
দিলীপ সাউ,কলকাতা,৭ই মার্চ'০৯
এবারের লোকসভা নির্বাচন নতুন এক পরীক্ষার মধ্যে দাঁড় করালো কমিউনিষ্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া-কে। ভারতের প্রাচীন রাজনৈতিক দল সি পি আই। তাদের জাতীয় দলের তকমা থাকবে কি থাকবে না তা নির্ধারন হবে আসন্ন লোকসভা ভোটের ( ২০০৯ সাল) ফলাফলে।
এর আগে যখন ২০০৪ সালে নির্বাচন কমিশন জাতীয় দলের মর্যাদা প্রাপ্ত দলগুলির জন্য নয় দফা বিধি অনুসারে চলছিলো তখনো এরকমই জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোর সঙ্কটে পরেছিল সিপিআই। নির্বাচন কমিশন তখন সিপিআই কে শোকজ করে জানতে চেয়েছিলো , কেন তাদের মর্যাদা জাতীয় দল থেকে আঞ্চলিক দলে অবতীর্ন হবে না ?
তখন জাতীয় দলের মর্যাদা পেতে গেলে রাজনৈতিক দলকে চারটি রাজ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে ছয় শতাংশ ভোট পেতে হত ন্যুনতম ওই চারটি রাজ্যে। অথবা তিনটি রাজ্য থেকে লোকসভার মোট আসনের দুই শতাংশ আসনে জয়লাভ করতে হত।
২০০৪ সালের ভোটে সিপিআই লাভ করতে পেরেছিল মাত্র ১.৪১% ভোট। নিয়ম মাফিক ১১জন সাংসদ থাকার কথা থাকলেও সিপিআই জিতেছিল মাত্র ১০টি লোকসভা আসন। ফলে নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী জাতীয় দলের মর্যাদা হারাতে বসেছিল সিপিআই। ২০০৫ সালে কমিশনের বিধি পরিবর্তনের ফলে সিপিআই সহ অন্যান্য রাজনৈতিক ছোট দলও লাভবান হয়েছিল। সেই যাত্রায় সিপিআই রক্ষা করতে পারে তাদের জাতীয় দলের মর্যাদা।
২০০৫ সালে কমিশনের ঘোষিত জাতীয় দল বিধিতে ছিলো – যে চার রাজ্যে সাংসদ থাকলে বা চার রাজ্যে, রাজ্য দলের মর্যাদা পেলেই একটি দল জাতীয় দলের মর্যাদা পাবে। সিপিআই এর তখন পাঁচ রাজ্যে, রাজ্য দলের মর্যাদা ছিলো। রাজ্য গুলি হল- পশ্চিম বঙ্গ, কেরল,মণিপুর, ঝাড়খন্ড ও তামিলনাড়ু। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝাড়খন্ড ও মণিপুরে সিপিআই এর কোন সাংসদ নেই। সম্প্রতী ঝাড়খন্ডের সিপিআই সাংসদ প্রয়াত হওয়ায় , এখন মাত্র পশ্চিম বঙ্গ, কেরল ও তামিল নাড়ুর সাংসদ নিয়ে আছে সিপিআই। সামনে লোকসভা ভোটে যদি চার রাজ্য থেকে সিপিআই ভালো ফলাফল করতে না পারে তাহলে বর্তমান জটিল পরেস্থিতিটা বহন করতে হবে আগামী পাঁচ বছর।
No comments:
Post a Comment