Friday, April 17, 2009

ধর্ষনের স্বর্গ রাজ্য ভারতবর্ষ। প্রতি ঘন্টায় ধর্ষন হচ্ছে দুজন মহিলা........।


লোকসভা ভোটে ২২ শতাংশ মহিলা সংরক্ষনের দাবি জানিয়ে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে সি পি এম। দল মত নির্বিশেষে গোটা দেশের সব কটি রাজনৈতীক দল মোটামুটি এ বিষয়ে সহমত। ভারতবর্ষ পৃথিবীকে দিয়েছে ইন্দিরা গান্ধী। যিনি রাজনিতীর চরম শিখরে পৌঁছেছিলেন। খ্যাত হয়েছিলেন এশিয়ার মুক্তি সুর্য’ ভূষনে। বর্তমান শাসক জোট ইউ পি এ’র চেয়ার পার্সন একজন মহিলা। সনিয়া গান্ধী যার রাজনীতিতে পাঁচ বছর ভারত শাসন করলো কংগ্রেস। ভারতের প্রশাসনিক প্রধান রাষ্ট্রপতি প্রতিভা সিং পাটিল এক জন মহিলা। জয়ললিতা,মমতা ব্যানার্জী,মায়াবতী,বৃন্দাকারাত।সুষমা স্বরাজের মতো রাজনিতীর শির্ষে থাকা মহিলা এই ভারত মায়ের কন্যা রত্ন।
তবুও বাস্তব কতো নির্মম। এদেশে নারীদের উপর অত্যাচার ব্যাভিচারের মতো ঘটনা ঘটে আকছার। এই দুরারোগ্য ব্যাধির কবলে গোটা এই সমাজ ব্যবস্থা। প্রতি ঘন্টায় ভারতের দুজন মহিলা ধর্ষন হয়ে চলেছে ক্রমাগত। গত বছরে ২০,৭৩৭ জন মহিলা ধর্ষন হয়েছে এদেশে। যা বিগত বছর গুলির তুলনায় ৭.২ শতাংশ বেশী।আর ভারত বর্ষের মধ্যে ধর্ষনের মাত্রা সবথেকে বেশী মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। মধ্যপ্রদেশ বছরে ধর্ষনের পরিমান ৩০১০ টি যা দেশের মোট ধর্ষনের ১৪.৫ শতাংশ। এর পরেই পশ্চিমবঙ্গ এখানে বিগত বছরে ধষর্নের মোট ঘটনা ঘটেছে ২.১০৬ টি। যার মধ্যে গন ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে ৯৩ টি। এর পরেই স্থান পেয়েছে উত্তর প্রদেশ (১,৬৪৮),বিহারে (১,৪৫৫) এবং রাজস্থান (১.২৩৮)ধর্ষনের ক্ষেত্রে ৯২.৫ শতাংশ ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা গেছে ধর্ষক ধর্ষিতার পরিচিত কেউ। ৬৯০২ টি ধর্ষনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে ধর্ষক ধষির্তার প্রতিবেশি। পরিবারের বাবা অথবা ভাই-দাদার কাছে ধর্ষন হয়েছে এমন ঘটনা ৪০৫ টি। আত্মীয়ের দ্বারা ধর্ষনহয়েছে এমন ঘটনা ১৪৪৮ টি।৯০ শতাংশ ধর্ষনের ঘটনায় ধষর্ক ও ধষির্তার সুসম্পর্ক ছিলো। তারা একে অপরের সাথে কথা-বার্তা বলতো। ১৮-৩০ বছরের মহিলার বেশি ধর্ষিত হয়েছেন। ধর্ষক এর বয়স বেশি ভাগ ক্ষেত্রে ৩০-৫০ বছর।
দেশে ধর্ষন হওয়া মেয়েদের মধ্যে ৬১৭ জন ১০ বছরের নিচে। ৪,৫০৭ জন ১০-১৮ বছরের।
নারীদের উপর অত্যাচারে সবর্চ্চ স্থান অন্ধ্রপ্রদেশের। দেশের মোট অভিযোগ দায়ের করা ঘটনার ১৩.৩ শতাংশ অন্ধ্রপ্রদেশে। ধর্ষনের ও অন্যান্য নারী অত্যাচারে পশ্চিমবঙ্গ ক্রমবর্ধমান। এখানে মোট নারী নির্যাতনের ঘটনা ২২৬৭৪ টি। যা বিগত বছরে ছিলো ১৭৫৪৬ টি। ২০০৮ সালে এরাজ্যে গনধর্ষন হয়েছে ৯৩ টি। ধর্ষন হয়েছে ২০৯৫ টি। যৌন বৃত্তি করানোর জন্য নারী অপহরন হয়েছে ১৩৭ টি। মোট নারী অপহরনের সংখ্যা ১৮২৯ টি। ইভটিজিং এর অভিযোগ দায়ের করা সংখ্যা ১০২ টি। পনের জন্য পুড়িয়ে মারা হয়েছে ২৪ জনকে। অন্য উপায়ে পনের জন্য খুন হয়েছে ৫৪ জন। পনের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে ৩৭ জনকে। অন্যউপায়ে পনের জন্য খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে ৩৩০ জন মহিলাকে।পনের জন্য আগুনে পুড়ে আত্মহত্যা করেছেন ১২৭ জন। অন্যউপায়ে পণ প্রথার কারনে আত্মহত্যা করেছে ৩২৫ জন। শ্বশুর বাড়ীর অত্যাচারের স্বীকার ১৩৯৪৭ জন মহিলা। ১৮ বছরের নিচে নারী পাচারের ঘটনা ধরা পরেছে ৪ টি।
এই যাবতীয় তথ্য শুধু সেই সব নারীদের যারা প্রকাশ্যে এনেছেন তাদের উপর অত্যাচারের কথা। সাড়ম্বরে পালিত হয় দূগার্ষ্টমীর শক্তি আরাধনা। নারীকে শক্তি বলে পুজিত হয় এদেশে। তবুও পরিবারের চাপে বহু নারী সাহস সঞ্চয় করে নিতে পারেন না ন্যায়। পুরুষ শাসিত এই সমাজের আজও অসহায় নারী। তাই এসব তথ্যে এখনো চমক লাগার কথা নয়।

1 comment:

  1. sonkhyata khub e kom. Proti Ghontay 2 jon Mohila dhorshon hochye- asol sonkhya ta anek anek beshi hobe. minimum proti minute a akjon. Sorkar bodh hoy chay na, dhorshon ar sonkhya beshi kore dekhano hok, tay dhorhito der sujog e thakena proman korar je dhorshito hoyeche.Police,Hospital ar daktar either Janena, ki kore proman korte hoy, ba ichya kore korena, jara oi porjonyto giye pouchay, temni COURT a emon bhabe dhorshito der Jera kore, sekhane aar akbar dhorshito hote hoy, dirghodin dhore mamla chole, dhorshito ra aar sabhabik jibone fire aaste parena. A jonyo somaj o dayi, deshe rom romiye beshya Bari r sonkhya berei cholche, sekhane purush ra jay, kintu ei Bhodro Shikhyito Purush ra biye korar somoy Kumari nari khonje, aar je dhorshito hoy, somaj taker dosh dey, aar rajnoitik dol gulo ta niye nijeder Vote Barate chay.

    ReplyDelete