
ক্যাডার ভিত্তিক সি পি আই(এম) দলে এরকম অবস্থা আগে কখনো হয়েছে কি? বাহাত্তরের সেই দিন গুলি, যখন বর্তমান বিরোধীদের কাছে কোনঠাসা ছিলো সি পি এম। দল করা পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি ছিলো সিপি এম কমরেডদের কাছে। কিন্তু আদর্শকে শীরধায করে রাজনীতির ময়দানে নামতো সি পি এম কর্মীরা। রাতের অন্ধকারে নকশালদের বোমা গুলি বাঁচিয়ে চলতো দেওয়াল লিখন।
খবরের কাগজ আলতা দিয়ে লিখে সি পি এম কর্মীরা লিখতেন দলের মতাদশর্গত আদর্শ।
কিন্তু বর্তমানে আদর্শ বিষয় বস্তুটাই যে উধাও। তাই দেওয়াল লিখনের লোক নেই নদীয়া-মুশির্দাবাদ জ়েলা দুটিতে।আসলে ৩২ বছর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে মজে থাকা সিপিএমের বর্তমান প্রজন্ম ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুর প্রতি আকষর্ন অনুভব করে না। তাই জ়েলা পঞ্চায়েত দলের ভরাডুবি অবস্থা তাদের বিমুখ করেছে রাজনীতি থেকে ।বিগত পঞ্চায়েত নিবার্চনে মুশির্দাবাদের ২৫৪ টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট পেয়েছিলো ১০৬ টি আসন বিরোধীরা দখল করেছে বাকি ১২৫টি আসন।নদীয়ার ১৮৭ টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট পেয়েছিলো মাত্র ৩৬ টি আসন বিরোধীরা দখল করেছে বাকি ১২৫টি ।নদীয়ার ১৭টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে বামফ্রন্ট এর দখলে ছিল এখন মাত্র ২ টি। মুশির্দাবাদের অবস্থাও সঙ্গীন।এমন অবস্থায় পার্টি কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক হতাশা।এই অবস্থা কাটিয়ে উঠে দেওয়াল লিখন বা প্রচারে নামতে তাদের তীব্র অনীহা।তাই এই দুই জেলা গুলিতে দলের রাজনইতিক হতাশাময় সময়ে সি পি এম পাশে পাচ্ছে না তাদের কমরেডদের।
No comments:
Post a Comment