

বঙ্গ জীবনে যদি কোন পূজা আক্ষরিক ভাবে, জীবনের অঙ্গে পরিনত হয়, অবশ্যই তা মাঘী পূর্ণিমা পঞ্চমী তিথির বানী বন্দনা । বাঙ্গালীর সাংগঠনিকতার ভিত্তি যেমন লুকিয়ে রয়েছে সরস্বতি পূজার মধ্যে,তেমনি বঙ্গ শিশুর আস্তে আস্তে যুবক হওয়ার মাইলস্টোনও এই পুজো। সংগঠক হিসাবে বাঙ্গালীর বেশ সুনাম। এই সুনামের হোম ওয়ার্ক বাঙ্গালী করেছে সরস্বতি পূজা পরিচালনার মাধ্যমে। পাড়ার মোড়ে যে বালক চাঁদা কেটে শুরু করে সরস্বতি পূজা,অভিজ্ঞতার পূর্ণতায় একদিন তার মাধ্যেমেই গড়ে ওঠে রাজনৈতীক দল। বাঙ্গালীর ছোট বালক থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পেছনেও সরস্বতি ঠাকুরের অবদান সর্বাগ্রে। প্রথম বাড়ির বাইরে রাত জাগা। প্রথম বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা যাওয়া। প্রথম সিগারেটে সুখ টান। প্রথম প্রথমা কে পাওয়া। প্রথম প্রেম নিবেদন। প্রথম চুমু খাওয়া। আরো অনেক কিছুই বাঙ্গালী প্রথম শুরু করে মাঘী পূর্ণিমার এই শুভ লগ্নে। আসলে বসন্তের এই সুচনা লগ্নে মনেও যেন লাগে বসন্তের ছোয়া। কিশোর মন হঠাৎ কেঁপে ওঠে। অচেনা ভাবে ধুক-পুক করে ওঠে হৃদপিন্ডটা। কত অচেনা মনে হয় রোজ দেখা হওয়া সহপাঠিনী কে। সংকোচ হয় কথা বলতে। কথা শুরুর আগে ঝেড়ে নিতে হয় গলা । কথার ভূমিকা খুঁজতেও লাগে দু-মিনিট। মন চাইলেও বলা যায় না "সাড় "কথাটা। বিশ্বায়নের হাওয়ায় মার্কিন মুলুক থেকে এ দেশে ঢুকে পড়েছে ভ্যালেনটাইন-ডে । বাঙ্গালির ভালোবাসার দিন কিন্তু, সরস্বতি পূজা-ই থেকে গেছে। আবাল বৃদ্ধ -বনিতার একথা অস্বীকার করার উপায় নেই।
পাঁজি মেনে ফি বছর আসে এই দিন। যদিও পাঁজিতে ছাপা থাকে না-'' আজ বাঙ্গালির ভালবাসার দিন"।

Please visit vinnobasar sponsorer:Taking care of your parents in Kolkata http://www.nriparentalcare.com/
No comments:
Post a Comment