Saturday, April 18, 2009

বাম এম পি প্রার্থীদের ওপর বিমান বাবুর কন্ট্রোল নেই.....রেওয়াজ ভাঙার খেলায় মত্ত তড়িৎ,অমিতাভ,সেলিমরা...





ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,১৮ই এপ্রিল'০৯
সেলিমের ‘জয় হো’ পোস্টার নিয়ে সি পি আই(এম) দলে মতবিরোধ ছিলো। প্রার্থীর ছবি দিয়ে ভোট চাওয়া এ দলের রেওয়াজ নয়। ব্যক্তির থেকে দল বড়। এই নীতি নিয়েই নিজেদের ব্যক্তিত্বকে এতদিন পর্যালোচনা করে এসেছেন কমরেডরা। সে ধারনায় প্রথম বড় ধাক্কা দিলেন মহঃ সেলিম। উত্তর কলকাতায় সেলিমের নিবার্চনী কেন্দ্রে সেলিমের ছবি দিয়ে বানানো পোস্টার দলের অমত সত্বেও রয়েছে বহাল তবিয়তে। জয় হো লেখা হোডিং না থাকলেও দখিন ভারতীয় কায়দায় বড় বড় কাট আউটে নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্র সাজিয়েছেন তড়িৎ-অমিতাভরা। ৩৪ নং জাতীয় সড়কের দু’পাশে শোভা বর্ধন করছে তড়িৎ বাবুর ছবি দেওয়া বড় বড় কাট আউট। যেখানে সোনিয়া রাহুল মমতার কাট আউট থাকলেও তা চোখে পড়ছে না। তড়িৎ বাবুর কাট আউট এ তাকে পরিস্কার ভাবে দেখা গেলেও তার দলের প্রতিক চিহ্ন কে খুঁজতে প্রয়োজন মাইক্রোস্কোপ।
অমিতাভ বাবু কম যায় কিসে??সুভাষ বাবুর মতো
“মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক,
আমি তোমাদেরই লোক”।
স্লোগান না থাকলেও রয়েছে অমিতাভ বাবুর বড় বড় ব্যানার হোর্ডিং এ ব্যবহার করা হয়েছে তার ছবি। কোথাও কোথাও বড় বড় দেওয়ালে অয়েল পেন্ট করা বাবু অমিতাভ নন্দির ফটো।

সেলিমের আবার নব সংযোজন নতুন কিছু পোস্টার যার তলায় সৌজন্য কথাটি ব্যবহার করে রাম,শ্যাম,যদু,মধুর নাম। এই সৌজন্য দেখিয়ে পোস্টার বানানোর রেওয়াজ এতদিন ছিলো কংগ্রেস বা তৃনমূলে। সেলিম সাহেবের হাত ধরে এবার এই রেওয়াজ আমদানি হলো প্লোরেতারিয়তের এই দলে। সৌজন্যে যারা সেলিম সাহেবের পোস্টার ছাপিয়েছেন তারা সেলিম বাবুর ব্যবসাই বন্ধু-বান্ধব। নিজেদের নাম প্রকাশের সাথে সাথে এরা ছাপিয়েছেন নিজেদের ছবিও।
এদের ‘কর্মকান্ড, সংসদীয় নিষ্ঠা’ দেখে প্রথমে এদের কে মনোনয়ন দিতে রাজি ছিলো না সি.পি.আই(এম) রাজ্য কমিটির এর এক অংশ। কিন্তু কোনও এক অদৃশ্য বল-এ কল-কাঠি নাড়িয়ে এরা জায়গা করে নিয়েছে সি.পি.আই(এম)-এর লোকসভা প্রার্থী তালিকায়। তারপর থেকেই এরা কার্যত “বাগি” হয়ে উঠেছে। প্রথম প্রথম বিমান বাবু এদের সংযত করার চেষ্টা করলেও এখন হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলেই মনে হয়। কারন ‘জয় হো’ পোষ্টার বিতর্কের পরেও সেলিম ওই পোষ্টার না খোলায় তিনি কোনও রকম বাদানুবাদে যাননি। বিমান বাবুর অবস্থা কেমন যেন ‘ভিস্ম পিতামহের’ মতো করুন।
তাই বোধহয় আরো বাড়াবাড়ি শুরু করে ফেলছেন এরা। বিশেষ করে সি.পি.আই(এম)-এর ‘বাগি সাহেজাদা সেলিম’। সেলিম ছাত্রাবস্থা থেকে মার্কসিয় আদর্শে বিশ্বাসি হলেও ভোটের বাজার দখলের তাগিদে হনুমান মন্দিরের চরনামৃত খাওয়া থেকে জুম্মা বারে মনোনয়ন জমা দেওয়া কিছুই বাদ দেননি সেলিম।
কংগ্রেসের সাথে চার বছর কেন্দ্রীয় সরকারে হানিমুন করেছে সি পি এম। সেখান থেকেই কি এ ছোঁয়াচে রোগ ধরলো সি পি এমে। কারন সৌজন্যে পোস্টার ছাপিয়ে নিজের নাম বকলমে প্রচার করা এতদিন দেখা যেতো কংগ্রেস রাজনিতীতেই। এবার সেলিম সাহেবের হাত ধরে তা আমদানি হল এ রাজ্যে।
কি বলেন বিমান,বিনয়,বুদ্ধ ত্রয়ীরা ???
প্রকাশ বাবু,আপনি কি ভাবছেন???

Friday, April 17, 2009

সি.পি.এম পার্টি ক্যাডার শিক্ষকের কাছে প্রাথমিক শিক্ষায় আমাদের শিশুরা আর কতদিন শিখবে A B C D ঙ............।

ভাস্কর ব্যানার্জী, কলকাতা,১৭ই এপ্রিল'০৯
“মাতৃ ভাষা মাতৃদুগ্ধ’ অবশ্যই। কিন্তু শুধু এই তত্বের জোরে শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি প্রতিষ্টিত করা যায় না। করলে যে ফলাফল হয় তা আজ পশ্চি্মবঙ্গের চোখের সামনে। গোটা একটা প্রজন্ম দুগ্ধ পোষ্য হয়ে বসে আছে বাংলা মায়ের কোল ‘আলোকিত’ করে । ক্লাস সিক্সে এ.বি.সি.ডি পড়া এই বঙ্গ সন্তানরা চোখের সামনে দেখেছে আই.টি,কলসেন্টার কিন্তু সেখানে প্রবেশ করে চাকরী পাওয়ার পথ রাজ্য সরকারের কল্যানে তারা হারিয়ে ফেলেছে শৈশবে। গ্লোবাল ভিলেজের যুগে তাদের চাকরী পাওয়ার চাবি কাঠি হারিয়ে গেছে ‘মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের’ গোলক ধাঁধায়।
একটা জীবনমৃত প্রজন্মের লাসের উপর দাঁড়িয়ে তিরিশ উদ্ধ সিপি আই(এম) সরকার আজ বুঝেছেন ‘মাতৃভাষা মাতৃদুগদ্ধ’ হলেও বহুভাষী এই বিশ্বে অন্য ভাষা শিক্ষা প্রয়োজন। প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু হয়েছে ইংরেজি শিক্ষাদানের কমর্সুচি। ব্রিটিশ কাউনসিল এবং অন্যন্ন ইংরেজি শিক্ষা দান কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
সাধু উদ্যেশ্য। তবে এখানেও একটা গলত চোখে বিঁধে চলেছে ক্রমাগত। গলতটি চিরাচরিত ক্যাডার রাজ। পার্টির সৌজন্যে প্রাথমিক স্কুলে চাকরী পাওয়ার লোকের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত। ‘শিক্ষক হওয়ার বায়োডাটায়’ কিছু গুন থাক না থাক কমরেড ভূষনে ভূষিত থাকার যোগ্যতা অবস্যই এদের থাকতে হবে’। এটাই যেনো এখন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক হওয়ার ‘প্রাথমিক ও সবর্শেষ গুনাবলি’।
এই তথ্যের প্রমান আছে ভুরিভুরি। চোখের সামনেই দেখা যায় কমরেডের অথর্নৈতীক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তার নেতারা কি ভাবে তাদের পাইয়ে দেন প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরী। কলকাতা অঞ্চলের ঘটনা এক ভিন্নরাজ্যের ছেলে ক্লাববাজি করে দিন কাটাতো। গত বিধান সভায় ভোটের সময় সে যোগ দেয় সিপি আই (এম) দলে ( সে দলের সদস্য বা CM নয়) । ভোটের পর সে পার্টির দয়ায় পায় ইট,বালি,সিমেন্টের সাপ্লাইয়ের কাজ। এখান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে কন্ট্রাক্টারি। কিন্তু ব্যাবসায় টাকা যেমন ঝুঁকিও তেমন।নেতার হাতে পায়ে ধরে প্রথমে ঢোকে স্থানীয় এক স্কুলে প্যারা টিচারের কাজে। কিন্তু মাইনে কম। তাই আবার নেতার হাতে ধরা। অ্যাপলাই করে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদে, কিন্তু ভাঙা ভাঙা বাংলায় ভাষা-শিক্ষকের চাকরী মেলে কি ভাবে?
কেনো,নেতাজি হ্যায় না।
নেতার পরামর্শে জেনে নেয় ইন্টারভিউ বোর্ডে কে কে আছে। তার মধ্যে কার বাড়ী এই জোনাল কমিটির মধ্যে। ব্যাস কেল্লা ফতে একদিন সকালে তার বাড়িতে নেতার চিঠি নিয়ে হাজির। কার্যত ইন্টার ভিউ সেখানেই শেষ।
চাকরী তো মেলে, কিন্তু দলবাজী করে কাজ কি ভাবে চলে। ভাঙা ভাঙা বাংলায় কি করে ছাত্রদের স্পষ্ট উচ্চারন করতে শেখায়। বাংলা টিচার ‘সাউ’ এখন স্কুলের জানলা দিয়ে বাংলার আকাশ দেখে বাংলা শেখায়। আর ছাত্র ছাত্রীরা কাটাকুটি খেলে বাংলা শেখে।
এই ঘটনাটা যদি বিচ্ছিন্য হয়;তাহলে আপনার জানা ঘটনার সাথে যুক্ত হয়ে এটা স্বাভাবিক রেওয়াজে পরিনত হলো। আমাদের সবার জানা এরকম এক একটা ঘটনা প্রমানিত করছে এরকমই চলছে ‘হালহকিকত’।
বেশ চলছিলো তবে সমস্যা বাড়ালো ব্রিটিশ কাউন্সিল। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ট্রেনিং নিতে যাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা এখন চুড়ান্ত ভাবে অপমানিত। ব্রিটিশ কাউন্সিলের দেওয়া ট্রেনিং থেকে ‘A.B.C.D.ঙ’ তারা কি ভাবে শিখলো তা বুঝে উঠতে পারছেনা রাজ্য সরকার। স্কুলে ডেমষ্ট্রশন দেওয়ার কথা ছিলো এদের, সে ডেট এরা ক্রমাগত পেছচ্ছেন ‘পেট খারাপের অজুহাতে’।
বুদ্ধবাবু আপনার স্বপ্ন হয়তো একদিন সফল হবেই। কিন্তু ‘দিল্লি’ বহু দূর। যে রাজ্যবাসীকে আপনি বিশ্বমানের চাকরী দিয়ে সুখি প্রজন্ম বানাতে চাইছেন। তারা যে,এই সব ঘুনে ধরা শিক্ষকদের কাছে শিক্ষা নিয়ে ‘A.B.C.D.ঙ’ ছাড়া কিছুই বলতে পারেনা।
রাজ্যে স্কুলের হাল..............-

১৮% স্কুলের কোনও ঘর নেই
১৮% স্কুলের একটি করে ঘর
৩৬% স্কুলের শুধু নাম আছে বাস্তবে নেই।
৫০% স্কুলে বড়জোর দুজন শিক্ষক।
প্রাথমিক ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যায় রাজ্য দেশের মধ্যে ১৪ নং স্থানে।

ধর্ষনের স্বর্গ রাজ্য ভারতবর্ষ। প্রতি ঘন্টায় ধর্ষন হচ্ছে দুজন মহিলা........।


লোকসভা ভোটে ২২ শতাংশ মহিলা সংরক্ষনের দাবি জানিয়ে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে সি পি এম। দল মত নির্বিশেষে গোটা দেশের সব কটি রাজনৈতীক দল মোটামুটি এ বিষয়ে সহমত। ভারতবর্ষ পৃথিবীকে দিয়েছে ইন্দিরা গান্ধী। যিনি রাজনিতীর চরম শিখরে পৌঁছেছিলেন। খ্যাত হয়েছিলেন এশিয়ার মুক্তি সুর্য’ ভূষনে। বর্তমান শাসক জোট ইউ পি এ’র চেয়ার পার্সন একজন মহিলা। সনিয়া গান্ধী যার রাজনীতিতে পাঁচ বছর ভারত শাসন করলো কংগ্রেস। ভারতের প্রশাসনিক প্রধান রাষ্ট্রপতি প্রতিভা সিং পাটিল এক জন মহিলা। জয়ললিতা,মমতা ব্যানার্জী,মায়াবতী,বৃন্দাকারাত।সুষমা স্বরাজের মতো রাজনিতীর শির্ষে থাকা মহিলা এই ভারত মায়ের কন্যা রত্ন।
তবুও বাস্তব কতো নির্মম। এদেশে নারীদের উপর অত্যাচার ব্যাভিচারের মতো ঘটনা ঘটে আকছার। এই দুরারোগ্য ব্যাধির কবলে গোটা এই সমাজ ব্যবস্থা। প্রতি ঘন্টায় ভারতের দুজন মহিলা ধর্ষন হয়ে চলেছে ক্রমাগত। গত বছরে ২০,৭৩৭ জন মহিলা ধর্ষন হয়েছে এদেশে। যা বিগত বছর গুলির তুলনায় ৭.২ শতাংশ বেশী।আর ভারত বর্ষের মধ্যে ধর্ষনের মাত্রা সবথেকে বেশী মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। মধ্যপ্রদেশ বছরে ধর্ষনের পরিমান ৩০১০ টি যা দেশের মোট ধর্ষনের ১৪.৫ শতাংশ। এর পরেই পশ্চিমবঙ্গ এখানে বিগত বছরে ধষর্নের মোট ঘটনা ঘটেছে ২.১০৬ টি। যার মধ্যে গন ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে ৯৩ টি। এর পরেই স্থান পেয়েছে উত্তর প্রদেশ (১,৬৪৮),বিহারে (১,৪৫৫) এবং রাজস্থান (১.২৩৮)ধর্ষনের ক্ষেত্রে ৯২.৫ শতাংশ ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা গেছে ধর্ষক ধর্ষিতার পরিচিত কেউ। ৬৯০২ টি ধর্ষনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে ধর্ষক ধষির্তার প্রতিবেশি। পরিবারের বাবা অথবা ভাই-দাদার কাছে ধর্ষন হয়েছে এমন ঘটনা ৪০৫ টি। আত্মীয়ের দ্বারা ধর্ষনহয়েছে এমন ঘটনা ১৪৪৮ টি।৯০ শতাংশ ধর্ষনের ঘটনায় ধষর্ক ও ধষির্তার সুসম্পর্ক ছিলো। তারা একে অপরের সাথে কথা-বার্তা বলতো। ১৮-৩০ বছরের মহিলার বেশি ধর্ষিত হয়েছেন। ধর্ষক এর বয়স বেশি ভাগ ক্ষেত্রে ৩০-৫০ বছর।
দেশে ধর্ষন হওয়া মেয়েদের মধ্যে ৬১৭ জন ১০ বছরের নিচে। ৪,৫০৭ জন ১০-১৮ বছরের।
নারীদের উপর অত্যাচারে সবর্চ্চ স্থান অন্ধ্রপ্রদেশের। দেশের মোট অভিযোগ দায়ের করা ঘটনার ১৩.৩ শতাংশ অন্ধ্রপ্রদেশে। ধর্ষনের ও অন্যান্য নারী অত্যাচারে পশ্চিমবঙ্গ ক্রমবর্ধমান। এখানে মোট নারী নির্যাতনের ঘটনা ২২৬৭৪ টি। যা বিগত বছরে ছিলো ১৭৫৪৬ টি। ২০০৮ সালে এরাজ্যে গনধর্ষন হয়েছে ৯৩ টি। ধর্ষন হয়েছে ২০৯৫ টি। যৌন বৃত্তি করানোর জন্য নারী অপহরন হয়েছে ১৩৭ টি। মোট নারী অপহরনের সংখ্যা ১৮২৯ টি। ইভটিজিং এর অভিযোগ দায়ের করা সংখ্যা ১০২ টি। পনের জন্য পুড়িয়ে মারা হয়েছে ২৪ জনকে। অন্য উপায়ে পনের জন্য খুন হয়েছে ৫৪ জন। পনের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে ৩৭ জনকে। অন্যউপায়ে পনের জন্য খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে ৩৩০ জন মহিলাকে।পনের জন্য আগুনে পুড়ে আত্মহত্যা করেছেন ১২৭ জন। অন্যউপায়ে পণ প্রথার কারনে আত্মহত্যা করেছে ৩২৫ জন। শ্বশুর বাড়ীর অত্যাচারের স্বীকার ১৩৯৪৭ জন মহিলা। ১৮ বছরের নিচে নারী পাচারের ঘটনা ধরা পরেছে ৪ টি।
এই যাবতীয় তথ্য শুধু সেই সব নারীদের যারা প্রকাশ্যে এনেছেন তাদের উপর অত্যাচারের কথা। সাড়ম্বরে পালিত হয় দূগার্ষ্টমীর শক্তি আরাধনা। নারীকে শক্তি বলে পুজিত হয় এদেশে। তবুও পরিবারের চাপে বহু নারী সাহস সঞ্চয় করে নিতে পারেন না ন্যায়। পুরুষ শাসিত এই সমাজের আজও অসহায় নারী। তাই এসব তথ্যে এখনো চমক লাগার কথা নয়।

Tuesday, April 14, 2009

নদীয়া মুশির্দাবাদে দেওয়াল লিখনের লোক নেই সি পি এমের।


ক্যাডার ভিত্তিক সি পি আই(এম) দলে এরকম অবস্থা আগে কখনো হয়েছে কি? বাহাত্তরের সেই দিন গুলি, যখন বর্তমান বিরোধীদের কাছে কোনঠাসা ছিলো সি পি এম। দল করা পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি ছিলো সিপি এম কমরেডদের কাছে। কিন্তু আদর্শকে শীরধায করে রাজনীতির ময়দানে নামতো সি পি এম কর্মীরা। রাতের অন্ধকারে নকশালদের বোমা গুলি বাঁচিয়ে চলতো দেওয়াল লিখন।
খবরের কাগজ আলতা দিয়ে লিখে সি পি এম কর্মীরা লিখতেন দলের মতাদশর্গত আদর্শ।
কিন্তু বর্তমানে আদর্শ বিষয় বস্তুটাই যে উধাও। তাই দেওয়াল লিখনের লোক নেই নদীয়া-মুশির্দাবাদ জ়েলা দুটিতে।আসলে ৩২ বছর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে মজে থাকা সিপিএমের বর্তমান প্রজন্ম ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুর প্রতি আকষর্ন অনুভব করে না। তাই জ়েলা পঞ্চায়েত দলের ভরাডুবি অবস্থা তাদের বিমুখ করেছে রাজনীতি থেকে ।বিগত পঞ্চায়েত নিবার্চনে মুশির্দাবাদের ২৫৪ টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট পেয়েছিলো ১০৬ টি আসন বিরোধীরা দখল করেছে বাকি ১২৫টি আসন।নদীয়ার ১৮৭ টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট পেয়েছিলো মাত্র ৩৬ টি আসন বিরোধীরা দখল করেছে বাকি ১২৫টি ।নদীয়ার ১৭টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে বামফ্রন্ট এর দখলে ছিল এখন মাত্র ২ টি। মুশির্দাবাদের অবস্থাও সঙ্গীন।এমন অবস্থায় পার্টি কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক হতাশা।এই অবস্থা কাটিয়ে উঠে দেওয়াল লিখন বা প্রচারে নামতে তাদের তীব্র অনীহা।তাই এই দুই জেলা গুলিতে দলের রাজনইতিক হতাশাময় সময়ে সি পি এম পাশে পাচ্ছে না তাদের কমরেডদের।

Monday, April 13, 2009

১৩ র সৌভাগ্যে বলীয়ান প্রনব মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন আজ ১৩ ই এপ্রিল।

ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,১৩ই এপ্রিল'০৯
লাস্ট সাপারে যীশুখৃষ্ট ১৩ জন ভক্তের সাথে নৈশ ভোজ সেরে ছিলেন। এর পরেই ক্রুশ বিদ্ধ হন যীশুখৃষ্ট। সেই থেকে ১৩ সংখ্যা মানব জাতীর কাছে বিভীষিকাময়।১৩ মানেই অশুভ। তাই তেরো থেকে বেঁচে চলে সবাই। পাশ্চাত্যের জর্ডিক কার্ড জ্যেতিষ শাস্ত্রে তেরো নম্বর কার্ডের ছবি একটি কঙ্কাল একটি মানুষের রক্তপান করছে। হিন্দু জ্যেতিষে, সংখ্যা তত্বে ১৩ সংখ্যা মানেই রাহু - ৩+১=৪। তাই গোটা পৃথিবী ১৩ সংখ্যা থেকে সমঝে চলে।
কিন্তু প্রনব মুখোপাধ্যায়ের ব্যাপারটা অন্য। পৃথিবীতে প্রনব মুখার্জ্জীই হয়তো একমাত্র মানুষ যিনি ১৩ সংখ্যার পেছনে ছোটেন।অবাক লাগলেও বাস্তব। প্রনব বাবুর অন্দর মহল থেকে ছেঁকে আনা তাজা খবর। প্রনব মুখোপাধ্যায় তার গুরুত্বপূর্ন সব কাজ বেছে বেছে ১৩ তারিখে করেন ।বলতে পারেন আজকে যে, প্রনব মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন সেটা ১৩ তারিখ। কোনও কাকতালিয় নয়। কোনও যুক্তিবাদি আর্দশ দেখাতেও নয়। প্রনব ভাগ্যের সৌভাগ্য দায়ক আশীবার্দ লাভের উদ্দেশ্যেই ১৩ তারিখে জমা দিলেন মনোনয়ন পত্র।
প্রনবের এই ১৩ প্রীতি আজ থেকে নয়। তিনি ভালোমতো জানেন ১৩ সংখ্যা তার কতোটা অনুকূল। তাই ১৩ সংখ্যাকে ব্যবহারও করেন সৌভাগ্যের হাতিয়ার হিসাবে। বিয়ে করেছেন ১৯৫৭ সালের ১৩ই জুলাই। বিয়ে একজন মানুষের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ন তা ভারতীয় সমাজে নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। একজন পুরুষের জীবন উন্নতির জন্য তার স্ত্রীর ভূমিকা অসামান্য। ১৩ সংখ্যায় বিয়ে করে প্রনব বিবাহ জীবনের অসাধারন সুফল পেয়েছেন। স্ত্রীর সাথে তার মানসিক মিল তার জীবনকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে গেছে। প্রনব বাবুর এই সাফল্যের পেছনে র‌য়েছেন প্রনব জায়া সুভ্রা মুখোপাধ্যায়। যিনি সাধারন এক কলেজের প্রফেসার প্রনব মুখোপাধ্যায়ের জীবনে এসেছিলেন ১৩ তারিখে।
কেন্দ্রিয় সরকারের থিঙ্কট্যাঙ্ক প্রনব মুখোপাধ্যায়কে সব সময় হাতের নাগালে পাওয়ার জন্য সনিয়া গান্ধী প্রনব কে অনুরোধ করেছিলেন ৯ নম্বর জনপথে পাকাপাকি ভাবে চলে আসার জন্য। প্রনব জানতেন, ৯ নম্বর জনপথে এলে দল ও সরকারের কাজের ক্ষেত্রে কতটা সুবিধা হবে। তবুও তিনি রাজী হননি কংগ্রেস সভানেত্রীর কথায়। কারন সেই ১৩।প্রনব দিল্লিতে থাকেন ১৩ নম্বর তালকোটরা রোডে। ১৩ নম্বর বাড়িতে থেকেই তিনি হয়েছেন ভারত সরকারের দুই নম্বর ব্যক্তিত্ব। বিদেশ মন্ত্রী হয়ে কাঁপিয়েছেন বিশ্ব। ১৩ সংখ্যার পিছনে প্রনব যেমন ছোটেন, ১৩ সংখ্যার সৌভাগ্যও তেমন ছোটে প্রনব মুখোপাধ্যায়ের পিছু পিছু। প্রনব প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন ১৩ জুন ১৯৮০ সালে। ভারতের আন-অফিসিয়াল প্রধানমন্ত্রী কি এবার অফিসিয়ালি ভারতের প্রধান মন্ত্রী হবেন? উত্তরটা যদিও দেবে ভবিষ্যত, কিন্তু ১৩ সংখ্যার সুষ্টার ডোস নিয়ে ময়দানে নেমে গেছেন প্রনব। দেখা যাক,১৩ র বরপুত্র এবার কতটা এগোতে পারেন।

কংগ্রেসের আভ্যন্তরিন দ্বন্দের ভয়াবহ রুপ মুশির্দাবাদ


দিলীপ সাউ,কলকাতা,১৩ই এপ্রিল'০৯
আর মাত্র কয়েকটা দিন। লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব। কিন্তু মুশির্দাবাদের কংগ্রেসের অবস্থা ছন্নছাড়া। নিচু তলার কংগ্রেস কর্মীরা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না তারা কি করবেন। কারন, কারন সেই একই ;অধির-মান্নান দ্বন্দ। দু দিন আগে বিপরীত মেরুতে অবস্থানরত দুই নেতা এক সাথে মিটিং করলেন,
হাতে হাত মিলিয়ে প্রেস ডেকে ফটো তুললেন। কিন্তু তার পরেই সব স্তব্ধ। কোথাকার জল কোথায় গড়ালো কে জানে মাঝখান দিয়ে ভেসে গেলো মুশির্দাবাদ কংগ্রেস।
মুশির্দাবাদের বহু গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা সমিতি কংগ্রেসের শাসনাধীন কিন্তু তবুও এই অঞ্চল গুলিতে চোখে মিলছে না একটিও কংগ্রেসের পতাকা। কর্মীর অভাব নেই। অভাব কর্মীদের মনবলের। অধীরের গোসায় যদি তোলপাড় হয়ে যায় সবকিছু তাই সাহস করে ‘মান্নান হুসেনকে হাত চিহ্নে ভোটদিন’ কথাটা লিখতে পারছেননা তারা। এই অন্তঃসংঘাত প্রকাশ্যে চলে আসে গত লোকসভা নিবার্চনের পর থেকে। মুশির্দাবাদ জ়েলা কংগ্রেসের সভাপতি অধির রঞ্জন চৌধুরীর সাথে মান্নান হুসেনের দ্বন্দ আজীবন। অধির রঞ্জন আর মান্নান হোসেন দুজনেই ছিলেন সোমেন অনুগামী। দুইজনের মধ্যে কে তৎকালীন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির কাছের মানুষ হবেন সেই নিয়ে চলতো মৃদু উত্তেজনা। সোমেন অধিরকে বিধান সভার টিকিট দেন। তখন মমতা প্রকাশ্যে এর প্রতিবাদ করেন। খোলা মঞ্চে আত্মহত্যা পযর্ন্ত করতে যান। কিন্তু তবুও অধির কে এগিয়ে নিয়ে চলতো সোমেন। দলের মধ্যে ও বাইরে অধিরের শত সমালোচনাকে পাশে রেখে রাজনৈতীক ভাবে অধির চৌধুরীকে সাহায্য করতে কখনো কসুর করেননি সোমেন। তবে অধির শেষ পযর্ন্ত সোমেনের এই সাহায্যের কতটা প্রতিদান দিয়েছিলেন তা আজও বিশ্ময়ের মোড়কে বাঁধা। হঠাৎ সোমেন মিত্রকে পাশ কাটিয়ে অধির হয়ে উঠলেন প্রিয়রঞ্জন ভক্ত। অধিরের এই পরিবতর্নকে কাজে লাগালেন মান্নান। মান্নান আস্তে আস্তে হয়ে উঠলেন মুশির্দাবাদে সোমেনের প্রতিনিধি। আর তার চরম রাজনৈতিক শত্রু রইল অধির রঞ্জন। অধির ও মান্নানের এই দ্বন্দ এখন এমন পযার্য়ে পৌছেছে যে মুশির্দাবাদে কংগ্রেস দলের উর্দ্ধে স্থান পেয়েছে এই অধির-মান্নান ‘লবি বাজি’। দল মুশির্দাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মান্নান হোসেন কে করলেও, মুশির্দাবাদের জেলা সভাপতি,বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী এবং মুশির্দাবাদের লোককথিত বেতাজ বাদশা অধির রঞ্জনের অদৃশ্য অঙ্গুলি নির্দেশে স্তব্ধ হয়ে র‌য়েছে মান্নান হুসেনের ভোট প্রচার পব।

মনমোহন Vs আদবানী...........



লোকসভা ভোটের পর কে হবেন ভারতের ভাগ্য বিধাতা। কার বুদ্ধির জোরে চলবে দেশ। জল্পনা এখন তুঙ্গে। ওয়েব সাইট গুলির ভোটের তালিকায় এগিয়ে মনমোহন। প্রায় ৪৩% ভোট পেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। আদবানী, ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন মনমোহনের। তার জনপ্রিয়তার হার ৩৯.৮%। এর পর র‌য়েছে সোনিয়া,রাহুল,মায়াবতি। তবে তাদের জনপ্রিয়তার শতকরা হার তেমন উল্ল্যেখ যোগ্য নয়।
অন্যদিকে ব্যক্তিগত আয়ের ক্ষেত্রেও এগিয়ে মনমোহন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর মনমোহন সিংয়ের মোট সম্পত্তির পরিমান ৩ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা। রাজনিতীবিদ ও ব্যাবসাদার ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার আদবানীর মোট সম্পত্তি সেখানে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। আদবানীর আছে দুটি ফ্ল্যাট ও একটি বাড়ি। মনমোহনের আছে দুটি বাড়ি। আদবানীর নিজের কোনও গাড়ি নেই। মনমোহনের নিজস্ব গাড়ি বলতে একটি মারুতি ৮০০। আদবানীর ব্যাঙ্কে জমা ১ কোটি ৪ হাজার টাকা। মনমোহনের ব্যাঙ্কে আছে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা।
এসব কিছুতে মনমোহন এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী পদের সম্ভাবনায়। বিজেপি ঘোষনা করে দিয়েছে,তারা জিতলে আদবানীই হবেন প্রধানমন্ত্রী, তবে কংগ্রেস নিদির্ষ্ট ভাবে কাউকেই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার ঘোষনা করে নিবার্চনে নামেনি।তবে মনমোহনের সম্ভাবনাই প্রবল।

Saturday, April 11, 2009

সোমালিয়া উপকূলে পণবন্দি নাটক অব্যাহত



সোমালিয়া উপকূলে পণবন্দি নাটক অব্যাহত

সোমালিয়ার জলদস্যুদের সাথে ফ্রান্সের নৌসেনাদের সম্মুখ যুদ্ধে একজন জিম্মি ও দুই জলদস্যু নিহত হয়েছে৷ এদিকে জলদস্যুদের হাতে আটক মার্কিন ক্যাপ্টেন রিচার্ড ফিলিপসকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ফরাসি অভিযান
ফরাসি নৌবাহিনীর সদস্যরা সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে চারজন জিম্মিকে মুক্ত করেছে এবং তিন জন জলদস্যুকে আটক করেছে৷ এক সপ্তাহ আগে এডেন উপসাগর থেকে জলদস্যুরা নৌযানটি ছিনতাই করে৷ ছিনতাইয়ের সময় ‘দ্য টানিটে’ এক শিশুসহ মোট পাঁচ জন পর্যটক ছিল৷ উদ্ধার অভিযানের সময় জলদস্যুদের হাতে আটক নৌযান ‘দ্য টানিট’ এর মালিক ফ্লোরঁ লেমাকঁ নিহত হন৷ ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জিম্মিদের উদ্ধার অভিযানের পর তিন বছর বয়সী শিশু এবং অপর তিন জিম্মি নিরাপদ ও সুস্থ রয়েছে৷ ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যার্ভে মব়্যাঁ বলেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদের উদ্ধারে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছি৷ এমনকি মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সদস্যরা সরাসরি অভিযানে যেতে বাধ্য হয়৷ ফ্রান্সের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জঁ-লুই জর্জল্যাঁ জানিয়েছেন, জলদস্যুদের সাথে নিরাপত্তা কর্মীদের গুলি বিনিময় চলার সময় ক্রসফায়ারে লেমাকঁ নিহত হয়েছেন৷ এছাড়া জলদস্যুদের দুই জন ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং একজন পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এরিক শেভালিয়ে জানান, যে জানজিবারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করার আগে লেমাকঁকে একাধিকবার সোমালিয়ার উপকূল দিয়ে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল৷

মার্কিন অভিযান
এদিকে, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক মার্কিন পতাকাবাহী জাহাজ ‘মেয়ার্স্ক অ্যালাবামা’-র ক্যাপ্টেনকে উদ্ধারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ইতিমধ্যে মার্কিন নৌবাহিনীর ‘ডেস্ট্রয়ার বেইনব্রিজ’ নামের যুদ্ধজাহাজ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে৷ জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চালানোর পাশাপাশি তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শুক্রবার সোমালিয়া উপকূলে শক্তি বাড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী৷ এ কাজে সহায়তা করার জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-ও মাঠে নেমেছে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত অপহৃত মার্কিন ক্যাপ্টেন রিচার্ড ফিলিপসকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷ উল্টোদিকে, জলদস্যুরা ফিলিপসের মুক্তির বিনিময়ে দুই মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ এবং নিজেদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করেছে৷ এছাড়া জলদস্যুরা তাদের উপর মার্কিন হামলা ঠেকাতে ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে৷ জলদস্যুরা ফিলিপসকে বহনকারী লাইফবোটের পাশে গত সপ্তাহে ছিনতাই করা অপর একটি জার্মান কন্টেইনার জাহাজকে এনেছে৷ ঐ জাহাজটিতে ২৪ জন নাবিক রয়েছে যাদের মধ্যে পাঁচজন জার্মান নাগরিক৷
প্রসঙ্গত, বুধবার ১৭ হাজার টনের ঐ ড্যানিশ জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা৷ কিন্তু জাহাজটিতে থাকা ২০ মার্কিন নাবিক কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পুণরায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়৷ তবে জাহাজের ক্যাপটেন রিচার্ড ফিলিপসকে একটি লাইফবোটে আটকে রাখে জলদস্যুরা৷ জাহাজটিতে সোমালিয়া এবং উগান্ডার জন্য ২৩২-টি কন্টেইনার ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী ছিল৷

অক্ষয়ের কু আচরণে মদত, গ্রেফতার টুইঙ্কেল খান্না


ফ্যাশান উইকে স্বামী অক্ষয়ের কু আচরণে মদত দেওয়ার জন্য বিপাকে পড়লেন অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না৷ গতকাল তিনি নিজেই আত্মসমর্পণ করেন৷ পরে মুম্বাই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে৷ তবে কিছুক্ষন পরেই অবশ্য তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান৷ তবে এর জন্য টুইঙ্কেলকে 950 টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে৷ টুইঙ্কেল রেহাই পেলেও অক্ষয় কিন্তু এই অভদ্র আচরণের জন্য সহজে ছাড় পাবেন না৷ বর্তমানে তিনি বিদেশে শ্যুটিং করতে গেছেন৷ বিদেশ থেকে আসলেই তাঁকে গ্রেফতার করবে মুম্বাই পুলিশ৷ ফ্যাশান উইকে ক্যাটওয়াক করার পর অক্ষয় স্ত্রী টুইঙ্কেলকে দিয়ে জনসমক্ষে জিনসের বাটন আটকাতে বলেন৷ টুইঙ্কেলও যথারীতি স্বামীর আদেশ পালন করেন৷ এই ঘটনাই মুম্বাই এর সমাজকর্মী অনিল নায়ারের চোখে বাঁধে৷ তিনি অক্ষয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন৷ খিলাড়ি কুমার এবার কি করবেন? বিদেশ থেকে ফিরে হয়ত তাঁকে কোর্টের চক্কর কাটতে হবে৷

সন্দেহজনক আচরণের কারণে একজন ভারতীয় সমেত 6 জনকে গ্রেফতার করল পাকিস্তানি পুলিশ৷

এদের সবাইকে রাওয়ালপিন্ডির পাশে সিহালা অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ পাক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে গ্রেফতার করা ভারতীয় ব্যক্তিটি পাকিস্তানে গুপ্তচর বৃত্তির কাজ করত৷ আর তাকে সূচনা দেওয়ার জন্য আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ পাক পুলিশ দাবি করেছে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিটির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহরের নকশা ও ফোন নম্বর উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে৷
সন্দেহজনক আচরণের কারণে একজন ভারতীয় সমেত 6 জনকে গ্রেফতার করল পাকিস্তানি পুলিশ৷ এদের সবাইকে রাওয়ালপিন্ডির পাশে সিহালা অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ পাক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে গ্রেফতার করা ভারতীয় ব্যক্তিটি পাকিস্তানে গুপ্তচর বৃত্তির কাজ করত৷ আর তাকে সূচনা দেওয়ার জন্য আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ পাক পুলিশ দাবি করেছে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিটির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহরের নকশা ও ফোন নম্বর উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে৷

Tuesday, April 7, 2009

মনে পড়ে কমরেড?????????

ভাস্কর ব্যানার্জী,কলকাতা,৭ই এপ্রিল'০৯
আজকে যে সিপিএম পার্টি কখনও কংগ্রেস, কখনও তৃণমূল কংগ্রেস কে ধারল অপপ্রচার করে তাদের কে মোকাবিলা করতে এই ছবিটাই যথেষ্ট।কি ব লেন আপনারা???
চলবে...।।

চিদম্বরমকে জুতো ছুঁড়ে মারলো ''দৈনিক জাগরন''-এর সাংবাদিক৷

৭ই এপ্রিল'০৯
বুশ আর জুতো কাণ্ড যেমন সমার্থক হয়ে গিয়েছিল এবারে সেই একই স্টাইলে চিদম্বরমকে জুতো ছুঁড়ে মারলেন এক সাংবাদিক৷ এই সাংবাদিক ''দৈনিক জাগরন''-এর সাংবাদিক৷ নাম জার্নেল সিং৷ সাংবাদিক সন্মেলনে জুতো ছুঁড়ে মারেন তিনি৷ পরে এক বেসকারি চ্যানেল কে জানান- তার পদ্ধতিতে ভুল থাকতে পারে৷কিন্তু ক্ষমা তিনি চাইবেন না৷ মূলত টাইটেলারকে ক্লিন চিট দেওয়ার সি বি আই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ করার জন্যই তিনি জুতো ছুঁড়ে মারেন বলের ধারণা৷ পরে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে- তাকে টেনে হিঁচরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কোন সাংবাদিককে তার সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জুতো মারার পিছনে শিখ সম্প্রদায়-কে নায্য বিচার না পাওয়ার বিষয়কেই দায়ি করেন তিনি৷

রাজনাথ সিং দেখা করলেন বরুণ গান্ধীর সঙ্গে ......




কলকাতা,৭ই এপ্রিল'০৯
বেফাঁস সাম্প্রদায়িক উষ্কানিমূলক বক্তব্যের জেরে উত্তর প্রদেশের জেলে আটক বিজেপি প্রার্থী বরুণ গান্ধীর সঙ্গে সোমবার দেখা করেলেন দলের সভাপতি রাজনাথ সিং৷ সাম্প্রদায়িক সুরে ভাষণ দেয়ার অভিযোগে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাঁকে ২৯শে মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়৷

রাজনাথ-বরুণ সাক্ষাৎ-কে কেন্দ্র করে কোনরকম গন্ডগোল যাতে না হয় তার জন্য ছিল ব্যপক পুলিশ বন্দোবস্ত৷ সাক্ষাতের পর বিজেপি সভাপতি বলেন, রাজ্য-প্রশাসন যেভাবে বরুণ গান্ধীকে হেনস্তা করছে, নিপীড়ণ চালাচ্ছে সেই ইস্যু তিনি জণগনের সামনে রাখবেন ৷ আইন তার নিজের পথে চললেও বিজেপি রাজনৈতিক এবং আইনী সমর্থন দিয়ে যাবে বরুণ গান্ধীকে৷ দল চুপ থাকবেনা, বলেন তিনি ৷
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধ দল বিএসপির সরকার ৷ পিলিভিত কেন্দ্রে সাম্প্রদায়িক ভাষণ দেবার অভিযোগে বরুণ গান্ধীকে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয় ৷ বর্তমানে তিনি লক্ষনৌ থেকে তিনশ কিলোমিটার দূরে সুরক্ষিত ইটা জেলে বন্দী ৷ বরুণ গান্ধী-রাজনাথ সিং সাক্ষাৎ চলে প্রায় আট ঘন্টা ৷ জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে আপীল করেন বরুণ গান্ধী৷ বলেন, তাঁর ভাষণের রেকর্ড বিকৃত করা হয়েছে৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, বয়সে তরুণ বরুণ গান্ধী কার্যত একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলেন৷
বিজেপি এবারের নির্বাচনে কট্টর হিন্দুত্ববাদের ঝুঁকি নিতে চাইছেনা৷ তাই বরুণ গান্ধীর দায় না পারছে নিতে না পারছে ফেলতে৷ এই ইস্যুতে দলের মধ্যেও আছে মতান্তর৷ তবে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মতো কঠোর আইন প্রয়োগের দরকার ছিলনা বলে সকলেই একমত৷
অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশের রায় বেরিলি কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র জমা দেন সোমবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী৷ জাত-যজ্ঞ, সমর্থকদের বিপুল অভিনন্দন, পুষ্প বৃষ্টি এবং গাড়ির মিছিল নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে যান তিনি৷ সঙ্গে ছিলেন পুত্র রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য শুভাকাংখীরা৷ ঐ কেন্দ্রে ভোট ৩০শে এপ্রিল৷
উত্তর প্রদেশের রায় বেরিলি কেন্দ্রে বলতে গেলে চিরদিনই নেহুরু-গান্ধী পরিবারের৷ রাজীব গান্ধীর বাবা ফিরোজ গান্ধী, মা ইন্দিরা গান্ধী, এখন পত্নী সোনিয়া গান্ধী এই কেন্দ্রেই প্রার্থী৷ ২০০৪ সালে সোনিয়া গান্ধী এই কেন্দ্রে জয়লাভ করার পর লাভজনক পদে থাকার বিতর্কে পদত্যাগ করে ২০০৬ এ বিপুল ভোটে আবার জয়ী হন৷

ফ্যশানে মাতাচ্ছেন মিশেল। অর্থনীতির মন্দাকাটাতে হিমশিম ওবামা...।

৭ই এপ্রিল'০৯
পরিবার এরকমই। উদয়-অস্ত টাকা রোজগারের সন্ধানে ঢুঢু করে মরে স্বামী। আর স্ত্রী পটের বিবি সেজে স্নো-পাউডার মেখে করে কিটি পার্টি। তবে মিশেল অতোটাও অবুঝ নয়, তবু সাজ গোজ করতে কোন মেয়ে না ভালোবাসে। আর এই সাজগোজ প্রিতিই মিশেলকে জনপ্রিয় করে তুললো বিশ্বের মানুষের কাছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর প্রথম ইউরোপ সফরে যখন ইতিহাস গড়তে মশগুল, তখন ফ্যাশন দুরস্ত মিশেল ওবামা ছিনিয়ে নিলেন জনপ্রিয়তার মুকুট ৷ বারাক ওবামা শপথ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে । সঙ্গে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা৷ পরনে কিউবান বংশোদ্ভূত মার্কিন ডিজাইনার ইসাবেল টোলেডোর তৈরি সোনালী-হলুদ রঙের আউটফিট৷ গলায় হীরক খচিত চওড়া একখানি হার৷ গ্ল্যামার তো বটেই, একই সঙ্গে আশাবাদ এবং শৈলীর প্রতিক৷ সেদিন টেলিভিশনের পর্দায় কার চোখ এড়িয়েছে সে দৃশ্য ?
বিশ্ব অর্থ মন্দায় মার্কিন রাজনীতি যখন সবদিকে তাল মিলিয়ে চলতে চাইছে, ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাও তখন বেছে নিয়েছেন গ্যাপ এবং জে ক্রিউ-এর সঙ্গে চিকাগোর নতুন ডিজাইনার মারিও পিন্টো এবং নারসিসো রড্রিগেজ-কে৷ লাল-সাদা-নীল রঙের ঐতিহ্যকে পেছনে ফেলে, ইউরোপ সফরেও সবার মন কেড়েছেন ৪৫ বছর বয়স্কা মিশেল ওবামা৷
প্রথম ইউরোপ সফরের প্রথম দুদিন লন্ডনে অতিবাহিত করেন ওবামা দম্পতি৷ জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে ওবামা এক নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সূত্রপাত ঘটান৷ বলেন, শোনা এবং শেখার মধ্য দিয়েই তিনি তাঁর নেতৃত্বের প্রতিফলন ঘটাতে চান৷ এই মন্ত্র নিয়েই ওবামা দেখা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেডেভ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, এমনকি রানী ইলিজাবেথ দুই-এর সঙ্গে৷ রাজভবনে রাণীর সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর সময় মিশেল ছাড়িয়ে যান এতো দিনকার সমস্ত রীতিনীতি৷ রাণীও স্নিগ্ধ আলিঙ্গনে মুগ্ধ করেন মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে৷Bildunterschrift: Großansicht des Bildes mit der Bildunterschrift: ফ্রান্সে সারকোজি দম্পতির সঙ্গে ওবামা দম্পতি
লন্ডনে বারাক ও মিশেল দুজনে সংসার পাতেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে৷ ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর সময় মিশেলের পরনে ছিল হাল্কা সবুজ রঙের পেন্সিল স্কার্ট, মার্কিন ডিজাইনার জে ক্রিউ-এর তৈরি ঘিয়ে রঙের কার্ডিগান এবং ঐতিহ্যের প্রতিক সাদা মুক্তোর সেট৷ সকালের সূর্যকিরণ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যা মিশেল ওবামাকে আরো ব্যক্তিত্যময়ী করে তোলে৷
ওমাবা আর ব্রাউন যখন রাজনীতি-অর্থনীতির কচকচিতে ব্যস্ত, তখন মিশেল আর বৃটেনের ফার্স্ট লেডি সারাহ ব্রাউন চলে যান একটি ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শনে৷ সেখানে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সামনে মার্কিন ফার্স্ট লেডি নয়, নিজেকে শুধুমাত্র মিশেল বলেই পরিচয় করান মিশেল ওবামা৷ আর এভাবেই সারাহ-র সঙ্গে স্পঞ্জ কেক আর চকোলেট ফ্রস্টিং খেতে খেতে সাধারণ মানুষের অত্যন্ত কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন মিশেল৷
৩-রা এপ্রিল ফরাসী শহর স্ট্রাসবুর্গে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য লন্ডন ত্যাগ করেন ওবামা দম্পতি৷ আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে প্রেসিডেন্টশিয়াল হেলিকপ্টারের জায়গায়, ওবামার বুটেলপ্রুফ লিমোজিন বিস্ট-এর চড়তে হয় তাদের৷ প্লেনের দরজা বন্ধ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যুগলে হাত নাড়েন বারাক-মিশেল ওবামা৷
ফ্রান্সে ওবামা দম্পতিকে স্বাগত জানান ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এরপর ন্যাটোর ৬০ বছর পূর্তি, যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান বিষয়ক নতুন নীতি এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন৷ আর মিশেল ওবামা সঙ্গ নেন মডেল-কাম-সঙ্গীত শিল্পী কার্লা ব্রুনি-সারকোজির৷ ব্যাস্, মিশেল হয়ে ওঠেন ফরাসী ফটোগ্রাফারদেরও নয়নের মনি৷
দুই মেয়ে মালিয়া ও সাশার মাম-ইন-চিফ মিশেল ওবামাকে তাই ইতিমধ্যেই অ্যামেরিকান ফ্যাশন জগতের অ্যামবাসেডর বা প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে শুরু করেছে বিশ্ববাসী৷ এমনকি বিখ্যাত ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভ্যানিটি ফেয়ারও মিশেলকে বিশ্বের ১০ জন সেরা পোষাকধারীর অন্যতম বলে উল্লেখ করেছে, জানিয়েছেন অন্যতম মার্কিন ডিজাইনার ওস্কার ডে লা রেন্টে৷

আবার জলমগ্ন বিশ্ব ! পশ্চিম আন্টারটিকা ধসে যাওয়ার আশংকা


৭ই এপ্রিল'০৯
পৃথিবীর প্রাচিন সব মহাকাব্য ‘প্রমান’ দেয় একসময় জলমগ্ন হয়ে গেছিলো পৃথিবী। বাইবেলের ওল্ডটেষ্টামেন্টের নোয়ার নৌকা। কোরান সরিফের নুয়ার নৌকা। মোজেসের স্থলের সন্ধানে সমুদ্র ভাগ। বিষ্ণুপুরানের মৎস অবতার। সব কটি মহাকাব্যই শোনায় পৃথিবীর জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার কথা। এই সব কথা হাসির ছলে রুপকথা বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু প্রকৃতি বিজ্ঞানীরা যে আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন তাকে হাসির ছলে উড়িয়ে দেওয়া অতটা সহজ নয়।সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে চলায় সম্ভাব্য বিপদের কথা আমরা শুনেছি ৷ সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় জানিয়েছেন সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে আন্টারটিকা অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুর বরফ খন্ডে ধস নামতে পারে ৷ তীব্র শীতল আবহাওয়ার কারণে পৃথিবীর একেবারে উত্তর ও দক্ষিণে অবস্থিত দুই মেরুর পুরোটাই বরফে আচ্ছাদিত ৷ প্রায় সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন বর্গমাইল আয়তনের দক্ষিণ মেরুর আকার এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার পরে ৷ হাজার হাজার বছর ধরে এই আন্টারটিকায় বরফের পাহাড় জমে আছে ৷ এই বরফের পুরুত্ব কোন কোন জায়গায় কয়েক কিলোমিটার পযন্ত ৷ জলের ওপর ভেসে থাকা বরফের পাহাড়ের কারণেই অন্য যে কোন মহাদেশের তুলনায় দক্ষিণ মেরুর গড় উচ্চতা বেশি ৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এসব বরফ খন্ডও গলতে শুরু করেছে৷ ফলে বেড়ে যাচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা৷ কিন্তু তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে যদি সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যায়৷
নামকরা বিজ্ঞান জার্নাল নেচার এ প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে সমুদ্রের জলের উষ্ণতা যদি আর মাত্র ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বাড়ে তাহলে বিশাল এই দক্ষিণ মেরুতে ধ্বস শুরু হতে পারে৷ অর্থাৎ জলের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সেখানে যেসব বরফের পাহাড় রয়েছে সেগুলো গলে যেতে শুরু করবে এবং এক লহমায় পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বিশাল অংশ জলেতে তলিয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন ৷ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এর গবেষক রবার্ট ডিকন্টো এবং পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক ডেভিড পোলার্ড সম্প্রতি তাদের এক গবেষণা থেকে এ বিষয়টি জানতে পেরেছেন ৷ তারা আরো জানিয়েছেন যে এমনটি যদি ঘটে তাহলে সারা বিশ্বের সমুদ্রের জলের উচ্চতা বেড়ে যাবে পাঁচ মিটার অর্থাৎ প্রায় ১৬ ফুট ৷ আর তাহলে সাগরে হারিয়ে যাবে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে কম উচ্চতা সম্পন্ন বহু দেশ ৷ বিশেষ করে মহাদেশীয় এলাকাতে অবস্থিত ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর আর কোন অস্তিত্ব থাকবে না ৷ তবে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে কয়েক শতাব্দী লেগে যাবে এমনটি মন্তব্য করেছেন ব্রাসেলসের ফ্রাইয়ে ইউনিভার্সিটির গবেষক ফিলিপ হুইব্রেখটস ৷
উল্লেখ্য, জাতিয়সংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্যানেল, এক হিসাবে জানিয়েছে যে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৮ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পযন্ত বাড়তে পারে৷ তবে দেশগুলো যদি এখনই কার্বন নির্গমন না কমায় তাহলে এ তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার আরো বেশি হবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেছে জাতিয়সংঘ ৷

মন্দার ধাক্কায় আমেরিকাতে শিশু জন্ম হার ও কমছে......।

৭ই এপ্রিল'০৯
মন্দার দাওয়াই খুঁজতে অর্থ দপ্তরের সাথে এবার হয়তো স্বাস্থ্য দপ্তরকেও হাত মেলাতে হবে। পরিবার কল্যান মন্ত্রক আর স্লোগান দেবেনা ‘হাম দো হামারে দো’। বরং পরিবার থেকে হয়তো এবার স্লোগান উঠবে “কাম দো ওর চেয়ন সে ‘কাম’ করনে দো”। জনসমুদ্রের এই দেশে বসে কথাটা বেখাপ্পা লাগতে পারে কিন্তু মার্কিন স্বাস্থ্য দপ্তরের কপালে চিন্তার ভাজ। আর্থিক মন্দার কবলে থাকা বিগত নয় মাস সে দেশের জনসংখ্যায় ব্যাপক হ্রাসের সৃষ্টি করেছে। সমাজ বিঞ্জানীরা এর কারন হিসেবে অর্থনৈতিক মন্দাকেই দায়ী করেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের মধ্যে হতাশা প্রবনতা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়ার কারনে মানুষ যৌনতা বিমুখ হয়ে পড়ছে। মার্কিন শেয়ার বাজারের ধস, চাকরির বাজারে ব্যাপক মন্দা, মাইনে ২০% হ্রাস, এই সব ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতাময় কারনগুলি বিগত নয় মাস মানুষকে হতাশা প্রবন করে তুলেছে। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল এয়াসোশিয়েসান এক সমিক্ষায় লক্ষ করেছেন অর্থনৈতীক মন্দার কারনে মার্কিন নাগরিকদের ৮০% হতাশায় আক্রান্ত। পরিবারের আয় যেখানে ক্রম হ্রাসমান সেখানে এখনই পরিবারে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করার কথা মার্কিন দম্পতিরা চিন্তা করতে পারছেন না।
এই কথারই পুনরাবৃত্তি শোনা গেলো ফ্লোরিডা নিবাসী মার্ক দম্পতির কন্ঠ থেকে। টনি মার্ক মাত্র দু বছর হল বিয়ে করেছেন। মার্ক শেয়ার বাজারের দালাল। সুখি দাম্পত্য জীবনের স্বপ্নে বিয়ে করে ছিলেন। অর্থনৈতীক মন্দা জীবনে মিশিয়ে দিলো হতাসা। একটা বাচ্চার আগমনে পরিবারটা কোলাহল মুখর আনন্দময় হয়ে উঠুক সব নব দম্পতির মতো মার্কও চান। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই।‘ আমি জানি বাচ্চার জন্য কতোটা খরচ বাড়তে পারে, এই মুহুর্তে এই খরচ বহন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও আমি ও আমার স্ত্রী একটা বাচ্চার স্বপ্ন নিয়েই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম”। কথাগুলি বলেন ৩১ বছরের টনি মার্ক। শেয়ার বাজারের অবস্থা এখন শোচনীয়। টনি কর্মহীন, উপরুন্তু তার স্ত্রী’র দিদিকেও তাদের সাহায্য করতে হচ্ছে। টনির শ্যালিকা বাড়ি বন্ধক রেখে কিছু টাকা ধার করেছিলেন, সেই টাকার ই.এম.আই দিতে দিতে তার শোচনীয় অবস্থা।
বাচ্চার জন্য মার্কিন মুলুকে খরচা কতো?
একটা বাচ্চার তত্বাবধানের জন্য মার্কিন দেশে বছরে খরচ হয় ১০৯৩০ ডলার থেকে ১২০৩০ ডলার। মানে ভারতীয় টাকায় ৫৩৫৫৭০ টাকা থেকে ৫৪৯৪৭০ টাকা। অর্থনৈতীক মন্দার বাজারে এই টাকা জোগাড় করা মার্কিন মধ্যবিত্ত দম্পতিদের কাছে অকল্পনিয়। এই পরিস্থিতিতে উচ্চবিত্তরাও এতো টাকা খরচ থেকে একটু সমঝে চলছেন।গর্ভকালিন সময়ের খরচ ও সে দেশে কম নয়। প্রায় ১২০০০ মার্কিন ডলার। ভারতীয় টাকায় যা প্রায় ৫৪৪০০০ টাকা। গর্ভপাত করতেও ডাক্তার কে দিতে হয় মোটা টাকা। চিকিৎসার জন্য মার্কিন দেশে খরচের পরিমান অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ৩৮ সপ্তাহের গর্ভকালিন সময়ে গর্ভবতীর পরিচর্যার জন্য ডাক্তারের ফি, প্যাথলজির খরচ, ওষুধের বিল’ও কম নয়।
এই সব সাত পাঁচ সমস্যা মার্কিন দেশের শিশু জন্মের হার অস্বাভাবিক ভাবে কমিয়ে দিয়েছে। ১৯৭০ এর অর্থনৈতীক মন্দা, যা ১৯৭৩ এর নভেম্বর থেকে ১৯৭৫ এর মার্চ পযন্ত চরম ভাবে মার্কিন সমাজে প্রভাব ফেলে ছিলো। ১৯৭৩ এর আগে শিশু জন্মের হার ছিলো ৬৮.৮%।১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত এটা নেমে ৬৫ শতাংশের ও কম সংখ্যায় এসে দাঁড়ায়। ১৯৭৬ এ যখন অর্থনৈতীক মন্দা কেটে যায় তখন আবার স্বাভাবিক হয় শিশু জন্মের হার।এরপর ৮০ দশকে শিশু জন্মের হার ছিলো স্বাভাবিক। গড়ে প্রায় ৬৮.৪%। ১৯৮০ সালে আবার একটি আর্থিক মন্দা আসে। ১৯৮০ জানুয়ারি থেকে জুলাই আবার ১৯৮১ এর জুলাই থেকে ১৯৮২ নভেম্বর পর্যন্ত। তখন শিশু জন্মের হার আবার হ্রাস হতে থাকে। ১৯৮৪ পর্যন্ত এটা ছিলো ৬৫.৫%। এরপর আবার বাড়তে থকে জ়নসংখ্যা। ১৯৯০ সালে শিশু জন্মের হারে সর্বাধিক বৃদ্ধি ঘটে যায়। এই সময় মার্কিন দেশে শিশু জন্মের হার ছিলো ৭০.৯%। এরপর আবার কমতে থকে। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত যা ছিলো ৬৩.৬ শতাংশ। ২০০১ সালে তথ্য প্রযুক্তিতে অর্থনৈতীক মন্দার ফলে শিশু জন্মের হার সামান্য কমলেও বিশেষ প্রভাব পড়েনি। ২০০১ এর মার্চ থেকে ২০০১ এর নভেম্বর পর্যন্ত থাকা এই অর্থনৈতীক মান্দার বাজারে শিশু জন্মের হার ছিলো ৬৪.৮ শতাংশ। ২০০২ সালে আবার এটি স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায় ৬৫.৩ শতাংশে।
মা ষষ্টি আর মা লক্ষির এই সহাবস্থানের কথা এর আগের কোনও সমিক্ষায় ধরা পরেছে কি না তার হিসেব নেই। অর্থনৈতীক মন্দা অর্থনিতীর গলদ গুলোর সাথে ধর্মের এই গুহ্য তত্বটিকেও উদঘাটন করতে পারলো সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।