপোষন কোনও দায় নয়; ভারতীয় নাগরীক বাধ্য আদালতের আদেশে....










ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,১৬ই ফেব্রু০৯
বাবা-মায়ের ভরনপোষন কোনও দায় নয়; ভারতীয় নাগরিক বাধ্য আদালতের আদেশে। কিন্তু সবই খাতায় কলমে। লাল ফিতের বাঁধনে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।

বহু ছেলে মেয়ে বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিতে অস্বিকার করে। আইন করে, এই অমানবিক দ্বায়িত্ব জ্ঞানহিনতাকে রোধ করতে উদ্যোগী আদালত।
আদালতের নির্দেশ- ৬০ বছরের বা তার বেশি বয়সের রক্ত সম্পর্কীয় পিতা-মাতা, দত্তক গ্রহিত পিতা-মাতা, বা কোনও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা যার সম্পত্তি কোনও ব্যক্তি তার বিষয়কে ভোগ করছে তিনি ওই বয়স্ক মানুষটির আর্থিক ও শারিরিক দেখশুনা করতে তথা ভরন-পোষনে বাধ্য। ভারত বর্ষএ বসবাসকারি ও ভারতের বাইরে বসবাসকারি সমস্ত ভারতীয় নাগরিক এই আদেশ মানতে বাধ্য।
গত ৫ই ডিসেম্বার পশ্চিমবঙ্গে এই আইন বলবত করা হয়। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা তাদের উপর অবিচারের অভিযোগ জানাতে পারবেন ট্রাইবুনালের মাধ্যমে। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইবুনাল তাদের সন্তান সন্ততিদের উপর ব্যবস্থা নেবে।
খাতায় কলমে পাকাপাকি ব্যবস্থা হলেও, পদ্ধতী গত ভাবে এখনো শুরু করা যায়নি এই অনন্য সুন্দর ব্যবস্থা। লাল ফিতের বাধনে আটকে আছে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের স্বস্তিপ্রদানকারি এই আইন।
কেনো আটকে আছে ট্রাইবুনালের গঠনের কাজ?
স্পষ্ট কোনও উত্তর ট্রাইবুনাল গঠনের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ সমাজ কল্যান দপ্তরের কাছে। আছে আস্বাস বানী; খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
সমাজ কল্যান দপ্তরের অফিসারদের ‘ভরন পোষন’ আধিকারিক হিসেবে কাজ করার কথা। প্রতিটি জেলায় এই রকম ট্রাইবুনাল অফিসার নিয়গ করা হবে। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের অভিয়োগ এরা শুনবেন ও দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। এদের বিচারে যদি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা সন্তুষ্ট না হন, তাহলে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন জেলা শাসকের অ্যাফিলেটেড ট্রাইবুনালে। সরাসরি অভিয়োগ দায়ের করতে পারবেন জেলা শাসকের দপ্তরেও। কলকাতার ক্ষেত্রে থাকবেন ডিজএবিলিট কমিশনার।
কিন্তু বাস্তবত, কর্ম সংস্কৃতী গত ত্রুটির কারণে আটকে আছে এই অনিন্দ সুন্দর নিখুত ব্যবস্থা। ট্রাইবুনাল শুরুর আগে জেলা শাসকদের নিয়ে যে বৈঠক করার কথা ছিলো, সমাজ কল্যান দপ্তরের সরকারি বাবুরা এখনও সেটাই করে উঠতে পারেননি।
আইনের মাধ্যমে বার্ধ্যক্যের লাঠি স্বরুপ এই আইনি অধিকার পেলেও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা এখনো অসহায়। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় ভোগ করে চলেছেন স্বজনের নির্মম ব্যবহার।

No comments:

Post a Comment