Thursday, January 29, 2009

নারী কেন নগ্নতা প্রীয়া……


নারী কেন নগ্নতা প্রীয়া……

যে নারী শরীরের আকর্ষন যুগ যুগান্তর ধরে পুরুষের হৃদয়ে উত্তাল কম্পাঙ্ক তাকে ব্যাতিব্যস্ত করে রেখেছে। যে নারী শরীর এক ঝলক দেখার স্বপ্নে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছে যুবা দুই চোখ।। যদি সেই পুরুষ কুলের কাছে এইরকম একটা তথ্য প্রকাশিত হয়,যে-‘নারী নগ্নতা প্রদর্শন করতে ভালোবাসে’। তাহলে তাদের হৃদয় কি পলকের জন্য স্তব্ধ হয়ে যাবে!
হৃদয় আলোড়ন করা এই তথ্যটি আবার প্রকাশ করেছেন একজন ললনা।
‘অনেক সমীক্ষার পর আমি এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছি যে নারীরা তার শরীর প্রদর্শন করতে পছন্দ করে। সুডল শরীরের আধীকারিনী এই কাজটা করেন আরো বেশি।
বক্তব্য টি লাওরি রেডমন্ড-এর। যিনি তার বই ‘ফিল গুড ন্যাকেট’ –এ বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছেন রমনী মনের মনিকোঠায় লুকিয়ে রাখা এই মনভাবের প্রসঙ্গ।
‘যারা নগ্ন থাকতে লজ্জা পায় শুধু তাদের মনে জোর বাড়াতে নয়; এই বই প্রকাশ করা হয়েছে নগ্ন থাকার আনন্দ উপভোগ করার চাবিকাঠি পাঠকদের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে’।
বইটির এই শিক্ষামূলক দিকটিও তুলে ধরেছেন এডমন্ড। সবিস্তারে আলোচনা করেছেন তার বইয়ের গুনাগুন।
প্রশ্নঃ একটা বিষয়ে প্রথমে পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন দরকার, আপনার বইকি একটা নগ্নতার বিপ্লব করার উদ্দেশ্যে প্রকাশিত হয়েছে?
রেডমন্ডঃ না। একেবারেই নয়।আমি শুধু একটা সত্য সবার সামনে প্রকাশ করেছি।যে সুন্দর দেহের অধিকারিনী নারি তার শরীর প্রদর্শন করতে ভাল বাসে।বিশেষ ছলা কলা আশ্রয়ে তারাই কর্মটি করেও চলে।এতে সে মজা পায়,আকর্ষন আদায় করে এবং স্বচ্ছন্দ উপভোগ করে।
প্রশ্নঃ এটা খুব চাঞ্চল্য কর তথ্য!

রেডমন্ডঃ হ্যাঁ অবশ্যই । তবে প্রকাশ্যে ‘নগ্নতা’ কথাটা কানে শুনতেও নারী লজ্জা পায়।আমি আমার বাচ্ছাদের স্কুলে এক বার গেছিলাম।সেখানে অন্যান্য বাচ্ছাদের মায়েদের সাথে আমার পরিচয় হল।কথায় কথায় তারা জানতে চাইল আমি কি করি।আমি লেখিকা শুনে তারা আমার কাছে এগিয়ে এল।জানতে চাইল আমার বইয়ের নাম।“ফিল্ড গুড ন্যাকেট”! নামটা শুনে তারা যেন মুখ লোকাবার জায়গা পায় না।
প্রশ্নঃ তাদের এরকম আচরনে আপনি অবাক?
রেডমন্ডঃ না। ঠিক অতটা নয়।আসলে এটা সমাজে নতুন কিছু নয়।আমি এটা কে “নগ্ন ভয়” বলি।এটা বেশ কিছু মানুষের মধ্যেই আছে ।এটা আত্মবিশ্বাসের অভাব বলতে পারেন।কিন্ত এটা কাটিয়ে ওঠা খুব জরুরী।
প্রশ্নঃ লওরি এই ব্যাপারটা আপনি কাটালেন কি করে?
রেডমন্ডঃ একদম শুরু থেকে। ছোট বেলা থেকেই নিজেকে নগ্ন রাখতে পছন্দ করতাম।আমার ছোট বেলা কেটেছে নিউ অরলিয়ান্সে।মাত্র ৬ বছর বয়সে আমার প্রথম নগ্ন ছবি এখনও আমার টেবিলে রাখা আছে।আমার সুন্দর ছোট বেলায় ফিরে যেতে হলে এখনও আমাকে নগ্নতার আশ্রয় নিতে হয়।
প্রশ্নঃ নগ্ন থাকতেও পছন্দ করলেও মহিলারা শরীর প্রদর্শনে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।ব্যাপারটাকে মন অবোধগম্য নয় কি??

রেডমন্ডঃহ্যাঁ,বিষয়টি ঠিক এরকমই ধোঁয়াটে।আসলে নারি তার শরিরের গঠন খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্থ।‘জিরো’ ফিগার মাথা যেন তার মাথা কাটা যায়।প্রত্যেকের ভিতরে যে তার নিজস্ব একটা সৌন্দর্য রয়েছে,এটা তারা বিশ্বাসই করতে চায় না।আর ঠিক এই জায়গা থেকে তার মনে জন্মায় একটা হীনমন্যতা বোধ।এই হীনমন্যতা তাকে নগ্ন থাকতে বাধা দেয়।স্থুল দেহ তাদের মনের মধ্যে তৈরি করে একটা অবাস্তব লজ্জা।এটা কাটিয়ে তোলাটা প্রয়োজন।একটা “বোল্ড নেসে” ভরা জীবনই জীবনের মজা উপভোগ করতে পারে।
প্রশ্নঃ বয়সের কারনে অনেক সময়... ??
রেডমন্ডঃ হ্যাঁ,তবে এটাও অন্যরকমের হীনমন্যতা।আমি ব্যক্তি গত ভাবে একজন প্রফেসর কে জানি যিনি ৫০ বছর বয়স্ক হবেন। জীবনে বহু বার বহু মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার অভিজ্ঞতা তার আছে।তিনি বলেন একটা কুড়ি বছরের মেয়ের থেকে এক জন ৪০ বছরে মহিলা যৌন সঙ্গি হিসাবে অনেক বেশি পারদর্শীনী।কারন এই খেলায় অনেক বেশি অভিজ্ঞ।
প্রশ্নঃ তাহলে হীনমন্যতার কারনেই নারি নগ্ন হতে পারে না যদিও নগ্ন থাকতে সে খুব পছন্দ করে??
রেডমন্ডঃ এই হীনমন্যতা তাদের মনের জোরে কাটানো উচিত।আর ফ্যাট কমাতে কিছু সহজ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।আরেক টা বিষয়ে তাদের সতর্ক হওয়া উচিত।অনেয্যর সাথে নিজের তুলনা টানা,এটাও হীনমন্যতার বড় কারন।
প্রশ্নঃ হ্যাঁ,আমার বই তাদের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এই সব অন্ধকারকে আলোকিত করবে।শেখাবে বাঁচার মতন বাঁচা।
Please visit vinnobasar sponsorer:
Taking care of your parents in Kolkata

No comments:

Post a Comment