Saturday, June 27, 2009

পুরষ্কৃত হতে পারেন সোমনাথ ...............

পুরষ্কৃত হতে পারেন সোমনাথ ...............
তন্ময় চক্রবর্ত্তী

সঙ্কটের সময় দাঁড়িয়েছিলেন সরকারের পাশে। দল চাইলেও ছাড়েননি স্পিকারের পদ। ফলে তাঁকে দল থেকে বহিস্কৃত হতে হয়েছে। ব্যক্তিটি, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। এবার যে তাদের ঋণ শোধ করার পালা তা বুঝে গিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউ পি এ সরকার। সোমনাথবাবুর মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে পাশে পেলে আখেরে তাদেরই লাভ। তাই ইনফোসিসের সহ অধিকর্তা নন্দন নিলেকানিকে যোজনা কমিশনের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন স্কিম এর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করবার পর জল্পনা শুরু হয়েছে প্রাক্তন স্পিকারকে নিয়েও।

উল্লেখ্য, বুধবার প্রধাণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় এই প্রাক্তন বাম নেতার। এরপরই প্রণববাবু গভীর রাতে তাঁর আকবর রোডের বাংলোতে গিয়ে দেখা করবার পর জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে যে,প্রধাণমন্ত্রী নিজে তাঁর জন্য কাজ ভেবে রেখেছেন। ইতিমধ্যেই বিহার, কর্নাটক ও মধ্যপ্রদেশে রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছে। জুলাই মাসে গুজরাত, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে রাজ্যপাল নিয়োগ করা হবে। তাকে এই পদে বসানোর কথাও তারা ভাবতে শুরু করেছেন। আবার, এর মধ্যেই লন্ডনে হাইকমিশনার নিয়োগের কথাও চলছে। এই পদটিতেও তাকে বসানো হতে পারে। এছাড়াও, বিচার-বিভাগ বা সংস্কার কমিশনে ফাঁকা রয়েছে অনেক প্রশাসনিক পদ।

সোমনাথবাবু অবশ্য এসব অস্বীকার করেছেন। তবে রাজীব গাঁধীর পর বুদ্ধিজীবিদের প্রশাসনিক পদে নিয়ে আসার যে রীতি মনমোহন সিংহ’ও অনুসরণ করতে শুরু করেছেন তাতে নিঃসন্দেহে তিনি কোন পদ পেতেই পারেন। উপর্যপরি তিনি এক অভিজ্ঞ নেতাও।

নিষ্ঠার সঙ্গে লোকসভার স্পিকারের দায়িত্ব পালন, আস্থা ভোটের সময় দল সমর্থন তুলে নিলেও তাঁর সেই পদে থাকা- এ সব কিছুই তাঁকে কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছের লোক করে তুলেছে। তাই এবারও তাকে কোন সন্মানজনক পদেই দেখা যাবে বলে আশা করছে রাজনৈতিক মহল।

তিনি সেই পদ গ্রহণ করে আবার কি হতাশ করবেন সি পি এম নেতৃত্বকে নাকি রাজনীতির পর এসব থেকেও সন্ন্যাস নেবেন-সেটাই দেখবার।

No comments:

Post a Comment