Thursday, March 26, 2009

কলকাতা উত্তরের কর্মী সভায় যেন মিলিত হল বহু দিনের পর এক একান্নবর্তী পরিবার।


ভাস্কর ব্যানার্জী, কলকাতা, ২৬শে মার্চ'০৯

“সি পি এমকে হঠাতে মানুষ কে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন”। এই স্লোগানকে সামনে রেখে কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের শ্যামবাজার অঞ্চলে যৌথ কর্মী সভা করলো কংগ্রেস ও তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।শ্যামবাজার হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দোপ্যাধ্যায়।প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ ছাত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও মুখপাত্র স্বরূপ বোস ও পঃবঃ কিষান কংগ্রেস চেয়ারম্যান দেবাশিষ দত্ত।।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক তারক বন্দোপাধ্যায়।
গত রবিবার শোভাবাজার অঞ্চলে কাসারি বাড়িতে আয়োজিত এক যৌথ কাশীপুর বিধান সভার ৪টি ওয়ার্ডকে(৭,৮,৯ ও ১৯ )নিয়ে যে কর্মীসভা করা হয় সেখানে দু'দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়।উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি ও স্থানীয় বিধায়ক তারক বন্দোপাধ্যায়।তৃনমূল নেতা পরেশ পাল, অতীন ঘোষ প্রমুখ। কিন্ত আজকের সভা একেবারে অন্যরকম ।
আনুষ্ঠানিক ভাবে সভা শুরু হয় ৭.৩০মিনিটে।কলকাতা পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের তৃনমূল নেতা সন্দিপন বিশ্বাস,যুব তৃনমূল কং নেতা লক্ষী সামন্ত,কং নেতা ধীরেন ঘোষ,সমীর মূখার্জ্জী,স্বপন কুন্ডু,স্বরূপ বোস প্রমুখ কংগ্রেস ও তৃনমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ যৌথ ভাবে মিছিলের মাধ্যমে সভাস্থলে উপস্থিত হন।সভার পরিবেশ হয়ে ওঠে আবেগ ঘন।যেনো বহুদিন পর স্বজনকে আবার কাছে পাওয়ার আনন্দ।এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কংগ্রেস নেতা সুদীন ভট্টাচার্য্যর নাম প্রস্তাব করেন সুদীপের ঘনিষ্ঠ তৃনমূল নেতা সন্দিপন বিশ্বাস।এরপর একে একে বক্তব্য পেশ করেন কংগ্রেস ও তৃনমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা। ছাত্রপরিষদের সাধারন সম্পাদক ও মুখপাত্র স্বরূপ বোস তার বক্তব্যে বলেন-‘খাতায় কলমে জোট নয়। সাবির্ক ও সামগ্রিক ভাবে দৃষ্টান্তমূলক জোট বদ্ধ হওয়ার চ্যালেঞ্জ এখন আমাদের সামনে।আমরা এই চ্যালেঞ্জে জয়লাভ করবই’।স্বরূপ বাবু তার বক্তব্যে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেন মহঃ সেলিম কে। তিনি বলেন-‘সেলিম ধমর্নিরপেক্ষতার ছদ্দবেশ ধরে ভোটের বাজার বাজিমাত করতে চাইছে।হিন্দু অধু্ষিত এলাকায় লিখছে কমরেড সেলিম।মুসলিম ভাইদের কাছে ভোট চাইছে মহম্মদ সেলিম নাম প্রচার করে।‘ গত পাঁচ বছরে সেলিম জন প্রতিনিধীর দ্বায়িত্ব পালন করতে সঠিক ভাবে পারেনি বলে মন্তব্য করেন স্বরূপ বাবু। তার বক্তব্য ভোটের সময় ভোটারদের কাছে ১২টি মোবাইল ফোন নম্বর বিলি করেছিলেন সেলিম। ভোটের পর একটির ও অস্থিত্ব নেই। তিনি বলেন উত্তর পূর্ব লোকসভার মানুষ তাকে "মোবাইল সেলিম" বলে।

প্রার্থী সুদীপ বন্দোপাধ্যায় তার বক্তব্যে কর্মীদের উৎসাহ দানের সাথে সাথে ভোটের অঙ্কের হিসেব তুলে ধরেন।সুদীপ বাবুর বক্তব্য যেহেতু ডিলি মিটেশনের পর কেন্দ্রটি ভেঙে নতুন ভাবে তৈরী হয়েছে তাই এবারের প্রচারে কর্মীদের আরো অনেক গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা গ্রহন করতে হবে।উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পরছে ৬২টি ওয়ার্ড।প্রতিটি ওয়ার্ডে মানুষকে বোঝানোর দ্বায়িত্ব নিতে হবে সমস্ত কর্মীদের। ১৪ লক্ষ নতুন ভোটার। এদের প্রত্যেকের কাছে গিয়ে বোঝাতে হবে কেন তৃণমূল জোটকে ভোট দেবেন মানুষ।

কর্মীসভার এই সম্মেলনটি ছিল আপাদ মস্তক আবেগঘন । বহুদিন পর পুরান সাথিদের সাথে একই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগ প্রবন হয়ে পরেন অনেক নেতাই।

প্রাক ভোট পর্বের জোট পন্থি ও জোট বিরোধী এরকম দ্বিধা বিভক্ত মহল এখন কমির্সভা গুলিতে মিলিত হয়ে যেন আবেগের তাড়নায় মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছেন। কংগ্রেস ও তৃনমূলের কমীর্সভা গুলি মনে করিয়ে দিচ্ছে মানিক বন্দোপাধ্যায়ের বেড়া গল্পটাকে। যেখানে দুই ভাইয়ের পৃথক সংসারের বিভেদ সৃষ্টিকারি বেড়াটি কোনও এক কালবৈশাখির ঝড়ে ভেঙে যাওয়ার পর নিজের অজান্তেই ভিন্ন দুই পরিবার হয়ে উঠলো আবার একান্নবর্তি পরিবারে।
কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের বতর্মান কমির্সভা গুলি এরকম কথাই মনে করিয়ে চলেছে।

Monday, March 23, 2009

মায়ের দায়িত্ব পালনের জন্য বিক্রি করেছিলেন মৃত্যু শয্যার সত্ত্ব। মাতৃদিবসের সকালে চলে গেলেন জেড গুডি......


কলকাতা,২৩শে মার্চ’০৯
জানতেন মৃত্যু আসন্ন।নিজের ছোট দুটি বাচ্চার ভবিষ্যত নিয়ে ছিলেন চিন্তিত।মৃত্যুর মুখে বিয়ে করেছিলেন ওদের মুখের দিকেই তাকিয়ে।মৃত্যুর শয্যার সত্ত্ব বিক্রি করেছিলেন সংবাদ মাধ্যমকে।যাতে ওই টাকায় স্বচ্ছন্দে জীবন কাটাতে পারে তার দুই সন্তান।
মাতৃদিবসের সকালে মায়ের হাতে ফুল ও গ্রিটিংস কার্ড তুলে দিতে চেয়েছিলেন তার দুই সন্তান ববি(৫) আর ফ্রেডি(৪)।কিন্তূ সে সুযোগ আর তাদের হল না। এদিন সকালে এসেক্সের আপ্সায়ারে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন জেড গুডি।৪৮ঘন্টা কোমায় আছন্ন থাকার পর প্রিয়জনদের চোখের সামনে চিরতরে জীবনের মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন তিনি।
রিয়েলিটি শো-এর জগতে গুডি ছিলেন উজ্জ্বল তারকা। লন্ডনে বিগ ব্রাদার্স শো-এ গুডিই প্রথম অংশ নেন ২০০২ সালে।২০০৭ সালে ভারতীয় নায়িকা শিল্পা শেঠীকে বর্ন বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার জন্য সারা পৃথিবীর কাছে পরিচিত হন গুডি।পরে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল কালার্সে “বিগ বস” নামে একটি রিয়েলিটি শো-তে অংশগ্রহন করার জন্য ভারতে আসেন গুডি।
এই রিয়েলিটি শো চলাকালীন গুডির কাছে খবর আসে যে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত।ডাক্তারের নির্দেশে তিনি শো ছেড়ে চলে যান চিকিৎসার জন্য।ফেব্রুয়ারী মাসে ডাক্তাররা জানিয়ে দেন তার সুস্থ্য হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
জীবনের প্রথম দিকটা গুডিকে অনেক কষ্টের মধ্যে কাটাতে হয়েছিল।মদ্যপ লম্পট বাবার অত্যাচারে গুডির জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে।তরুন বয়সে পেশা হিসেবে বেছে নেন ডেন্টাল নাসিং।কিন্তু গুডি ছিলেন উচ্চাকাক্ষী।তার উচ্চাকাক্ষা পূরনের প্রথম সুযোগ আসে “বিগ ব্রাদার্স হাউস”নামক রিয়েলিটি শো-এ।এই রিয়েলিটি শো-তে সুযোগ পাওয়ার পর তিনি জগৎ খ্যাত হয়ে ওঠেন।
খ্যাতির এই দীপ্তি বেশীদিন ভোগ করতে পারলেন না গুডি।অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঝরে গেল রিয়েলিটি শো-এর মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এই তারকা।












http://vinnobasar.blogspot.com/2009/03/new-ad-to-be-continued.html

Wednesday, March 18, 2009

তৃণমূলের তারকা প্রার্থীদের অনুষ্ঠান সম্প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা দাবি করলো সিপিএম।


অন্তরা পাল,কলকাতা,১৮ই মার্চ'০৯
নির্বাচন কমিশনের কাছে শতাব্দি রায় ও তাপস পালের কোনও অনুষ্ঠান বা সিনেমা সম্প্রচারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের স্থগিতাদেশ দাবি করলো সিপিআই(এম)। তৃণমূলের এই দুই তারকা প্রার্থী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম ও কৃষ্ণনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই ১৬ই মার্চ অর্থাৎ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই দুজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর কোনও বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান যাতে সরকারি বা বেসরকারি ভাবে সম্প্রচার না হয় তার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আজ এক স্মারকলিপি জমাদেন সিপিএম নেতা রবিন দেব।

রবিন বাবুর বক্তব্য- তারকা প্রার্থীদের বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারন তাদের অতিমানবিক রুপ নিবার্চনী ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই অবিলম্বে যে সব তারকা প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন তাদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দাবি করেছি আমরা।

এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শতাব্দি রায়। তিনি বলেছেন – আমি মনেকরি না যে, আমাদের কোনও সিনেমা সম্প্রচারন করা বন্ধ করা উচিৎ। নমিনেশন জমা দেবার সময়ই আমি কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছিলাম আমার নতুন সিনেমা ‘ঢাকি’ সম্প্রতি নন্দনে প্রদশির্ত হবে। এটা ব্যান্ড করে দিলে খুব অসুবিধা। এখন দেখা যাক নির্বাচন কমিশন কি পদক্ষেপ নেয়।

এদিকে সিপিএমের এই দাবিতে বিপাকে পড়েছেন সিনেমা শিল্পের প্রযোজক মহল। শতাব্দি রায় প্রায় ২৫০টি বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাপস পাল অভিনয় করেছেন প্রায় ৩৫০টির মতো বাংলা সিনেমায়।

কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনও সিনেমা শিল্পী ভোটে অংশগ্রহন করেন তাহলে তার সিনেমা দূরদশর্নে সম্প্রচার করা যাবে না।

কিন্তু এই নিয়মের আরও কড়াকড়ি চায় সিপিএম। তাদের দাবি সরকারি চ্যানেল সহ বে সরকারি কোনও চ্যানেলেও সম্প্রচার করা যাবে না তারকা নির্বাচন প্রতিনিধিদের।

পোলার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউ এস এ

ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা – ইএসএ বরফ পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ ক্রায়োস্যাট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ প্রথম ক্রায়োস্যাট প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে রকেট উৎক্ষেপণ যন্ত্রেই বিধ্বস্ত হয়েছিল৷

প্রথম প্রচেষ্টার পর সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেছে৷ এ বছরের নভেম্বরে ইউএসএ নতুন করে এটি উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ প্রাথমিকভাবে ২০০৫ সালের অক্টোবরে এটি কক্ষপথে উৎক্ষেপণের কথা ছিল৷
এ উপগ্রহের লক্ষ্য হচ্ছে মেরু অঞ্চলে বরফ জমার সূক্ষ পরিমাপ বের করা৷ এছাড়া এর মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে বিশ্ব উষ্ণতার প্রভাব পরিমাপ করা হবে৷ ক্রায়োস্যাট – ২ নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে যাত্রা শুরু করে ৭১৭ কিলোমিটার কৌণিক দূরত্বে পৃথিবীকে ৪২ মাস প্রদক্ষিণ করবে৷ এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মেরু অঞ্চলের না পাওয়া ছবি ও পরিমাপ পাওয়া সম্ভব হবে৷ এ উপগ্রহটিতে বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় ক্ষমতাসম্পন্ন দু'টি এ্যান্টেনা থাকবে যা মানব চক্ষুর মতো মেরু অঞ্চলের বরফ এর ফলে উভয় মেরুতে সমুদ্র পৃষ্ঠে বরফের আস্তরণের পুরুত্ব এবং এক বছর থেকে পরের বছরে এর উপরিতলে সামান্য পরিবর্তনও নির্ণয় করা সম্ভব হবে৷
ইতিমধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের পদ্ধতি কেমন হওয়া উচিত – এ বিষয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে৷ ভূ-পৃষ্ঠে বরফ গলে যাওয়া বিষয়ে জানা গেছে অনেক নতুন তথ্য৷ উত্তর মেরুর জীবন সম্পর্কে এখন পর্যন্ত করা সবচেয়ে সমন্বিত গবেষণা প্রতিবেদনটি আর্কটিক ওশান ডাইভার্সিটি নামক একটি সংস্থা গত মাসে প্রকাশ করে৷ এ গবেষণায় দেখা গেছে, আগে যেসব কঠিন খোলস বিশিষ্ট জলজ প্রাণী নরওয়ের স্ভালবার্ড দ্বীপের শীতল পানিতে বাস করতো তারা মেরুর দিকে চলে যাচ্ছে৷ কারণ হিসেবে দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঐ অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে গেছে এবং তা এসব প্রাণীর বাস উপযোগী আর নেই৷
সকল নতুন তথ্য-উপাত্ত সত্ত্বেও ইএসএ বিশ্বাস করে যে ক্রায়োস্যাটের অভিযান এখনও খুব প্রয়োজনীয়৷ ক্রায়োস্যাট অভিযাত্রার বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা এবং জার্মান আলফ্রেড ভেগেন্যার ইন্সটিটিউট এর তুষারবিশারদ ডানিয়েল স্টাইনহাগে বার্তা সংস্থা আইপিএসকে বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং বরফ গলে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের জ্ঞানভান্ডার বেশ সমৃদ্ধ হয়েছে৷ তবু ক্রায়োস্যাট-এ ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাহায্যে উভয় মেরুতে বরফের আয়তন পরিবর্তনের সবচেয়ে সঠিক পরিমাপ পাওয়া যাবে৷ তবে তিনি স্বীকার করেন, যে এ বছর ৭ থেকে ১৮ ডিসেম্বর কোপেনহাগেনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে কাজে লাগানোর জন্য সঠিক সময়ে ক্রায়োস্যাটের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যাবে না৷ এ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কিয়োটো প্রোটোকলের বদলে একটি নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে৷ কারণ কিয়োটো প্রোটোকলের মেয়াদ ২০১২ সালে শেষ হচ্ছে৷

বরুনের রাজনৈতিক চালাকি - কোনও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করিনি। বোকাবাক্স অন্য তথ্য।


১৮ই মার্চ০৯,কলকাতা
বরুনের রাজনৈতিক চালাকি - কোনও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করিনি। বোকাবাক্স অন্য তথ্য।
ভোটের মুখে তার দল বিজেপি পাশে দাড়ালনা। বিজেপির দুই সংখ্যালঘু নেতা, দলের সহসভাপতি মুখতার আব্বাস নাকভি ও বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান শাহনওয়াজ হোসেন উলটে তিব্র ভাষায় সমালোচনা করলেন বরুনের।


নিবার্চন কমিশন উত্তর প্রদেশ পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় দন্ডবিধির ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের একাধিক ধারায় বরুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে। অগত্যা নিজেকে বাঁচাতে আস্বিকার করা ছাড়া আর দ্বিতীয় কি উপায় থাকতে পারে ? তাই নিজের মন্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাড়ালেন বরুন। বললেন- সাম্প্রদায়িক কোন মন্তব্য করেননি। তার মন্তব্য বিকৃত ভাবে পেশ করেছে সংবাদ মাধ্যম।


ওদিকে বরুনের মন্তব্যের গোটা ভিডিও টেপ এখন সংবাদ মাধ্যমের হাতে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সেই ভিডিওর ‘আন এডিট ভাসর্ন’ প্রকাশ করে চলেছে অনবরত। সেই ভিডিও টেপে দেখা যাচ্ছে, তার নিবার্চনী কেন্দ্র পিলিভিটে এক জনসভায় বরুন বলছেন- ‘হিন্দুদের দিকে যে হাত উঠবে বরুন গান্ধি সেই হাত শুধু রুখবেই না কেটে ফেলবে’।

কিন্তু বরুন বেমালুম বদলে ফেলেছেন তার এই অভয়বানী। বরুন জানিয়েছেন- সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েই ওই উক্তি করেছেন। বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
বরুনের কেন্দ্র পিলিভিটে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা যথেষ্ট। হিন্দু ভোট এককাট্টা করার প্রচেষ্টাতেই বরুন এরকম সাম্প্রদায়িক উষ্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন, বলে মনেকরছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
অন্দর মহলের খবর, সঙ্ঘ পরিবারের প্রধান কুপ্পহলি সুদশর্ন বরুনের আদর্শ। কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই নেতার সাথে প্রায়ই যোগাযোগ করেন বরুন। কুপ্পাহলিকে খুশি করার উদ্দেশ্যেই বরুন এই কট্টর হিন্দুত্বের কার্ড খেলেন।
তা সে যে কৌশলই হোক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ভাবে বরুন গান্ধি যে এখন একেবারেই কোনঠাসা সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাই বাঁচার জন্য বেছে নিয়েছেন অশ্বথামা হত ইতি গজো’ থিয়োরি।

Saturday, March 14, 2009

প্রণব মুখার্জীর গলায় জুতোর মালা পরানোর ব্যাপারে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাল প্রদেশ কংগ্রেস......।।



অন্তরা পাল,কলকাতা,১৪ই মার্চ’০৯

হাজরা রোডে গত বৃহস্পতি বার রাতে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী প্রণব মুখার্জীর ছবি নিয়ে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন পঃবঃ প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র ও সম্পাদক শুভঙ্কর সরকার ।

শুভঙ্কর বাবুর বক্তব্য এক স্বার্থান্বেষী চক্র বিদেশ মন্ত্রী তথা পঃবঃপ্রঃকংগ্রেসের সভাপতি প্রণব মুখার্জীর মর্যাদা হানি করার উদ্দেশ্য এই ঘৃণ্য রাজনৈতিক খেলায় মেতেছে।তাদের এই কুৎসিত উদ্দেশ্য সফল হবে না।

এই ছবির নীচে লেখা ছিল ‘কংগ্রেস কর্মীবৃন্দের সৌজন্যে’।এই বিষয়ে তিনি বলেন এই কাজটি কে বা কারা করেছে সেটা নিদৃষ্ট ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।তবে নিচে লেখা থাকলেই যে,এই কাজ কংগ্রেসের কোনও কর্মী করেছে এমনটা বলা যায় না তেমন বিরোধী দল নিজে এই কাজ করে কংগ্রেস কর্মীদের নাম দিয়ে তাদের কালিমালিপ্ত করার প্রচেষ্টা করেনি তাও কিন্তু বলা যাচ্ছে না।

‘পঃবঃ প্রদেশ কংগ্রেসকে তৃনমূল কংগ্রেসের কাছে বিক্রী করার জন্য প্রণব বাবুকে জানাই অভিন্দনন’ এই কথা প্রসঙ্গে শুভঙ্কর বাবু জানান যে,দলকে কারোর কাছে বিক্রী করা হয়নি।এ রাজ্যে তৃনমূল এর সাথে আসন ভাগা ভাগি করার অর্থ দল কে বিক্রী করে দেওয়া এমনটা মনে করা পাগলামি। যখন বাম বিরোধী মানুষ চাইছে সিপিএমকে বাংলা থেকে হঠাতে তখন এই জোট সময়োপযোগি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত। প্রণব বাবুকে নিয়ে যারা এই ঘৃন্য চক্রান্ত করছে অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

Thursday, March 12, 2009

পশ্চিম বঙ্গকে অপশাসন মুক্ত গড়ার ডাক দিল তৃনমূল এবং কংগ্রেস দলের জোট.....

স্বরূপ বোস,কলকাতা,১২ই মার্চ’০৯
যাবতীয় জল্পনা কল্পনার অবসান হ’ল গতকাল মমতা ব্যানার্জীর সাংবাদিক বৈঠক।আজকে সকালে দিল্লীতে কেশব রাও জানান জোটের ব্যাপারে হাইকমান্ডএর মৌখিক অনুমোদন পেয়ে গিয়েছেন। তারপর বিকালে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রণব মুখার্জী তৃনমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীকে ফোনে জানিয়ে দেন জোটের ব্যাপারে হাইকমান্ডের অনুমতির কথা।।
কংগ্রেসকে যে ১৪টি আসন দেওয়া হয়েছে সেগুলো হ ল দার্জিলিং।জলপাইগুড়ি,রায়গঞ্জ,মালদহ (উত্তর) মালদহ(দ),বহরমপুর মুর্শিদাবাদ,আরামবাগ,ঝাড়্গ্রাম,পুরুলিয়া,বাঁকুড়া,বর্ধমান-দুর্গাপুর,বোলপুর।

Monday, March 9, 2009

অমিতাভ এবার’ও হোলি খেলবেন না .........


ব্যানার্জী,কলকাতা,০৯।০৩।০৯

‘রঙ্গ বরসে ভিগে চুনরবালি রঙ্গ বরসে’

হোলির থিম সঙ হিসেবে আপামর ভারত এই গানটাকে মেনে নিয়েছে। হোলি মানেই অমিতাভ বচ্চন আর অন্য কোন নায়ক নয়,তাও মেনে নিয়েছে গোটা ভারত বর্ষ।

কিন্তু ২৬/১১-র মুম্বাইর জঙ্গি হানার পর ২০০৯ সালে হোলি পালন করাকে মেনে নিতে পারছেন না হলির ব্রান্ডেড নায়ক অমিতাভ বচ্চন।

অমিতাভ তার ব্লগে লিখেছেন-‘২৬/১১-র জঙ্গি হানার পর আর লোক দেখাতে এই অনুষ্টানে অংশগ্রহন করতে পারছি না। পেশার খাতিরে অনেক কিছু করতে হয়কিন্তু ব্যক্তিগত উচ্ছাসের সীমাবদ্ধতা আছে। মন থেকে রং খেলার কোন উৎসাহ পাচ্ছিনা। আমার অন্তর আত্মা আমাকে আটকাচ্ছে, বর্ণহীন এই মূহুর্তে রঙিন হওয়ার এই উৎসবে অংশগ্রহন করতে’

বিগত কয়েক বছর নানা পারিবারিক কারনে দোল খেলেননি অমিতাভ। বাবা হরিবংশ রাইয়ের অসুস্থতা, তারপর মৃত্যু। তারপর মা তেজি বচ্চনের অসুস্থতা ও প্রয়ানের কারনে নানা উৎসব থেকে দুরে থেকেছেন।

পারিবারিক কারণে এতদিন বিরত ছিলেন বসন্তের এই উৎসবের অংশগ্রহন থেক । এবার বিরত থাকছেন বৃহত্তর এই পরিবার, ভারত বর্ষের খাতিরেইবাস্তবতই, মুম্বাই হানায় নিহতদের পরিবারের সাদা থান আপামর ভারতবাসির হলির রঙকে যে অন্তর থেকে অনেকটাই ফিকে করে দিয়েছে সে বিষয় সন্দেহ নেই।


Saturday, March 7, 2009

জাতীয় দলের মর্যাদা হারাচ্ছে সিপিআই.........।




দিলীপ সাউ,কলকাতা,৭ই মার্চ'০৯

এবারের লোকসভা নির্বাচন নতুন এক পরীক্ষার মধ্যে দাঁড় করালো কমিউনিষ্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া-কে। ভারতের প্রাচীন রাজনৈতিক দল সি পি আই। তাদের জাতীয় দলের তকমা থাকবে কি থাকবে না তা নির্ধারন হবে আসন্ন লোকসভা ভোটের ( ২০০৯ সাল) ফলাফলে।


এর আগে যখন ২০০৪ সালে নির্বাচন কমিশন জাতীয় দলের মর্যাদা প্রাপ্ত দলগুলির জন্য নয় দফা বিধি অনুসারে চলছিলো তখনো এরকমই জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোর সঙ্কটে পরেছিল সিপিআই। নির্বাচন কমিশন তখন সিপিআই কে শোকজ করে জানতে চেয়েছিলো , কেন তাদের মর্যাদা জাতীয় দল থেকে আঞ্চলিক দলে অবতীর্ন হবে না ?


তখন জাতীয় দলের মর্যাদা পেতে গেলে রাজনৈতিক দলকে চারটি রাজ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে ছয় শতাংশ ভোট পেতে হত ন্যুনতম ওই চারটি রাজ্যে। অথবা তিনটি রাজ্য থেকে লোকসভার মোট আসনের দুই শতাংশ আসনে জয়লাভ করতে হত।


২০০৪ সালের ভোটে সিপিআই লাভ করতে পেরেছিল মাত্র ১.৪১% ভোট। নিয়ম মাফিক ১১জন সাংসদ থাকার কথা থাকলেও সিপিআই জিতেছিল মাত্র ১০টি লোকসভা আসন। ফলে নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী জাতীয় দলের মর্যাদা হারাতে বসেছিল সিপিআই। ২০০৫ সালে কমিশনের বিধি পরিবর্তনের ফলে সিপিআই সহ অন্যান্য রাজনৈতিক ছোট দলও লাভবান হয়েছিল। সেই যাত্রায় সিপিআই রক্ষা করতে পারে তাদের জাতীয় দলের মর্যাদা।


২০০৫ সালে কমিশনের ঘোষিত জাতীয় দল বিধিতে ছিলো – যে চার রাজ্যে সাংসদ থাকলে বা চার রাজ্যে, রাজ্য দলের মর্যাদা পেলেই একটি দল জাতীয় দলের মর্যাদা পাবে। সিপিআই এর তখন পাঁচ রাজ্যে, রাজ্য দলের মর্যাদা ছিলো। রাজ্য গুলি হল- পশ্চিম বঙ্গ, কেরল,মণিপুর, ঝাড়খন্ড ও তামিলনাড়ু। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝাড়খন্ড ও মণিপুরে সিপিআই এর কোন সাংসদ নেই। সম্প্রতী ঝাড়খন্ডের সিপিআই সাংসদ প্রয়াত হওয়ায় , এখন মাত্র পশ্চিম বঙ্গ, কেরল ও তামিল নাড়ুর সাংসদ নিয়ে আছে সিপিআই। সামনে লোকসভা ভোটে যদি চার রাজ্য থেকে সিপিআই ভালো ফলাফল করতে না পারে তাহলে বর্তমান জটিল পরেস্থিতিটা বহন করতে হবে আগামী পাঁচ বছর।

Friday, March 6, 2009

সমাজ তন্ত্রের স্বপ্ন হারিয়ে বাম আদর্শ এখন প্রার্থীপদ লাভের সংগ্রামে বিপ্লবি....




ভাস্কর ব্যানার্জী, ৬ই মার্চ,২০০৯, কলকাতাঃ
প্রমোদ দাশগুপ্ত ভাগ্যবান কারন তাকে দেখতে হল না এই দিনটা। তবে জ্যোতি বাবু দেখলেন। কমিউনিষ্ট আদর্শে যিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। যৌবনের লাভাস্রোত কে যিনি প্রভাহিত করে ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শোষন মুক্ত সর্বহারাদের রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্নে। এই স্বপ্নের বাস্তবায়নে কম আত্মত্যাগ করেননি তিনি। কিন্তু জীবনের সায়াহ্নে এসে তাকে দেখতে হল তারই দলের এমন এক ভাবিকাল, যারা ক্ষমতার লোভে আদর্শচ্যুতই হয়নি, নৃসংস ভাবে কুঠারাঘাত করে আদর্শের মূলে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে একদল ক্ষমতা লোভি স্বার্থান্বেষী বাম নেতাদের চরিত্র। যারা এতদিন মহান বামফ্রন্টের ঐক্য, প্লরেতারিয়েতের সরকার, সমাজ তন্ত্রের গুনমুগদ্ধ কমরেড ছিলেন। নির্বাচনে টিকিট না পেতেই তারা হয়ে উঠলেন ঘোর কমিউনিষ্ট বিদ্বেষী, গনতন্ত্রের পুরোহিত।
সইফুদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরে সিপিএমে, এই রকম হঠাৎ আদর্শ বিদ্বেষী হওয়ার সূচনা। প্রায় চল্লিশ বছর কমিউনিষ্ট আদর্শে বিশ্বাসি সফি হঠাৎ বিদ্রোহ করেন। এক পার্টির শাসনে বিশ্বাসি’ দলে দাবি করলেন গনতন্ত্রের। হয়ে উঠলেন গনতন্ত্রের প্রেমিক। শেষে হাত মেলালেন ‘তথাকথিত’ চরম ডানপন্থি পার্টি তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে।
২০০৯ সালে বাম আদর্শের গ্রাফিক চিত্রটা আরও ভয়াবহ। আদর্শের পরোয়া না করে এক দল নেতা শুধু মাত্র পার্লামেন্টের সদস্য হওয়ার (যাকে এক সময় বামপন্থিরা বলতো শুয়োরের খোঁয়াড়) টিকিট না পেয়ে চলে গেলেন বিপরীত শিবিরে।
আবু সাহেব, যিনি আগের নির্বাচনেও ভোট চেয়েছেন ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠনের আদর্শ বিনিময় করে। টিকিট না পাওয়ায় তিনি হুঙ্কার ছাড়লেন-‘মুসলিম ভোটের একটা বড় অংশ রয়েছে আমার সাথে। বহু সংখ্যালঘু নেতা আমার সাথে যোগাযোগ রাখছেন’।
বৃহস্পতিবার (৫.৩.২০০৯) মমতার সাথে দেখা করে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আবু আয়েশ মন্ডল। আবু এখন তার পুরনো দলকে ভয় দেখাচ্ছেন-‘অনেক গোপন তথ্য আছে আমার কাছে। সব ফাঁস করে দেব’।
সিপিএমের আবু আয়েশ মন্ডলের মতো দল ছাড়লেন ফরওয়ার্ড ব্লকের হিতেন বর্মন। তারও দুঃখের কারন লোকসভা ভোটে টিকিট না পাওয়া। কোচবিহারে এ বার হিতেন বর্মনের জায়গায় ফরওয়ার্ড ব্লক মনোনয়ন দিয়েছে নৃপেন রায় কে। কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্তটি মেনে নিতে পারেননি হিতেন বাবু। এখনও নতুন দলে যোগ দেওয়ার কথা হিতেন বাবু না বললেও রাজনৈতীক সন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষনা করে দিয়েছেন, নেতাজীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ দলের এই নেতা।
আর.এস.পি নেতা জোয়াকিম বাকলাও ক্ষুব্ধ দল টিকিট না দেওয়ায়। আরএসপি সুত্রে খবর- প্রকাশ্যে জোয়াকিম তার ক্ষোভের কথা বললেও এখনও দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেননি।
এই নেতাদের আদর্শচ্যুত হওয়ার দৌড়ে বামফ্রন্টে এক মাত্র নিস্কলঙ্ক সিপিআই। কারন তাদের কোন নেতা বিদ্রোহ করেননি। আসলে তারা গতবারে জয়ী কোনও প্রার্থীকেই বঞ্চিত করেননি। যদি করতো তাহলে চিত্রটা কি হত তা বলা যায়না।
যারা এক সময়ের সিপিএমের ধ্বজাধারী ছিলেন সেই কমরেডরা গঠন করল নতুন দল পি ডি এস। যার নেতৃত্বে এলেন এক সময়ের দঃ২৪ পরগনা জেলার দোর্দ্যন্ড প্রতাপশালী নেতা সমীর পুততুন্ড সঙ্গে তার সহধর্মিনী সহকর্মী অনুরাধা পুততুন্ড এবং কাটোয়ার প্রাক্তন সাংসদ সইফুদ্দিন চৌধুরীর। সফি সমীর বাবুরা প্রথমটা শুরু করে ছিলেন সাড়া জাগিয়ে। কিন্ত তারা কেন সঙ্গে পেলেন না সিপিএম থেকে বের করে দেওয়া বা বেড়িয়ে আসা আবু আয়েশ মন্ডলদের।সিপিএমের বিকল্প সিপিএম বানাতে সফি বাবুরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।কেন তাদের গঠিত দলের এ রকম হাল সে নিয়ে সফি সমীর বাবুরা কখনও কি ময়না তদন্ত করে দেখেছেন???? সমাজ তন্ত্রের স্বপ্ন হারিয়ে বাম আদর্শ এখন প্রার্থীপদ লাভের সংগ্রামে বিপ্লবী।

জোটঃ তৃণমূলের সাথে জোটে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেসের অন্দর মহল।


দিলীপ সাউ,কলকাতা,৬ই মার্চ'০৯

জোট নিয়ে প্রথম থেকে চাপা উত্তেজনা ছিল কংগ্রেসের অন্দর মহলে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় যেনতেন প্রকারে জোটের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু জোটের পরেও তার জেতার সম্ভাবনা কম। মমতা বন্দোপাধ্যায় যে আসন গুলি কংগ্রেস কে ছাড়ছেন সে গুলি অধিকাংশই তপসিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষিত। এখন সুব্রতর বক্তব্য- আমরা জোট চাই কিন্তু যে ভাবে আসন বন্টন হচ্ছে, তা কংগ্রেসের হিতের পক্ষে ক্ষতিকারক। আসন বাছাইয়ে কংগ্রেসের স্বার্থও দেখতে হবে।

অন্য দিকে দীপা দাসমুন্সি, আব্দুল মান্নান, শঙ্কর সিংরা ছিলেন সন্মান জনক শর্তে জোটের পক্ষে। এই জন্য তাদের জোট বিরোধী পর্যন্ত বলা হয়েছিল।

সুব্রত মুখপাধ্যায়, প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং মানস ভুঁইয়া গতকাল দিল্লিতে আহমেদ প্যাটেলের সাথে বৈঠক করলেন। সেখানে আমেদের হাতে সন্মান জনক শর্তে জোট করার বিষয় লেখা এক স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। ওই একই স্মারক ফ্যাক্স করা হয় সোনিয়া গান্ধিকেও। আহমেদ প্যাটেল ও সোনিয়া গান্ধিকে পাঠানো স্মারক লিপিতে দীপা-মান্নান- শঙ্করের সই চেয়েছিলেন মানস। কিন্তু শঙ্করের সাফ জবাব আগে জোট-বিরোধী বলে এখন আমাদের সই চাওয়ার মানে কি ?

তৃণমূলের সাথে জোট করার ক্ষেত্রে সন্মান জনক শর্তে জোট গঠনের কথা প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন দীপা দাসমুন্সি, তার সাফ বক্তব্য- এক তরফা আসন বন্টন কাম্য নয়। দীপা এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধিরও সমর্থন আদায় করেছেন।

যেনতেন প্রকারে জোট পন্থি নেতারা আসনের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করায়,দীপা-আব্দুল- শঙ্কর শিবিরের সাথে নীতিগত ভাবে এই নেতারা সহমত হলেও মন কষাকষির একটা ছায়া যুদ্ধ, এখনো দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছে প্রদেশ কংগ্রেস।



Wednesday, March 4, 2009

মোহনবাগানের পরাজয়ের ধারা অব্যাহত........


স্বরূপ বোস,কলকাতা,৪ঠা ফেব্রুঃ০৯ আজকের খেলায় চার্চিলের কাছে ৩-১ গোলে হেরে মোহন বাগান লিগ তালিকায় তিন নম্বরে।
আজকের আই লিগের খেলায় মোহন বাগান ৩-১ গোলে হেরে গেল চার্চিলের কাছে। চার্চিল মোহন বাগান কে হারিয়ে ৩৬ পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকার এক নম্বরে পৌছে গেল। অন্য দিকে মোহবাগান ৩৩ পয়েন্টে থেকেই তৃতীয় স্থানে পিছিয়ে গেল।
খেলার প্রথম দিকের ২৮ মিনিটের মাথায় ব্যারেটোর গোলে এগিয়ে যায় মোহন বাগান। এর পর চার্চিল দলের ওডাফা প্রথম অর্ধের ৪৭ মিনিটের মাথায় গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনে। দ্বিতীয়ার্ধে চার্চিলের ওগবা কালু ৫৭ মিঃ ও ৭৭মিনিটে দুটি গোল করে দলকে ৩-১ এ বিজয়ী করে।

Monday, March 2, 2009

কেন এই রিসিশানঃ আমরা কি দায়ী নই......।

লেখকঃ মৃনাল মজুমদার
. ০১. গ্রোথ গ্রোথ গ্রোথ। কিন্তু বিপ চাইলেই কি বাড়ানো যায় ? শেয়ার হোল্ডার ভ্যালু না বাড়ালে কোন কোম্পানির স্ট্যাটাস থাকেনা। আর শেয়ার হোল্ডার ভ্যালু বাড়াতে গেলে সম্পদ বাড়ান দরকার, রিয়েলিটিতে সম্পদ বাড়াতে না পারলেও ব্যালেন্স সিটে কারচুপি করে বাড়ানো যায়। যেমন এনরন, সত্যম।
.
. ০২. কয়েক বছর পূর্বে সেনসেক্স ৩০০০ হাজার ছিলো। ধরে নি গত ৬ বছরে ভারতে ভিজি ৯% বিপ বেড়েছে, সে ক্ষেত্রে সেনসেক্স ৫৪% বাড়া উচিৎ ছিল । যেহেতু শেয়ার মার্কেটে ফিউচার নিয়ে ট্রেডিং হয়। তাই সবসময় পরবর্তি ২ বছর (সত্যি বলতে ৬ মাস) পর কি হতে পারে স্পেকুলেট করে শেয়ার আর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কাজেই গত ৬ বছরে যদি সেনসেক্স দ্বিগুন হত, কোন প্রবলেম থাকতো না।

০৩. ব্যাঙ্ক আমাদের টাকা জমা রাখে। সেই টাকা ইনভেষ্ট করে, মানে কোন ব্যক্তি , কোম্পানি, সরকার বা অন্য ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয়। কেঊ কেঊ শেয়ার মার্কেটে খাটায়।
০৪. ব্যাঙ্ক আসলে ঋণ দিতে না পারলে ওদের ব্যবসা চলে না। সব থেকে সহজ হল যদি ব্যাঙ্ক কোন সম্পত্তি বন্দক রেখে ঋণ দেয়, যেমন ফ্ল্যাট। এখন ফ্ল্যাটের একটা মূল্য আছে। সেই মূল্য একটা নির্দিষ্ট হারে বাড়ে, মিনিমাম যতটা বাড়ে ততটা মূল্য বৃদ্ধি হয়। কিছু দালাল আছে যারা রিয়াল এস্টেটের মার্কেট নির্ধারন করে। অনেক দিন ধরে সেই মূল্য বেড়ে গেছে। যেহেতু ব্যাঙ্ক দেখলো, মূল্য বাড়ছে তাই কোন সমস্যা নেই, ফ্ল্যাট বন্ধক রেখে ধার দিতে।
০৫. এক সময় দেখা যায়, যে ঋণ গ্রহিতা টাকা শোধ করতে পারে না, তখন ব্যাঙ্ক সম্পত্তি দখল করে নেয়, বাজারে সেই ফ্ল্যাট বিক্রি করে টাকা উঠিয়ে নেয়।।কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে দেখা গেলো, যে বিক্রি করলে ৫০% ও পাওয়া যায় না।
০৬. শেয়ারের যেমন মূল্যটার উপর ভরসা করে ব্যাঙ্ক ঋন দেয়।যদি শেয়ারের দাম কমে যায়, ঋণ থেকে যায়,ব্যাঙ্ক চাপ দেয়,কোম্পানি টাকা দিতে পারে না।
০৭. এক ব্যাঙ্ক সাময়িক অর্থনৈতীক সমস্যার সমাধান করতে অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ধার নেয়।
০৮. ব্যাঙ্ক এখন বুঝেছে, যে সব ব্যাঙ্কের হাল খারাপ,তাকে কেউ ঋণ দেয় না।
০৯. সাধারনত বেশির ভাগ কোম্পানির যা বুক ভ্যালু,তার ১০-৩০% ব্যাক্তিগত মূলধন।বাকি টাকা ধার করা।যা ব্যাঙ্ক থেকে বা অন্য ভাবে।
১০.তা হলে দেখা গেলো, যে টাকা রোলিং হয়,তার ৭০%-৯০%অন্যের টাকা। এখন কোন কোম্পানি যদি নিজের ১০%-৩০% টাকা খরচ করে ফেলে,তখন তার আর নিজের টাকা থাকে না,ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয়, ব্যাঙ্ক ঋণ দেয়,কম্পানি তার বিল প্রেমেন্ট করতে পারে না।
১১. সেই কারনে কোম্পানি চেষ্টা করে কর্মী সংখ্যা কমাতে।
১২. মানুষের আয় কমে গেলে,অনেক লোক বেকার হলে,ভয় পেয়ে যাদের টাকা আছে তারাও খরচ করা কমিয়ে দেয়।
১৩.যেহেতু জিনিসের চাহিদা কমে যায়।বিক্রি কমে যায়,তাই আরও অনেকে বেকার হয়। ১৪.আমরা যে ইন্সুরেন্স করি তারাও সেই টাকা ইনভেষ্ট করে। সেই ইন্সুরেন্স কোম্পানিও আবার ইন্সুরেন্স করায়।এখন সেই কোম্পানি যে কোম্পানিতে ইন্সুরেন্স করিয়েছে, তাদেরই অবস্থা যদি খারাপ হয় ডমিনো এফেক্ট হয়।এক সাথে সব ভেঙে পড়ে-যা এখন হয়েছে।
১৫. আজকাল পশ্চিমী জিনিস অনেক আধুনিক,তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না,একটা গাড়ি কিনলে ১০-২০বছর চলে,রাস্তাও ভালো।তাই গাড়ির চাহিদা সেই হারে বাড়ছে না।
১৬. লোকের টাকা থাকলে গাড়ি কিনবে বা বাড়ি কিনবে!যখন মানুষ ভয় পায়, তখন খরচ করা কমিয়ে দেয়,বিনিয়োগ কমিয়ে দেয়,নতুন গাড়ির বিক্রিও কমে যায়-যা এখন হয়েছে।
জোর করে কতদিন চাহিদা বাড়ানো সম্ভব?
১৮. এক মাত্র চাহিদা বেড়েছে মুদির দোকানের জিনিসের,কারণ লোক বাড়ছে, কিন্তু কৃষি জমি কমছে।
১৯. আমরা দিনের পর দিন বড়োলোক হতে চাই,যে ১ লাখ আয় করছে সে এখন ২ লাখ আয় করতে চায়।
২০. কয়েক দিন পর সব জিনিসের দাম বেড়ে যাবে, মুদ্রাস্ফিতি বাড়বে কারন বাজারে অনেক টাকা আসছে।
২১. চারিদিকে হাহাকার বাড়বে। সর্বহারারা ক্ষেপে যাবে,গৃহ যুদ্ধ বাড়বে।
২২. ১৯২৮-১৯৪৫---ইতিহাস পড়ুন।কেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলো।
২৩. কাজেই এই অবস্থার পরিণতি হল ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার’ বা নতুন রাজনৈতীক ব্যবস্থা-যেমন সোসাল ক্যাপিটালিজম।
২৪. ভারতের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন। কারণ জ্বালানি আমদানি করতে হয়। সোনা আমদানি করতে হয়র উইপেন আমদানি করতে হয়।কিন্তু রপ্তানি করে কেবল জামাকাপড়, চা,বিভিন্ন যোগ্যতা সম্পন্ন শ্রমিক ইত্যাদি।
২৫. ভারতের সেই অর্থে কোন পেটেন্ট নেই,একটা ট্যাবলেট বানালেও পেটেন্টের জন্য টাকা দিতে হয়।
২৬. ভারতের রপ্তানি বানিজ্য কমে যাবে, কিন্তু আমদানি কমবেনা,ফলে বৈদেশিক মুদ্রা যা জমা হয় তা আর থাকবেনা।
২৭. এমন নয় যে ভারতের কম্পিউটার জানা কর্মী ছাড়া বিশ্ব চলবেনা,যেহেতু কর্মী চাহিদা কমে যাবে তাই বিদেশী কর্মীদের প্রথমে ছাঁটাই করবে আর দেশীয় কর্মী ৪০ঘন্টার জায়গায় ৬০ঘন্টা কাজ করবে।
২৮. ভারতীয় ঋণ গ্রহিতারা টাকা শোধ করতে পারবে না,ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
২৯. সরকার টাকা ধার করতে যাবে, কিন্তু বিশ্ব বাজার থেকে টাকা ধার করা সম্ভব হবে না।
৩০. তখন সরকার টাকা ছাপতে শুরু করবে,আর জিনিসের দাম বেড়ে যাবে।
৩১. সরকার তাই করে আমরা যা চাই। কারন ভোটে জিততে হবে। কাজেই মূল দোষী সরকার নয়, আমরাই। অবশ্য আমরা বোকা বোলে আমাদের দেশে সরকার যা করে, আমরা তা মেনে নিই। কারণ আমরা পারস্পরিক সম্পর্ক বুঝিনা, যে যেটা নিয়ে পরেছি সেটাই বুঝি। কিন্তু আপনারা দেখলেন যে একটা সমস্যার সাথে অন্য সমস্যা কতটা জড়িত।

কি শিখলামঃ লাভে পাপ পাপে মৃত্যু। মানুষের বিশ্বাস যাতে বজায় থাকে সেটা সবার চেষ্টা করা উচিৎ । অতি তাড়াতাড়ি বেড়োনা, ঝড়ে ভেঙে পোড়না। খুব তারাতারি বড়লোক হতে গেলে ভিখারি হওয়ার ভয় থাকে। বিলিতি মদ না খেয়ে চোলাই খান, টাকাটা দেশেই থাকবে।
যোদি আপনারা চান, আমি তা হলে একটা সমাধানও ভেবেছি, এক সময় না হয় তা নিয়ে লিখবো।

http://vinnobasar.blogspot.com/2009/03/new-ad-to-be-continued.html

Sunday, March 1, 2009

বিষ্ণুপুরে জয়ী তৃনমূল.......আলিমুদ্দিনে চুলচেরা বিশ্লেষণ...

উত্তম সরদার,সন্দেশ খালি,পঃবঃ,১লা মার্চ'০৯
বিষ্ণুপুরে বিধান সভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শাসক বামফ্রণ্টকে পর্যুদস্ত করে জয়লাভ করল তৃনমূল কংগ্রেস।এই নির্বাচনের দিকে সারা বাংলার মানুষ তাকিয়ে ছিল।এই আসন টি গত বিধান সভা নির্বাচনে সিপিএম ৪ হাজার ভোটে জয় লাভ করেছিল।সে সময় কংগ্রেস প্রার্থী ১৮ হাজার ভোট পাওয়ায় সিপিএমের জেতার পথ সুগম হয়েছিল।প্রথমে কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও শেষ মুহুর্তে প্রত্যাহার করে নেয়।প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েই সাথে সাথে তৃনমূল প্রার্থীর সমর্থনে কাজে নেমে পড়ে কংগ্রেস কর্মীরা।

২৬শে ফেব্রুয়ারী ভোট গ্রহন পর্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়ের ব্যবধান নিয়ে অংক কষতে শুরু করে বিরোধীরা। আজ সকাল থেকে ভোট গননা শুরু হওয়ার প্রথম রাউন্ড থেকে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী মদন মিত্র এগিয়ে থাকে।চতুর্থ রাউন্ড গননা শেষ হওয়ার পর সব কিছু পরিস্কার হয়ে যায়।
বাম বিরোধী জোট রাজনীতি আগামী দিনে আরো শক্তিশালী করতে বিষ্ণুপুরের মানুষ প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কাছে যে বার্তা পাঠাল তাকে বিরোধী নেতৃত্ব স্বাগত জানাল।

আজকের এই ফলাফলের পরে আলিমুদ্দিনে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে।

http://vinnobasar.blogspot.com/2009/03/new-ad-to-be-continued.html